For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

এই ১২ টা কারণে আপনার প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে পনির খাওয়া উচিত...!

|

দুধ খেতে ভাল লাগে না? এমনকি দইও না পাসান্দ! তাহলে তো বন্ধু শরীরকে বাঁচাতে রোজের ডায়েটে পনির মাখনি, মটর পনির, শাহি পনির অথবা পালক পনিরের মতো পদ রাখতেই হবে, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ শরীরকে বাঁচাতে এমন কিছু উপাদানের প্রয়োজন পরে, যা দুধ অথবা দুগ্ধজাত খাবারেই বেশি মাত্রায় থাকে। তাই তো দুধ-দইয়ে অরুচি থাকলে পনিরের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই...!

একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে ১০০ গ্রাম পনিরে রয়েছে কম করে ১৮.৩ গ্রাম প্রোটিন, ২০.৮ উপকারি ফ্যাট, ২.৬ গ্রাম মিনারেল, ১.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৬৫ কেসিএল এনার্জি, ২০৮ এমজিএস ক্যালসিয়াম, ১৩৮ এমজি ফসফরাস এবং আরও কত কী! প্রসঙ্গত, এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। বিশেষত একাধিক রোগকে দূরে রাখতে পনিরের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

পনির দিয়ে বানানো নানা পদ খাওয়া শুরু করলে সাধারণত শরীরের যে যে উপকারগুলি হয়, সেগুলি হল...

১. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

১. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

আজকাল কি কারণে-অকারণে বেজায় ক্লান্ত লাগছে? তাহলে বন্ধু রোজের ডায়েটে পনিরকে অন্তর্ভুক্ত করতে দেরি করবেন না যেন! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পনির খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাবে এনার্জির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

২. আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের কষ্ট কমে:

২. আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের কষ্ট কমে:

পনিরে উপস্থিত ওমেগা থ্রী এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে জয়েন্টের সচলতা বৃদ্ধি পেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের প্রকোপও কমে। তাই তো বলি বন্ধু, যারা নানাবিধ হাড়ের রোগের শিকার, তারা পনিরের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাততে ভুলবেন না যেন!

৩. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৩. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

অল্পতেই যাদের গ্যাস-অম্বল হয়ে যায়, তারা নিয়মিত পনির খেলে দারুন উপকার পেতে পারেন। আসলে এই খাবারটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে ডাইজেশান প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়,সেই সঙ্গে কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

৪. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৪. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

শুনতে অবাক লাগলেও একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পনিরে উপস্থিত পটাশিয়াম, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও এই ডেয়ারি প্রডাক্টের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই দীর্ঘদিন যদি হার্টকে চাঙ্গা রাখতে হয়, তাহলে নিয়মিত পনির খেতে ভুলবেন না যেন!

৫. ফলেটের ঘাটতি মেটে:

৫. ফলেটের ঘাটতি মেটে:

গর্ভাবস্থায় ভাবী মায়েদের শরীরের গঠনে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, দেহের অন্দরে লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি দূর করতেও ফলেট বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো শরীরকে সুস্থ রাখতে এই উপাদানটির কোনও সময় যাতে ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পনির। কীভাবে? বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে এই দুগ্ধজাত খাবারটির শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফলেট, যা দেহের অন্দরে এই উপকারি উপাদানটির চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

৬. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে একদিকে যেমন হাড় দুর্বল হতে শুরু করে, সেই সঙ্গে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনও বৃদ্ধি পায়। তাই তো প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ দুধে এই খনিজটি রয়েছে প্রচুর মাত্রায়, যা হাড়ের পুষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হল আপনি তো দুধ খেতে পছন্দ করেন না। তাহলে করবেন কী? সেক্ষেত্রে নিয়মিত পনির খাওয়া মাস্ট! কারণ দুধের মতো অত পরিমাণে না হলেও পনিরেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, যা শরীরে এই খনিজটির ঘাটতি মেটাতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।

৭. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৭. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

পনিরে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং রাইবোফ্লেবিন ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে যাতে এনার্জির ঘাটতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। প্রসঙ্গত, রাইফ্লেবিনের পাশাপাশি পনিরে প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, থিয়ামিন, নিয়াসিন এবং ফলেট নামেও বিশেষ কিছু উপাদানের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। এই উাপাদানগুলি হজম কক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে, রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বাজে কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়:

৮. প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়:

পেশীর উন্নতিতে যেমন কাজে লাগে, তেমনি শরীরের অন্দরে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে প্রোটিন। তাই তো দেহে যাতে এই উপাদানটি ঘাটতি কোনও ভাবেই না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পনির। তাই যাদের মাছ-মাংস খাওয়ার সেভাবে সুযোগ নেই, তারা পনির খাওয়া শুরু করতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৯. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে:

৯. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে:

পনিরে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি শরীরের অন্দরে এমন খেল দেখায় যে ব্রেস্টে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার সুযোগই পায় না। প্রসঙ্গত, হাওয়ার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একদল গবেষক টানা ১৬ বছর ধরে এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন। পরীক্ষাটি চলাকালীন তারা লক্ষ করেছিলেন ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই দুটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় রয়েছে পনিরে। তাই এই দুগ্ধজাত খাবারটি সপ্তাহে বার দুয়েক খেলে কী উপকার মিলতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।

১০. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

১০. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে রোজের ডায়েটে পনিরের অন্তর্ভুক্তি মাস্ট! কারণ প্রটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি খেলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, পনিরে লাইনোলেইক অ্যাসিড নামে একটি উপাদানও রয়েছে, যা শরীরের ইতি-উতি জমে থাকা মেদকে দ্রুত গলিয়ে ফেলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

১১. ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে:

১১. ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে:

পনির রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম। এই খনিজটি শরীরের অন্দরে বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা একদিকে যেমন হাড়ের গঠনে সাহায্য করে, তেমনি ব্রেন ফাংশনে উন্নতি ঘটায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ম্যাগনেসিয়ামের কারণে শরীরে ক্ষরিত হওয়া এনাজইমগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষণতার উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১২. দাঁত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে:

১২. দাঁত শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে পনিরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, যা শরীরে প্রবেশ করার পর হাঁড়কে যেমন শক্তপোক্ত করে, তেমনি দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

12 healthy reasons you should add more paneer to your diet!

Paneer is mostly liked by all the people as it is very easy to prepare and digest including richest source of healthy nutrients. It is high protein food considered as best food for the body building. Generally it is eaten on daily basis by the vegetarian people to fulfill their protein need of the body. Some of the most important health benefits of the paneer are mentioned below:
Story first published: Wednesday, November 7, 2018, 10:16 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion