Just In
কুয়াশার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচবেন কিভাবে জানেন?
ঠান্ডা তো প্রায় দোর গোড়ায়। এই সময়ই সকাল-বিকাল কুয়াশার রাজত্ব চলবে সারা রাজ্য জুড়ে। তাই সাবধান হন, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
ঠান্ডা তো প্রায় দোর গোড়ায়। এই সময়ই সকাল-বিকাল কুয়াশার রাজত্ব চলবে সারা রাজ্য জুড়ে। তাই সাবধান হন, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বায়ু দূষণের দোসর এই কুয়াশা নানাভাবে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। বিশেষত ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পিছনে কুযাশার ভূমিকাকে এক প্রকার মেনেই নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সারা শীতকাল জুড়ে আতিরিক্ত সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আর যেভাবে বায়ু দূষণের প্রকোপ আমাদের রাজ্য়ে বাড়ছে, তাতে এ বছর কুয়াশার চাদর যে আরও পুরু হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কুয়াশার কারণে ফুসফুসের পাশাপাশি হার্ট এবং মস্তিষ্কেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই কুয়াশাকে হলকাভাবে নিলে কিন্তু...!
এখন প্রশ্ন হল, সকাল হোক কী বিকাল, বাইরে তো বেরতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে ফুসফুসের পাশাপাশি শরীরের বাকি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে কুয়াশার মার থেকে বাঁচাবো কিভাবে? এক্ষেত্রে কতগুলি খাবার আপনাদের ভিষণভাবে সাহায্য করতে পারে। বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি নিয়মিত খেলে শরীরের অন্দরের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, কুয়াশার খারাপ প্রভাব সেভাবে শরীরের উপর পরতেই পারে না। এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. ব্রকলি:
বায়ু দূষণ এবং কুয়াশার হাত থেকে বাঁচাতে ব্রকলির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে ক্রসিফেরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এই সবজিটির শরীরে থাকা বেশ কিছু উপকারি উপাদান, কুয়াশার অন্দরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকারক ওজন গ্যাসের প্রভাব থেকে শরীরকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে বায়ু দূষণের কারণে শরীরে ভিতরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের বার করে দিতেও এই সবজিটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, যদি ব্রকলি খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে ফুলকপি বা বাঁধাকোপিও খেতে পারেন। কারণ ব্রকলির মতো এই দুই সবজিও একই পরিবারের সদস্য।
২. টমাটো:
বায়ু দূষণের শরীর থেকে জন্ম নেওয়া কুয়াশার কারণে মূলত ফুসফুসেরই বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই তো এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা লাং-কে বিষাক্ত ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। আর এক্ষেত্রে টমাটোর ভূমিকাকে অস্বীকার করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ এই সবজিটির অন্দরে মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লাইকোপেন নামক এক ধরনের উপকারি উপাদান ফুসফুসের মধ্যে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তাই তো যাদের শ্বাস কষ্ট বা অ্যাস্থেমার মতো রেসপিরেটরি প্রবলেম রয়েছে, তারা যদি নিয়মিত টমাটো খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাবেন।
৩. সাইট্রাস ফল:
পাতি লেবু, কমলা লেবু, মৌসম্বি লেবু এবং কিউই-এর মতো সাইট্রাস ফলে উপস্থিত ভিটামিন সি কুয়াশার হাত থেকে শরীরকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সারা শীতকাল জুড়ে যদি ফিট এবং চাঙ্গা থাকতে চান, তাহলে রোজের ডায়াটে এই ফলগুলির কোনওটিকে অন্তর্ভুক্ত করা মাস্ট!
৪. অলিভ অয়েল:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েলে উপস্থিত অ্যালফা-টোকোফেরল নামক বিশেষ এক ধরনের ভিটামিন ই, ফুসফুসের অন্দরের প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে লাং-এর কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, কুয়াশার হাত থেকে হার্টকে বাঁচাতেও এই তেলটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। প্রসঙ্গত, আমার বাঙালিরা যে তাপমাত্রায় খাবার রান্না করে থাকি, সেই তাপমাত্রায় অলিভ অয়েলকে ফ্রাই করা সম্ভব নয়। তাই এই তেলটি দিয়ে বাঙালি খাবার বানানো সম্ভব নয়। সেই কারণেই তো নিয়ম করে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে বানানো স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
৫. গ্রিন টি:
শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে এই পানীয়টি যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সে বিষয়ে নিশ্চয় সবারই জানা আছে। কিন্তু একথা জানেন কি বায়ু দূষণের প্রকোপ থেকে শরীরকে বাঁচাতেও গ্রিন টি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে গ্রিন টিতে থাকা নানাবিধ কার্যকরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফুসফুস এবং শরীরের অন্দরে জমতে টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে বায়ু দূষণের প্রভাবে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।