Just In
- 7 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 8 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 12 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 13 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে ফার্স্ট ফুড থেকে সাবধান!
ইউনির্ভাসিটি অব বন-এর গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় জানতে পারা গেছে নিয়মিত জাঙ্ক ফুড খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেজায় দুর্বল হয়ে পরে।
ব্যস্ত জীবনে পেট ভরাতে ফার্স্ট ফুডই কি ভরসা? তাহলে বন্ধু একটা ভাল দেখে মেডিক্লেম পলিসি করে ফেলুন ঝটপট! দেখবেন আর কিছু দিনের মধ্যেই প্রয়োজন পরবে।
ফার্স্ট ফুডের সঙ্গে মেডিক্লেম পলিসির কী সম্পর্ক মশাই? আরে বন্ধু এত ভাজাভুজি খাবেন তো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেজায় দুর্বল হয়ে পরবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানা রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধতে শুরু করবে। আর তখন বারে বারে হাসপাতালে যেতে হবে তো! তখন মেডিক্লেম পলিসি না থাকলে চলবে বলুন!
ইউনির্ভাসিটি অব বন-এর গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় জানতে পারা গেছে নিয়মিত জাঙ্ক ফুড খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বেজায় দুর্বল হয়ে পরে ঠিকই। কিন্তু এর থেকেও ভয়ের বিষয় হল একবার এমনটা হয়ে যাওয়ার পর জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করে দিলেও কিন্তু আর পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। ফলে একবার দুর্বল হয়ে পরা ইমিউনিটিকে পুনরায় চাঙ্গা করে তোলা তখন বেজায় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এবার বুঝেছেন তো আমাদের শরীরের পক্ষে ভাজা জাতীয় খাবার কতটা ভয়ঙ্কর। প্রসঙ্গত, একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের কম বয়সি নাগরিকদের মধ্যে ওবেসিটির সমস্যা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। আর এমনটা হওয়ার পিছনে মূল কারণ হল খাদ্যাভ্যাস। আসলে আজকের যুবসমাজ নিজেদের নানা কাজে এতটা ব্যস্ত করে রেখেছে যে তাদের কাছে ঠিক মতো পাত পেরে খাওয়ার সময় পর্যন্ত নেই। তাই অগত্যা ভরসা রাখতে হচ্ছে জাঙ্ক ফুডে, বিশেষ করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং চিপসের উপর। ফলে শরীরে বাড়তে শুরু করছে মেদ, যা এক সময়ে গিয়ে ওবেসিটির মতো সমস্যাকে জামাই আদর করে ডেকে আনছে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে ওজন বৃদ্ধি কিন্তু মোটেও সুখের খবর নয়, কারণ এমনটা হলে একে একে শরীরে এসে বাসা বাঁধতে শুরু করে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস,হার্টের রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো মারণ রোগ। তাই এই সব খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাটা জরুরি। না হলে কিন্তু...!
১. শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়তে শুরু করবে:
ভাজা জাতীয় খাবার বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে এই বিশেষ ধরনের ফ্যাটের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর ট্রান্স ফ্যাটকে ভেঙে যেহেতু এনার্জিতে রূপান্তরিত করা যায় না, তাই তা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জমতে শুরু করে। এক সময় গিয়ে রক্ত বাহিকায় ফ্যাটের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যাও মাতা চাড়া দিয়ে ওঠে।
২. শরীরের সচলতা কমে যাবে:
একবার ভাবুন তো বয়সের কাঁটা ৪০ পেরতে না পেরতেই যদি শরীরে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ এসে বাসা বাঁধে, তাহলে কী ভয়ঙ্কর কান্ডটাই না ঘটবে। এমনটা হলে পছন্দের সব খাবারকে টাটা বাই-বাই তো বলতেই হবে, সেই সঙ্গে জীবনযাত্রাও এত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে যে জীবনের সব আনন্দই ফিকে হয়ে যাবে। তাই কম বয়সে যদি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ বা কোলেস্টেরলের মতো অসুখে আক্রান্ত হতে না চান, তাহলে শুধু আলু ভাজা নয়, প্রায় সব ধরনের ভাজা জাতীয় খাবারকেই ভুলে যেতে হবে। এমনকি আলুর চপ এবং বেগুনিকেও।
৩. শরীরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা বেড়ে যাবে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ভাজা জাতীয় খাবার খেলে শরীরে অ্যাক্রিলেমাইড নামক এক ধরনের টক্সিক উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা ক্য়ান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। তাই জীবনকে যদি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর বানাতে চান, তাহলে ভুলেও ভাজা জাতীয় খাবারের দিকে ফিরে তাকাবেন না।
৪. শরীরের অন্দরের মারাত্মক ক্ষতি হবে:
খেয়াল করে দেখবেন রাস্তার দোকানে আলুর চপ বা বেগুনি ভাজার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোড়া তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমন ধরনের তেলে কার্বোনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর মারাত্মক ধরনের ক্ষতি সাধন করে থাকে। তাই একান্তই যদি ভাজা খাবার খেতে ইচ্ছা করে, তাহলে বাড়িতে আলুর চপ বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাবেন, ভুলেও রাস্তার দোকান থেকে কিনবেন না যেন!
৫. অ্যাক্রিলেমাইড থেকে সাবধান:
যেসব তেল উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছানোর পর তাতে অ্যাক্রিলেমাইডের জন্ম হতে শুরু করে, তেমন তেল ভুলেও ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ যেমনটা আগও আলোচনা করা হয়েছে যে অ্যাক্রিলেমাইড হল এক ধরনের টক্সিক উপাদান, যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই রান্নার তেল কেনার আগে একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না যেন!
৬. ভারসাম্য থাকাটা জরুরি:
আলু ভাজা খেতে মানা করা হচ্ছে মানে এই নয় যে যতদিন বাঁচবেন কোনও দিন ভাজা খাবারকে ছুঁতে পারবেন না। এমনটা একেবারেই নয়। সপ্তাহে ১-২ দিন চলতেই পারে। কিন্তু রোজের নিয়ম বানালে চটজলদি যে পৃথিবী ছাড়তে হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই কিন্তু!