Just In
হ্যাপি উইমেন্স ডে: মহিলারা সুস্থ থাকতে চান তো? তাহলে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি!
আজ এই প্রবন্ধে এমন কতগুলি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি, যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে কোনও দিন কোন রোগ আপনাদের ছুঁতে পারবে না।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তাই ভাবলাম এমন একটা প্রবন্ধ লিখলে হয় না যেটা পড়ে আমার মা, বোন এবং বন্ধুদের কিছুটা সাহায্য হতে পারে। তাই কলম ধরলাম।
আজ এই প্রবন্ধে এমন কতগুলি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি, যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে কোনও দিন কোন রোগ আপনাদের ছুঁতে পারবে না। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও এতটা বৃদ্ধি পাবে যে সফলতা আপনার রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। শুনতে একটু আজব লাগছে তাই তো! কিন্তু বিশ্বাস করুন এই পদ্ধতিগুলি সত্যিই বেজায় কার্যকরী।
পুরুষ এবং মহিলাদের শরীরের গঠনে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে সেইসব ফারাকগুলো চোখে না পরলেও বাস্তবে কিন্তু পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের শরীর অনেক বেশি জটিল। তাই তো মেয়েদের বেশি করে নিজেদের খেয়াল রাখা উচিত। আর আজকালকার দিনের মেয়েরা তো দশভুজা! একদিকে ঘর সামলাচ্ছেন, অন্য দিকে অফিস। তাই তো আপনাদের কাছে অনুরোধ আজীবন সুস্থ থাকতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চলুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
প্রসঙ্গত, মেয়েরা আরেকটি ভুল কাজ করে থাকেন, যা একেবারেই করা উচিত নয়। বাড়ি এবং প্রিয়জনদের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজেদের খেয়াল রাখতে পারেন না। ফলে নানা রোগ আপনাদের ঘিরে ধরে। এবার থেকে নিজের দিকেও একটু খেয়াল করুন। ভুলে যাবেন না আপনি গৃহস্থের স্তম্ভ। তাই আপনার যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু সংসারটাই ভেসে যাবে। এই কারণেই এই নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি।
টিপস ১:
কম পরিমাণে ধূমপান এবং মদ্যপান করুন। কারণ এই দুই কুঅভ্যাস কীভাবে শরীরকে নষ্ট করে দেয়, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। তাই রোগমুক্ত জীবন যদি পেতে চান, তাহলে ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন থেকে দূরে থাকুন।
টিপস ২:
যে যে রোগের ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলি নিতে পারেন কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখবেন। কী বিষয়? বেশিরভাগ মহিলাই ৪০-এর পর থেকে ক্যালসিয়াম ডেভিসিয়েন্সি এবং অ্যানিমিয়ার মতো রোগে ভুগে থাকেন। এই দুটি রোগের প্রকোপ কমাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা জরুরি।
টিপস ৩:
শরীরের অন্দরের যেমন খেয়াল রাখতে হবে, তেমনি দেহের বহিরাংশের খেয়াল না রাখলে কিন্তু বেজায় বিপদ! তাই অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে যাতে ত্বকের কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? খুব সহজ! বাড়ির বাইরে যখনই বেরবোন, তখনই সান স্ক্রিন লাগানো শুরু করুন। এমনটা করলে আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে একাধিক ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমতে শুরু করবে।
টিপস ৪:
যেসব রোগ শুধুমাত্র মেয়েদেরই হয়ে থাকে, যেমন- পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের বিষয়ে একটু জেনে নিন। বিশেষত লক্ষণগুলি সম্পর্কে। এমনটা করলে অনেক মারণ রোগকেই আপনি প্রথম স্টেজে আটকে দিতে পারবেন। ফলে দীর্ঘ কষ্টের হাত থেকে তা বাঁচবেনই, সেই সঙ্গে আয়ু কমে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
টিপস ৫:
স্ট্রেস হল এমন একটি বিষ, যা একটু একটু করে শেষ করে দেয় মানব জীবনকে। বিশেষত মেয়েদের শরীরের উপরে তো মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই আজ থেকেই স্ট্রেসকে টাটা বাই-বাই বলুন। আর এমনটা করবেন কীভাবে? খুব সহজ! নিয়মিত প্রণায়ম করা শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন স্ট্রেস লেভেল কমে যাওয়ার কারণে অনেক রোগ দূরে থাকবে। প্রসঙ্গত, যারা মা হওয়ার কথা ভাবছেন, তারা স্ট্রেস থেকে নিজেদের যথটা সম্ভব দূরে রাখুন। কারণ মানসিক চাপ শুধু আপনার উপর নয়, আপনার বাচ্চার উপরও কিন্তু কুপ্রভাব ফেলে থাকে।
টিপস ৬:
প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে একটা ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিন। প্রসঙ্গত, যাদের বয়স একটু বেশির দিকে তারা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চিকিৎসকের পরমর্শ নিন। তাহলে দেখবেন অনেক রোগকেই গোড়াতেই সারিয়ে ফেলতে পারছেন। সেই সঙ্গে বেশি করে খাওয়া শুরু করুন ফল এবং সবুজ শাক-সবজি। সেই সঙ্গে রোজের ডায়েট চার্টে রাখুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করেছে।
টিপস ৭:
পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে দেখতে পাবেন গত কয়েক বছরে মহিলাদের মধ্যে হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পয়েছে। তাই তো সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করার প্রয়োজন রয়েছে। আর যদি নিয়মিত জিমে যাওয়ার সময় করে উঠতে না পারেন, তাহলে প্রতিদিন কম করে ৩০ মিনিট হাঁটা শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।