For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

দাদের মতো ত্বকের রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি!

রিংওয়ার্মের প্রকোপ কামতে যদি নিয়মিত পেঁপেকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্র

|

রিংওয়ার্ম বা দাদ, চিকিৎসা পরিভাষায় ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত। এই রোগটি মূলত কিছু ফাঙ্গাসের আক্রমণে হয়ে থাকে এবং সব থেকের চিন্তায় বিষয় হল এই ত্বকের রোগটি শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে। তবে নখ, ত্বক এবং স্কাল্পে বেশি মাত্রায় হতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, রিং ওয়ার্ম কিন্তু ভিষণ ছোঁয়াছে। তাই পরিবারের কেউ এমন রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। না হলে অল্প দিনেই কিন্তু বাকি সদস্য়দেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

প্রসঙ্গত, আধুনিক মেডিসিনের সাহায্যে রিংওয়ার্মের চিকিৎসা করা যেতে পারে। তাতে কাজও দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু ঘরোয়া উপাদান দারুন কাজে দেয়। তাই গরমে যদি এমন রোগের শিকার হন কেউ, তাহলে নিশ্চিন্তে কাজে লাগাতে পারেন এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয় পদ্ধতিগুলিকে। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে। এক্ষেত্রে যে যে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুন উপকারে লাগে, সেগুলি হল...

১. পেঁপে:

১. পেঁপে:

একেবারে ঠিক শুনেছেন! রিংওয়ার্মের প্রকোপ কামতে যদি নিয়মিত পেঁপেকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ছোট একটা পেঁপের টুকরো নিয়ে দাদের উপর লাগাতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে জায়গাটা। প্রসঙ্গত, পেঁপে পাতার পেস্ট বা রস, দাদের উপর লাগালেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।

২. নিম পাতা:

২. নিম পাতা:

এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ দাদের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ নিম তেল নিয়ে দাদের উপর বারে বারে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন সমস্য়া কমে যেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত নিম তেলের সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়েও লাগালেও কিন্তু এক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৩. হলুদ:

৩. হলুদ:

এতে রয়েছে বিপুল মাত্রায় অ্যান্টি-বায়োটিক প্রপাটিজ, যা এই ধরনের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে প্রথমে অল্প করে হলুদ জল বানিয়ে নিন। তারপর তাতে তুলে চুবিয়ে যে যে জায়গায় দাদ হয়েছে, সেখানে আলতে করে লাগাতে থাকুন। প্রসঙ্গত, দিনে কমে করে ৩ বার এমনটা করলে রোগ সেরে যেতে শুরু করবে দেখবেন।

৪. রসুন:

৪. রসুন:

এতে রয়েছে অ্যাজুইনা নামে এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, যা যে কোনো ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে দারুন কাজে লাগে। তাই তো রিংওয়ার্মের ক্ষেত্রেও এই সবজিটি দারুন উপকারে লাগে। এক্ষেত্রে অল্প করে রসুনের কোয়া নিয়ে সেগুলিকে ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপর সেগুলিকে দাদের উপর রাখুন এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। এমনটা সারা রাত রাখলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, রসুনের কোয়ার পেস্ট বানিয়ে ক্ষত স্থানে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়।

৫. অ্যালো ভেরা:

৫. অ্যালো ভেরা:

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শুধু নয়, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে রাতে শুতে যাওয়ার আগে অ্যালো ভেরা পাতা থেকে পরিমাণ মতো জেল সংগ্রহ করে দাদের উপর সরাসরি লাগাতে হবে। সারা রাত রেখে পর দিন সকালে ধুয়ে ফলতে হবে। প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে অল্প দিনেই দেখবেন রোগ সেরে গেছে।

৬. নারকেল তেল:

৬. নারকেল তেল:

একেবারে ঠিক শুনেছেন। এই প্রাকৃতিক তেলটিও দাদের প্রকোপ কমাতে দারুন উপকারে লাগে। আসলে এই তেলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা এমন ধরনের ত্বকের রোগ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে নারকেল তেলকে? রাতে শুতে যাওয়ার আগে যে জায়গায় দাদ হয়েছে সেখানে অল্প করে নারকেল তেল লাগিয়ে শুয়ে পরুন। সকালে উঠে জয়গাটা ধুয়ে দিন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন।

৭. ভিনগার আর নুন:

৭. ভিনগার আর নুন:

পরিমাণ মতো নুনের সঙ্গে অল্প করে ভিনিগার মিশিয়ে একটা পেস্ট বিনিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্ট রিংওয়ার্মের উপর লাগিয়ে কম করে ৫ মিনিট রেখে দিন। এমনটা প্রতিদিন করলেই দেখবেন ৭ দিনেই রোগ সেরে যাবে।

৮. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

৮. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

একটা ছোট পাত্রে অল্প করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন প্রথমে। তারপর তাতে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করুন। এমনটা দিনে কয়েক বার করলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে। আসলে বিশেষ ধরনের এই ভিনিগারটিতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ রয়েছে, যা এমন ধরনের সংক্রমণ কমাতে দারুন কাজে আসে।

৯. সরষে বীজ:

৯. সরষে বীজ:

আকারে ক্ষুদ্র হলে কী হবে। এমন ধরনের রোগের প্রকোপ কমাতে সরষে বীজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। পরিমাণ মতো সরষে বীজ নিয়ে কম করে ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। সময় হয়ে গেলে সরষে বীজগুলো সংগ্রহ করে বেটে নিন। তারপর সেই পেস্টটা ক্ষত স্থানে লাগান। এমনটা কয়েক দিন করলেই মিলবে সুরাহা।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

9 indian home remedies for ringworm

Ringworm, or tinea, is a fungal infection on the skin that is quite common and contagious. It is caused by fungi that live on the top layer of the skin, feed on the keratin in skin, and thrive in warm, moist areas.The term ringworm may lead you to believe that it is a worm infestation, but it is the ‘ring’ in ‘ringworm’ that is key. The infection causes round, scaly patches with a darker border in the shape of a ring.The condition may also be accompanied by redness, itching, and inflammation. If not treated, it may cause your skin to blister. Ringworm can also affect your scalp and nails.Here are the top 9 home remedies for ringworm.
Story first published: Tuesday, July 10, 2018, 10:22 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion