For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সরষের তেল কি সত্যিই শরীরের পক্ষে খারাপ?

সরষের তেলে উপস্থিত গ্লকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

|

গত এক দশকে রান্নার তেলের উপকারিতা নিয়ে গুজবের পাহাড় তৈরি হয়ে গেছে। কোন কথাটা ঠিক, আর কেনটা বেঠিক, তা না জেনেই নানাবিধ তেলের ব্যবহার চোখে পরার মতো কমে গেছে। যেমন সরষের তেলের কথাই ধরুন না। আজকাল অনেকেই এমন ধরণা তৈরি করে ফেলেছেন যে এই তেলটি নাকি শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ধরণাটি কি ঠিক? একেবারেই না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যদি মেনে নেন, তাহলে একথা বলতেই হয় যে শরীর এবং ত্বকের উপাকারে নানাভাবে কাজে লাগে এই তেলটি। তাই সরষের তেল খেলে শরীরের কোনও ক্ষয় ঘটবে, এমনটা মেনে নেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই বললেই চলে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, এখনই জেনে নিন প্রতিদিন সরষের তেল খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে।

১. ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমায়:

১. ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমায়:

সরষের তেলে উপস্থিত গ্লকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন এই তেলটি খেলে এমন ধরনের মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে অনেকাংশেই হ্রাস পাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

২. আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়:

২. আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়:

সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, এই দুটি খনিজ সরষের তেলে খুব বেশি পরিমাণ থাকে, যা আথ্রাইটিসের প্রদাহ কমানোর পাশপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন ধরনের হাড়ের রোগে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন সরষের তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।

৩. মাইগ্রেন:

৩. মাইগ্রেন:

মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে ম্যাগনেসিয়াম দারুন কাজে আসে। আর যেমনটা ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন যে সরষের তেলে এই খনিজটি বিপুল পরিমাণে থাকে। তাই এমন তেলে রান্না করা খাবার খেলে মাইগ্রেনের কষ্ট একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, সরষের তেলে ভাজা মাছ খেলে শরীরে ওমাগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৪. শ্বাস কষ্ট দূর হয়:

৪. শ্বাস কষ্ট দূর হয়:

একাধিক গবেষণায় একথা প্রামাণিত হয়েছে যে শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের সমস্যা কমাতে সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যারা এমন ধরনের রোগকষ্টে ভুগছেন, তাদের নিয়মিত সরষের তেল খাওয়া উচিত।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

সরষের তেলে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে আমাদের একাধিক রোগের খপ্পর থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. ডায়াটারি ফাইবার:

৬. ডায়াটারি ফাইবার:

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নানাবিধ পেটের রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় সরষের তেল। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুন কাজে আসে। তাই পেটের রোগ তেকে যদি দূরে ছাকতে চান তো কখনও সরষের তেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভাঙবেন না।

৭. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৭. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:

সরষের তেলে রয়েছে কপার, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই খনিজগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. সরষের তেলের অন্য উপকারিতা:

৮. সরষের তেলের অন্য উপকারিতা:

পেশীর যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি ঠান্ডা লাগা, পিঠে ব্যথা, এমনকি জ্বরের প্রকোপ কমাতেও সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

English summary

সরষের তেল কি সত্যিই শরীররে পক্ষে খারাপ?

Apart from the taste benefits of mustard oil and the easy availability that made them popular, one can find a number of mustard oil benefits for our health too. Some of the mustard oil health benefits are mentioned here.
X
Desktop Bottom Promotion