For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

৩০ দিনে অতিরক্তি ওজন কমিয়ে ফেলতে নিয়মিত খেতেই হবে এই খাবারগুলি!

এই প্রবন্ধে এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যা রোজের ডায়েটে জায়গা করে নিলে অতিরিক্তি ওজন কমে যেতে সময় লাগবে না।

|

ওবেসিটি বা অতিরিক্তি ওজনের কারণে আজকের ডেটে প্রায় অর্ধেক বাঙালি নানা রোগের শিকার এবং আগামী দিনে এই পরিস্থিতি যে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে "ওবেস" বাচ্চাদের সংখ্যার বিচারে বিশ্বের ১৮৪ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান দ্বিতীয়। আর যে দেশের বাচ্চা এবং যুবসমাজের এমন হাল, সে দেশ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার এবং হার্টের রোগের কারণে যে মৃত্যুহার বাড়বে তা আর অবাক করার মতো বিষয় কী! তাই তো বলি বন্ধু এমন সব মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ পেরতে না পরতেই যদি মারা যেতে না চান, তাহলে এই লেখাটি পড়তে ভুলবেন না যেন!

আসলে এই প্রবন্ধে এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যা রোজের ডায়েটে জায়গা করে নিলে অতিরিক্তি ওজন কমে যেতে সময় লাগবে না। আসলে এই খাবারগুলির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হজম ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে মেদ ঝরার প্রক্রিয়াও তরান্বিত হয়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু আর অপেক্ষা নয়, আগামী ১-২ মাসের মধ্যে যদি শরীরকে স্লিম এবং ট্রিম বানাতে হয়, তাহলে যে যে খাবারগুলি প্রতিদিন খেতে হবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি সম্পর্কে...

১. হলুদ:

১. হলুদ:

একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! ওজনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরকে যদি সব দিক থেকে চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে নিয়মিত খালি পেটে হলুদ খেতে ভুলবেন না যেন!

২. রসুন:

২. রসুন:

এতে উপস্থিত অ্যালিসিন এবং আরও নানাবিধ অ্যান্টি-ইফ্লেমেটরি প্রপাটিজ শরীরের প্রবেশ করার পর চর্বি ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে। ফলে অতিরিক্ত ওজন কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে রসুনে থাকা আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান একদিকে যেমন হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের যুব সমাজের মধ্যে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে প্রতিদিন সকালে উঠে এক কোয়া করে রসুন খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

৩. সরষের তেল:

৩. সরষের তেল:

কোনও বাঙালি পদই সরষের তেল ছাড়া বানানো সম্ভব নয়। আর এমনটা হওয়াতে আমাদের ভালই হয়েছে। কারণ এই তেলটিতে উপস্থিত উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, লাইনোলিক অ্যাসিড, অলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে। তাই তো বলি বন্ধু, দীর্ঘ দিন যদি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে সরষের তেলের ব্যবহার বন্ধ করবেন না যেন!

৪. নানাবিধ সবজির রস:

৪. নানাবিধ সবজির রস:

আদা, গাজর অথবা করলার রস প্রতিদিন খালি পেটে খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই সবজিগুলির অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা এতক্ষণে জেনেই গেছেন যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটলে শরীরে মেদ জমার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।

৫. ব্রকলি:

৫. ব্রকলি:

জর্জিয়া স্টেট ইউনির্ভাসিটির গবেষকদের করা এক স্টাডিতে দেখা গেছে ব্রকলির মতো ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি বেশি করে খেলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে শরীরে মেদ জমার সুযোগই পায় না। প্রসঙ্গত, রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতেও ফাইবার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. ওটস মিল:

৬. ওটস মিল:

এক চামচ ওটস মিলের সঙ্গে তিন চামচ জল, এই রেশিয়োতে বানিয়ে নিয়মিত সকালবেলা খালি পেটে খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই খাবারটিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বরং কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ওটস মিলে লেসিথিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. আপেল:

৭. আপেল:

অতিরিক্তি ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে নিয়মিত একটা করে আপেল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। তাই তো খালি পেটে একটা করে আপেল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর কম পরিমাণে খাবার খাওয়ার কারণে ওজনও কমে দ্রুত।

৮. পেঁপে:

৮. পেঁপে:

এই ফলটির অন্দরে রয়েছে পেপেইন নামক একটি উপাদান, যা ফ্যাট সেলেদের গলিয়ে মেদ ঝরাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান এবং অতিরিক্ত জলকে বের করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে খালি পেটে যদি অল্প করে পেঁপে খাওয়া যায়, তাহলে আরও দ্রুত ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে। কারণ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৯. অ্যালোভেরা এবং লেবু:

৯. অ্যালোভেরা এবং লেবু:

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধি এই দুটি উপাদানকে একসঙ্গে গ্রহণ করা হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। তাই তো প্রতিদিন খালি পেটে লেবুর রস এবং অ্যালোভারা জেল খেলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল এই দুটি উপাদানকে মিশিয়ে মিশ্রনটি বানাবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক গ্লাস জলে মেশানোর পর তাতে একটা লেবু চিপে দিতে হবে। তারপর ভাল করে সবকটি উপাদান মিশিয়ে পান করতে হবে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

9 Indian Foods You Can Include In Your Daily Diet Will Help You Lose Weight

there are numerous ingredients used in Indian cooking that have great nutritional value and help in burning extra calories. It is wiser to incorporate these ingredients into your daily diet rather than moving on to low-fat continental diet to lose weight.
Story first published: Saturday, November 3, 2018, 12:07 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion