Just In
- 6 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 7 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 10 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 12 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
গরমের সময় নিয়মিত আম খেলে কী হতে পারে জানেন?
অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানীদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে আমের অন্দরে উপস্থিত বেশ কিছু বায়ো-অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। বিশেষত, ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করতে।
সম্প্রতি কয়েকজন আমেরিকান গবেষক দল বেঁধে আমের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে যা সামনে এসেছে, তা বাস্তবিকই অবাক করার মতো! গবেষণাটি চলাকালীন দেখা গেছে নিয়মিত আম খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে গত কয়েক দশকে যেভাবে হার্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তাতে এই গবেষণাটি যে অনেকটাই আশার আলো দেখাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে ভাববেন না আম শুধুমাত্র হার্টেরই খেয়াল রাখে। অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানীদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে আমের অন্দরে উপস্থিত বেশ কিছু বায়ো-অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। বিশেষত, ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি একাধিক মারণ রোগকে দূরে রাখতে বাস্তবিকই ফলের রাজার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে!
প্রসঙ্গত, নিয়মিত আম খাওয়া শুরু করলে যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...
১. ভাবী মায়েদের শরীরিক উপকার হয়:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে প্রেগন্যান্সির সময় প্রতিদিন একটা করে আম খাওয়া শুরু করলে দেহের মায়ের শরীরে আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং বি৬-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই উপাদানগুলি শুধু মায়ের শরীরের উন্নতি ঘটায় না, সেই সঙ্গে বাচ্চার শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে প্রসবকালীন কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে।
২. ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টানা ১২ সপ্তাহ এক পিস করে আম খাওয়া শুরু করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। আসলে আমের অন্দরে উপস্থিত ফাইবার এবং অন্যান্য অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বলি বন্ধু, পরিবারে যদি এই মারণ রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এই ফলটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করতেই পারেন। দেখবেন উপকার পাবেনই পাবেন!
৩. শরীরে অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে:
আমের মধ্যে থাকা টার্টেরিক, ম্যালিক এবং সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরের অন্দরে "অ্যালকালাইন ব্যালেন্স" ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে শরীরকে সুস্থ রাখতে অ্যাসিডের ভারসাম্য ঠিক রাখাটা কতটা জরুরি।
৪. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সপ্তাহে ৩-৪ বার আমের রস দিয়ে যদি ভাল করে ত্বকের মাসাজ করা যায়, তাহলে স্কিনের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর হয়, তেমনি ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলিও খুলতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়তে শুরু করে।
৫. হজম ক্ষমতা বাড়ায়:
আমের অন্দরে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম উপস্থিত রয়েছে, যা খাবার হজম যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। তাই তো এই ফলটি খেলে হজমের সমস্যা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহসই পায় না। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের মতে আমের মধ্যে থাকা ফাইবারও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:
দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করার জন্য বাড়ছে চোখের পাওয়ার? কোনও চিন্তা নেই! আম খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন দৃষ্টিশক্তি নিয়ে আরও কোনও চিন্তা থাকবে না। আসলে আমে উপস্থিত ভিটামিন এ, এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।