Just In
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তো? তাহলে এই অ্যাপগুলি ডাইনলোড না করার ভুল কাজটা করলেন কিভাবে?
স্ট্রেস-ডিপ্রেশন-অ্যাংজাইটি, এই তিনটি কফিনে জীবিত অবস্থাতেই বন্দি করা হচ্ছে আমাদের। ফলে ধীরে ধীরে অক্সিজেনের অভাবে মারা মরছি আমরা।
স্ট্রেস-ডিপ্রেশন-অ্যাংজাইটি, এই তিনটি কফিনে জীবিত অবস্থাতেই বন্দি করা হচ্ছে আমাদের। ফলে ধীরে ধীরে অক্সিজেনের অভাবে মারা মরছি আমরা। এমনটা আর কতদিন চলবে। কোথায় তো থামতে হবে। না হলে যে মহামারির আকার নেবে মানসিক চাপ।
পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে কম বয়সিদের মধ্যে স্ট্রেস-জিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পয়েছে। আজকাল তো প্রতি চার জন ভারতীয়ের মধ্যে ১ জন অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের শিকার। শুধু তাই নয়, ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনে আক্রান্ত, যে কারণে আত্মহত্যার সংখ্যাও লাইয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত ২৫-৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুসারে আমাদের দেশে প্রতি ঘন্টায় একজন করে ছাত্র আত্মহত্যা করছে, যার পিছনে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মূল কারণ।
এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপে ভুগলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। ফলে একে একে একাধিক মারণ রোগ এসে বাসা বাঁধে দেহে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, স্ট্রোক, ওজন বৃদ্ধি, মাথা যন্ত্রণা, স্মৃতি লোপ প্রভৃতি।
চিকিৎসেকেদর মতে ছাত্রজীবন হোক কী কর্মজীবন, প্রতি সেকেন্ডে প্রতিযোগিতা এত বাড়ছে যে অনেক সময়ই সেই চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে অনেকে। কিন্তু এমন মারণ ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায় কী? এক্ষেত্রে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ লাগাম ছাড়া হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। কিন্তু সমস্যাটা হল কাজের চাপে অনেকেই এমন ফেসে যে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময়টুকুও তাদের হাতে নেই। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন তিনটি অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি নিয়ন্ত্রণে দারুন কাজে আসতে পারে।
এই প্রবন্ধে এমন তিনটি অ্যাপের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে, যা আজকের পরিস্থিতিতে দারুনভাবে কাজে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যাপগুলি হল...
১. ও এম জি ক্যান আই মেডিটেট:
এই অ্যাপটি আপানকে শেখাবে কিভাবে কম সময়ে, ঠিক পদ্ধতি মেনে প্রাণায়ম করা যায়। যদি প্রশ্ন করেন, প্রাণায়ম করে কী হবে? তাহলে তার উত্তর হল, প্রাণায়মই হল সেই ব্রহ্মাস্ত্র যাকে কাজে লাগিয়ে খুব কম সময়ে স্ট্রেসকে বাগে আনা সম্ভব। তাই এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে এই অ্যাপটি মনকে চাঙ্গা করে তুলতে দারুনভাবে কাজে আসতে পারে। প্রসঙ্গত, স্ট্রেস কমানোর নানাবিধ কার্যকরী তথ্য রয়েছে এই অ্যাপটিতে। তাই যারা নানা কারণে মানসিকচাপে ভুগছেন, তারা আর সময় নষ্ট না করে যত শীঘ্র সম্ভব অ্যাপটা ডাইনলোড করে নিন। দেখবেন উপকার মিলবে।
২. ডিসস্ট্রেসিফাই:
ব্রিদিং এক্সারসাইজের মাধ্যমে কিভাবে স্ট্রেস কমাতে হয়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে এই অ্যাপটি। প্রসঙ্গত, মানসিক চাপ কমানোর এই পদ্ধতিটি এতটাই কার্যকরী যে কাজের ফাঁক মাত্র কয়েক মিনিট খরচ করলেই আপনার স্ট্রেস লেভেল নিমেষে কমে যাবে। তাই আর অপেক্ষা নয়, যদি সত্যিই হাজারো চাপের মাঝেও সুস্থ-সুন্দর জীবন পেতে চান, তাহলে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা মাস্ট!
৩. প্য়াসিফিকা:
কগনেটিভ এবং বিহেভিওরাল থেরাপির উপর নির্ভর করে বানানো এই অ্যাপটি স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি লেভেল কমানোর নানাবিধ সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস কমানোর বেশ কিছু কার্যকরী চিকিৎসা সম্পর্কেও খোঁজ দেয়। এক কথায়, মানসিক চাপ যদি একটা অন্ধকরা গলি হয়, তাহলে সেই অন্ধকারে আপনার প্রকৃতি বন্ধু হয়ে ওঠার সব গুণই মজুত রয়েছে এই অ্যাপে।