Just In
- 1 hr ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 3 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 5 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 21 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
লাল চা পান করা কি আদৌ উচিত?
নিয়মিত সকাল-বিকাল লাল চা পান করলে করনারি আর্টারির ক্ষত সেরে ওঠে। ফলে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়
ব্রিটিশরা এদেশে না আসলে কি যে হত কে জানে! ২০০ বছরের রাজত্বে ভারতীয়দের রক্ত চুষে অ্যানিমিক বানিয়ে দিলেও গোড়া চামড়ার ব্যবসায়ীরা বেশ কয়েকটি ভাল কাজও করেছিল, যার সুফল আজও আমরা পেয়ে চলেছি।
কী এমন করল গোড়া পল্টনেরা যে আজ সক্কাল সক্কাল এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে? দেখুন মশাই একথা তো মানবেন যে প্লেনের ভাড়া গত কয়েক বছরে পকেট ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠলেও এখনও সিংহভাগ ভারতীয়র ভ্রমণের সঙ্গী হল ট্রেন, যা ইংরেজরা না আসল হত কিনা জানা নেই। শুধু কী তাই, এই যে জাপানীদের পরেই ভারতীয়দের নাম উঠে আসে চায়ের দুনিয়ায়, সেটাও কি সম্ভব হত ইংরজরা না এলে?
কি ঠিক বলেছি তো? যদিও আজকের এই গুণকির্তন রেল আবিষ্কারের জন্য করছি না, করছি চায়ের জন্য়। মানে! আসলে সম্প্রতি হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লিকার চা, মানে গোদা বাংলায় যাকে আমরা লাল চা বলে থাকি, তা শরীরের উপকারে দারুনভাবে কাজে লাগে। দেখা গেছে নিয়মিত চিনি ছাড়া লিকার চা খেলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া এবং দাঁতের ক্ষয় রোধেও এই পানীয়ের কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। তবে লাল চায়ের কেরামতি এখানেই শেষ হয়ে যায় না, আরও বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায় এই পানীয় থেকে। যেমন...
১. হার্টের রোগ দূরে থাকে:
নিয়মিত সকাল-বিকাল লাল চা পান করলে করনারি আর্টারির ক্ষত সেরে ওঠে। ফলে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। আর একবার হার্ট ঠিক মতো কাজ শুরু করে দিলে রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।
২. ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমে:
লাল চায়ে উপস্থিত ট্যানিন্স নামে একটি উপাদান ইন্টেস্টাইনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ডায়ারিয়া রোগীদের চিনি ছাড়া লাল চা পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও জেনে রাখা জরুরি যে বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতিতেও নানাভাবে লাল চা নিজের কেরামতি দেখিয়ে থাকে। ফলে হজমের সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
৩. অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমে:
বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে লিকার চা পানের সময় আমাদের শ্বাসনালী প্রসারিত হয়ে যায়। ফলে অক্সিজেন ঠিক মতো ফুসফুসে পৌঁছাতে কোনও সমস্যাই হয় না। এই কারণেই তো শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের লাল চা খাওয়া পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে হওয়া এক গবেষণায় দেখা গেছে দিনে ৩-৪ কাপ লিকার চা পান করলে শরীরে জমতে থাকা এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। আর যেমনটা আপনাদের সবারই জানা আছে যে কোলেস্টেরল হার্টের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই এই উপাদানটির মাত্রা কমে যাওয়ার অর্থ হল হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কাও হ্রাস পাওয়া।
৫. ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:
লাল চায়ে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর গ্লোবিউলিন হরমোনের ঘাটতি দূর করে। এই হরমোনটি ব্রেস্ট ক্যান্সারেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিক নেয়। শুধু তাই নয়, এই পানীয়টিতে থাকা থিয়েফ্লেবিন নামে একটি উপাদান শরীরে বাসা বাঁধার পরিকল্পনা করা ক্যান্সারে সেলেদের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না।
খেয়াল রাখা জরুরি:
কথায় আছে না প্রকৃতির শরীরে জন্ম নেওয়া সবকিছুতেই ভাল-মন্দ দুই রয়েছে, কোনটাকে আমরা বেছে নিচ্ছি সেটাই আসল। যেমন লাল চায়ের কথাই ধরুন না। এই পানীয়টি শরীরের কত উপকারে লাগে দেখলেনই তো! কিন্তু একথা কি জানেন যে বেশি মাত্রা লাল চা খাওয়াও আবার উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে অ্যাসিডের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একই কারণে লাঞ্চ বা ডিনারের পরেও লিকার চা খাওয়া উচিত নয়। তাহলে দিনে ক কাপ চলতে পারে? কখনোই ৩-৪ কাপের বেশি নয়।