For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

এই গরমে বেশি করে ডাবের জল খেতে কেন বলছেন চিকিৎসকেরা?

গরম কালে অমৃতের সমান ডাবের জল। কেন অমৃত বলছি তাই ভাবছেন তো? আসলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গরমের সময় নিয়ম করে যদি ডাবের জল খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক রোগ শরীরের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

|

গরম কালে অমৃতের সমান ডাবের জল। কেন অমৃত বলছি তাই ভাবছেন তো? আসলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গরমের সময় নিয়ম করে যদি ডাবের জল খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক রোগ শরীরের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সান স্ট্রোকের আশঙ্কা যায় কমে! শুধু তাই নয়, ডাবের জলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক নানাভাবে শরীরে গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে এইসবকটি উপাদানই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি। তাই আর সময় নষ্ট না করে শুরু করুন ডাবের জল খাওয়া। এমনটা করলে দেখবেন তাপমাত্রা বাড়লেও আপনার শরীর থাকবে চাঙ্গা এবং রোগ মুক্ত। সেই সঙ্গে মিলবে আরও কিছু উপকার। যেমন...

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে:

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ডাবের জলে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, শরীরে প্রবেশ করার পর হাড়কে এত মাত্রায় শক্তপোক্ত করে তোলে যে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে জয়েন্টের সচলতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতাও বাড়তে শুরু করে।

২. ওজন হ্রাস পাবে:

২. ওজন হ্রাস পাবে:

ডাবের জলে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি এনজাইম হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সাহায্য় করে থাকে। ফলে খাবার খাওয়া মাত্র তা এত ভাল ভাবে হজম হয়ে যায় যে শরীরের অন্দরে হজম না হওয়া খাবার মেদ হিসেবে জমার সুযোগই পায় না। ফলে ওজন কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ডাবের জল শরীরে নুনের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৩. শরীরকে বিষমুক্ত করে:

৩. শরীরকে বিষমুক্ত করে:

নানা কারণে দেহের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা যত বেরিয়ে যায়, তত শরীর রোগমুক্ত এবং চনমনে হয়ে ওঠে। আর এই কাজে সাহায্য করতে পারে ডাবের জল। কীভাবে? বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ডাবের জল শরীরে প্রবেশ করা মাত্র শরীরের ইতিউতি জমতে থাকা বিষাক্ত উপাদানেরা প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকে। ফলে শরীর বিষমুক্ত হতে সময় লাগে না।

৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে:

৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে:

ডাবের জলে উপস্থিত ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল জানার্লে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে পটাশিয়াম শরীরে নুনের ভারসাম্য ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে স্বাভাবিক রাখে। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগটির ইতিহাস রয়েছে, তাদের নিয়মিত ডাবের জল খাওয়া উচিত। একই নিয়ম যদি রক্তচাপে ভোগা রোগীরাও মেনে চলেন, তাহলেও দারুন উপকার মেলে।

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে:

৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে:

গরম কালে এদিক-সেদিক খেলেই পেটে গরম, সেই সঙ্গে বদহজন এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা বেজায় স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু যদি ডাবের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান, তাহলে গরম যতই বাড়ুক না কেন, আপনার পেট থাকবে ঠান্ডা। আসলে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পাচক রসের ক্ষরণও ঠিক মতো হয়, ফলে নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

৬. শরীরে জলের ঘাটতি দূর হবে:

৬. শরীরে জলের ঘাটতি দূর হবে:

ডাবের জল শরীরের অন্দরে প্রবেশ করা মাত্র জলের ঘাটতি মিটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত ইলেকট্রোলাইট কম্পোজিশান ডায়ারিয়া, বমি এবং অতিরিক্ত ঘামের পর শরীরে ভিতরে খনিজের ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো গরমকালে ডাবকে রোজের সঙ্গী করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৭. শরীরের বয়স কমবে:

৭. শরীরের বয়স কমবে:

খাতায় কলমে বয়স বাড়লেও শরীরের বয়স কি ধরে রাখতে চান? তাহলে আজ থেকেই ডাবের জল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে ডাবের জলে রয়েছে সাইটোকিনিস নামে নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের উপর বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে:

৮. ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে:

২০১২ সালে হওয়া জার্নাল ফুড অ্যান্ড ফাংশন স্টাডিসে দেখা গিয়েছিল ডাবের জলে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৯. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়বে:

৯. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়বে:

শরীরে বাজে কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডাবের জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, দেহে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতেও ডাবের জল বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে।

১০. মাথা যন্ত্রণার প্রকোপ কমবে:

১০. মাথা যন্ত্রণার প্রকোপ কমবে:

ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনর অ্যাটাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে শীঘ্র এক গ্লাস ডাবের জল খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, এই ধরনের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

গরম কালে অমৃতের সমান ডাবের জল। কেন অমৃত বলছি তাই ভাবছেন তো? আসলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গরমের সময় নিয়ম করে যদি ডাবের জল খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক রোগ শরীরের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সান স্ট্রোকের আশঙ্কা যায় কমে!

Did you know that coconut water was able to save many lives during the World War II? You might take this as a far-fetched idea, but there are more than one documented cases that prove coconut water’s importance as an emergency intravenous fluid during the 40s and 50s. The list has just begun. There are many health benefits of coconut water that you will be surprised to know, just like the one above. So, stay tuned.
Story first published: Monday, March 19, 2018, 18:14 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion