For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

২৫-৬০ বছর বয়সিদের নিয়মিত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে! না হলে কিন্তু...!

গত কয়েক বছর ধরে হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগ আমাদের চারিপাশ থেকে ঘিরে ধেরেছে। দেওয়ালে ঠেকে গেছে আমাদের পিঠ। তবু আমরা লড়াই করছি না।

By Nayan
|

গত কয়েক বছর ধরে হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগ আমাদের চারিপাশ থেকে ঘিরে ধেরেছে। দেওয়ালে ঠেকে গেছে আমাদের পিঠ। তবু আমরা লড়াই করছি না। উল্টে আত্মসমর্পনের পথ বেছে নিয়েছি। যে কারণে প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। এটা কি আমরা ঠিক করছি? মনে তো হয় না!

এক্ষেত্রে তাহলে কী করণীয়? বেশ কিছু দিন আগে ল্যান্সেট মেডিকেল জার্নালে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে কেবল মাত্র শারীরিক সচলতাই আমাদের এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে। আসলে গত কয়েক বছর ধরে ভারত সহ মোট ১৭ টি দেশের প্রায় ১.২ লক্ষ কম বয়সি যুবকদের উপর করা ল্যান্সেটের এক সমীক্ষার পর একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে পারলে পরিস্থিতির পরিবর্তন অনেকাংশেই সম্ভব। আর যদি শরীরচর্চার পিছনে ৩০ মিনিট খরচ করতে না পারেন, তাহলেও কোনও ক্ষতি নেই। সেক্ষেত্রে শরীরচর্চার পরিবর্তে অফিস যদি বাড়ি কাছাকাছি হয়, তাহলে হেঁটে যাতায়াত শুরু করুন অথবা প্রতিদিন ১৫-৩০ মিনিট সাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন। সেই সঙ্গে লিফ্টের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এগুলি করলেও দেখবেন নানাবিধ মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। আসলে শরীরচর্চা করার সময় আমাদের সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ খুব বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিও গলতে শুরু করে। যে কারণে একদিকে যেমন হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়, তেমনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টরলের মতো রোগও দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জার্নাল সার্কুলেশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে ২৫-৬৫ বছর বয়সিরা যদি নিয়মিত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করেন ,তাহলে হার্টের বয়স কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্ট অ্যাটাক বা কোনও ধরেনর হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। আসলে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হার্টে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে অক্সিজেন প্রবেশের মাত্রা কম করে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে হার্টের ক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না।

এখন প্রশ্ন হল নিয়মিত কী কী এক্সারসাইজ করতে হবে? একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে সহজ ৫ টি এক্সারসাইজ যদি প্রতিদিন করা যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে। এই পাঁচটি শরীরচর্চা হল যথাক্রমে- হাই প্ল্যাঙ্ক, স্কোয়াট, পুশ আপ, রিভার্স লাঞ্জ এবং বার্পি। প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট এই এক্সারসাইজগুলি করতে পারলে একাধিক উপকার মেলে। যেমন...

১. মনোবল বৃদ্ধি পায়:

১. মনোবল বৃদ্ধি পায়:

একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে নিয়মিত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীর এবং মন এতটাই চনমনে হয়ে ওঠে যে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। ফলে শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে সাফল্য় পেতে কোনও বাঁধারই সম্মুখিন হতে হয় না।

২. নিমেষে মন ভাল হয়ে যায়:

২. নিমেষে মন ভাল হয়ে যায়:

এক্সারসাইজ করার সময় মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে মন-মেজাজ একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই এবার থেকে মন খারাপ করলেই কিছুটা সময় হাত-পা নেরে নেবেন। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

৩. ওজন কমে:

৩. ওজন কমে:

অতিরিক্ত ওজন একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে ওজন যত বাড়তে থাকে, তত রোগের ডিপো হয়ে ওটে আমাদের শরীরটা। তাই তো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। দেখা গেছে প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলে দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট চোখে পরার মতো কমে যায়।

৪. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৪. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে শরীরচর্চা করার সময় আমাদের মস্তিষ্কের হিপোকম্পাস অংশটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুসারে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে স্মৃতিলোপ বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের প্রকোপ মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্মৃতিশক্তিকে আগলে রাখাটা যে কতটা প্রয়োজনের, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।

৫. স্ট্রেস কমে:

৫. স্ট্রেস কমে:

কাজের চাপ তো আছেই। সেই সঙ্গে আরও নানা কারণে যেভাবে কম বয়সিদের জীবনে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ছে তা বাস্তবিকই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই তো মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো উচিত। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ বন্ধুরা! এখন প্রশ্ন হল স্ট্রেসকে বাগে আনবেন কিভাবে? এক্ষেত্রে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এক্সারসাইজ করার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে নোরেপিরেফিরিন নামে এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, শরীরচর্চার সময় ঘামের সঙ্গে রক্তে মিশে থাকা নানাবিধ টক্সিক উপাদানও বেরিয়ে যায়। এই কারণেও মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

গত কয়েক বছর ধরে হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগ আমাদের চারিপাশ থেকে ঘিরে ধেরেছে। দেওয়ালে ঠেকে গেছে আমাদের পিঠ। তবু আমরা লড়াই করছি না। উল্টে আত্মসমর্পনের পথ বেছে নিয়েছি। যে কারণে প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার।

Enough has been said about the benefits of exercise and physical activity. Experts have time and again emphasized its role in overall health and fitness. Turns out that proper exercise may do wonders for your heart as well. Yes you heard us, in addition to keeping you fit and agile, mild exercise( If done enough and properly) may reverse damage to sedentary, ageing hearts. It may also play a preventive role in risk of heart failure for middle-aged and senior citizens' notes a study.
Story first published: Thursday, January 11, 2018, 17:44 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion