For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে একটা করে তেজ পাতা পোড়ান, দেখবেন অনেক উপকার পাবেন!

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তেজ পাতার অন্দের থাকা একাধিক উপকারি উপাদান, পাতাটি পোড়ানোর সময়ে বাতাসে মিশতে শুরু করে। তারপর শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে সেই বাতাস যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তখন দেহের অন্

|

আচ্ছা আপনাদের কি জানা আছে বাড়িতে নিয়মিত তেজ পাতা পোড়ালে অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়? না, একথা এই প্রথম শুনছি যে তেজ পাতাকে এইভাবেও কাজে লাগনো যায়। কিন্তু তেজ পাতা পোড়ালে ঠিক কী হয়? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তেজ পাতার অন্দের থাকা একাধিক উপকারি উপাদান, পাতাটি পোড়ানোর সময়ে বাতাসে মিশতে শুরু করে। তারপর শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে সেই বাতাস যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তখন দেহের অন্দরে একাধিক পরিবর্তন হতে শুরু করে। ফলে বেশ কিছু রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...

১. ক্লান্তি দূর হয়:

১. ক্লান্তি দূর হয়:

অফিসে আজ একের পর এক কাজ করতে করতে কী হাঁপিয়ে পরেছেন? তাহলে বাড়িতে এসে ১-২ টো তেজপাতা জ্বালাতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে দেখবেন নিমেষে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পিনাইন, সিনেওল এবং এলিমেসিনের মতো উপাদান, যা ধোঁয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা মাত্র নার্ভের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটতিও দূর হয়। ফলে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না।

২. আরশোলা এবং পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমায়:

২. আরশোলা এবং পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমায়:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে তেজ পাতা পোড়ানোর সময় যে ধোঁয়া বেরোয়, তার চোটে আরশোলা সহ একাধিক পোকামাকড় বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। ফলে এই সব প্রাণীর শরীরে থেকে ক্ষতিকর জীবাণু ছড়িয়ে পরে নানাবিধ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. ব্রেন পাওয়ার বাড়ে:

৩. ব্রেন পাওয়ার বাড়ে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তেজ পাতার পোড়ানোর সময় তা থেকে বেরনো ধোঁয়া যদি কম করে ১০ মিনিট ইনহেল করতে পারেন, তাহলে ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা এতটা মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে মনোযোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কগনিটিভ অ্যাকটিভিটিও বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গত, তেজ পাতায় উপস্থিত পিনেইন, সিনেওল এবং এলিমিসিন নামক একাধিক কেমিকেল শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:

৪. অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে তেজ পাতা পোড়ানোর সময় সেই ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে মস্তষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে অ্যাংজাইটি, টেনশন এবং মানসিক চাপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়। প্রসঙ্গত, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব নার্স অ্যানেস্থেসিস্ট-এর প্রতিনিধিদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে তেজ পাতার গন্ধ নাকে গেলে ব্রেন অ্যাকটিভিটিও বাড়তে শুরু করে।

৫. ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে:

৫. ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে:

ইউ এস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে প্রতিদিন ১-৩ গ্রাম পোড়ানো শুরু করলে ইনসুলিনের উৎপাদন এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে রক্তে শর্করার মাত্র বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, এই পরিমাণ তেজ পাতা যদি প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলেও কিন্তু সমান উপকার মেলে।

৬. শরীরের অন্দরে প্রদাহ কমায়:

৬. শরীরের অন্দরে প্রদাহ কমায়:

তেজ পাতার অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার দেহের অন্দরে হতে থাকা প্রদাহ কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জয়েন্ট পেন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণাও কমে যায়। প্রসঙ্গত, তেজ পাতার অন্দরে ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. রেসপিরেটরি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৭. রেসপিরেটরি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে তেজ পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে বায়ু দূষণের কারণে যাতে ফসুফসের কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে এই প্রকৃতিক উপাদনটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফুসফুসের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে। এক্ষেত্রে তেজ পাতা না পুড়িয়ে পরিষ্কার গরম জলে কয়েকটি তেজ পাতা ফেলে ভাপ নিন। দেখবেন নিমেষে সর্দি-কাশি তো কমবেই। সেই সঙ্গে ফুসফুসও তরতাজা হয়ে উঠবে।

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

তেজ পাতার অন্দের থাকা ইগুয়েনাল নাম উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর শরীরের কর্মক্ষমতা যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ব্য়বস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ছাট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, আসন্ন শীতকালে সুস্থ থাকতে আজ থেকেই প্রতিদিন তেজ পাতা পোড়াতে শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

8 Benefits to Burning Bay Leaves

The bay leaf has long been a common addition to various dishes due to its ability to aid in digestion and relieve a number of respiratory and anti-inflammatory discomforts, with a multitude of cultures around the world valuing it as a popular spice to this day.In addition to its historical and culinary uses, the bay leaf has also been held as a sacred tool for cleansing one’s space and alleviating stress, anxiety, and unpleasant energy. Ancient temples routinely burned bay leaves to clear the space and heighten one’s intuitive powers, and today the practice of burning bay leaves in one’s home is resurfacing in practice.
Story first published: Wednesday, July 4, 2018, 10:04 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion