Just In
ইউ টি আই-এর মার থেকে দূরে থাকতে চাইলে এই নিয়মগুলি মানা মাস্ট!
তলপেটে যন্ত্রণা দিয়ে শুরু হয়। তারপর ধিরে ধিরে জ্বালা-যন্ত্রণা সারা শরীরকে এমনভাবে গ্রাস করে যে মাঝে মাঝে কষ্ট সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তলপেটে যন্ত্রণা দিয়ে শুরু হয়। তারপর ধিরে ধিরে জ্বালা-যন্ত্রণা সারা শরীরকে এমনভাবে গ্রাস করে যে মাঝে মাঝে কষ্ট সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতির শিকার প্রায় প্রতিটি মহিলাকেই তাদের জীবনকালে একবার না একবার হতেই হয়। কারও কারও তো মাঝে মধ্যেই ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশেন হয়ে থাকে। তাই তো আজ এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে এমন ধরনের রোগ কামড় বসানোর সুযোগই পায় না।
ইউরিনারি ট্রাক্ট কিডনিকে স্পর্শ করে ব্লাডার, ইউরেটার এবং ইউরেথরা পর্যন্ত গেছে। এই রাস্তা ধরেই ইউরিন বেরিয়ে আসে শরীরের বাইরে। শরীরের এই অংশে যে ইনফেকশন হয়ে থাকে, তাকেই চিকিৎসা পরিভাষায় ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন বা "ইউ টি আই" বলা বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সাদারণত যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পেয়ে থাকে, সেগুলি হল- তলপেটে যন্ত্রণা, লোয়ার পেলভিসে চাপ অনুভূত হওয়া, বারে বারে প্রস্রাবের বেগ আসা, প্রস্রাবের সময় জ্বালা এবং কষ্ট হওয়া, ইউরিন চেপে রাখতে কষ্ট হওয়া, প্রস্রাবের রং বদলে যাওয়া, ইউরিনে রক্ত আসা প্রভৃতি।
এক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিত এবং পেন কিলারের সাহায্যে মূলত চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। আর যেমনটা আপনারা সকলেই জানেন যে বারে বারে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই তো ইউ টি আইকে দূরে রাখতে চিকিৎসকেরা এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যে গাইডলাইনটা মেনে চললে বাস্তবিকই এমন রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়, সেটি হল...
১. বেশি করে জল খেতে হবে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ইউ টি আইকে যদি আটকে রাখতে হয়, তাহলে জলের থেকে শক্তিশালী অস্ত্র আর কিছু নেই। সেই কারণে তো মহিলাদের দৈনিক ৩-৪ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরো। কারণ যত বেশি করে জল খাওয়া হবে, তত জীবাণু ইউরিনের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যাবে একেবারে কমে। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকেদের মতে যাদের এই ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি, তাদের প্রতি ঘন্টায় এক গ্লাস করে জল খেতে হবে। এমনটা করলে ইউ টি আই ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
২. ক্র্যানবেরি জুস:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে থাকা পলিফেনল নামে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জীবাণুদের মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ই.কোলাই-এর মতো ব্যাকটেরিয়াকে শরীরে প্রবেশ করতে দেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইউ টি আই-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। তাই এমন সংক্রমণের থেকে দূরে থাকতে চান তো প্রতিদিন ক্র্যানবেরি জুস খেতে ভুলবেন না যেন!
৩. দই খেতে হবে বেশি করে:
আমাদের শরীরের অন্দরে নানা ধরনের উপকারি ব্যাকটেরিয়া থাকে। যারা সময়ে-অসময়ে আমাদের নানাবিধ রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে। সেই সঙ্গে ইউ টি আই-এর মতো সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। তাই তো এমন উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যাতে বৃদ্ধি পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজটা কিভাবে করবেন? এক্ষেত্রে নিয়মিত দই খাওয়ার অভ্যাস করলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না। কারণ দই এমন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে কী সিদ্ধান্ত নিলেন? রোজ দই খাবেন তো?
৪. রসুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা মাস্ট!
বিড়লা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের গবেষকরা একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেছে রসুনের হল সেই অস্ত্র, যাকে কাজে লাগিয়ে ইউ টি আই-কে একেবারে বাগে আনা সম্ভব! তাই এমন কষ্টকর রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করতেই হবে। প্রসঙ্গত, রসুন যে কেবল সংক্রমণ কমায়, তা নয়, সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে সকাল বেলা খালি পেটে কাঁচা রসুন যেমন খেতে পারেন, তেমনি রসুন দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। মধ্যা কথা যেভাবেই খান না কেন, উপকার মিলবেই মিলবে!