Just In
- 2 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 2 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 5 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 8 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
হেঁচকি বন্ধের ঘরোয়া টোটকা!
হেঁচকি বন্ধের ঘরোয়া টোটকা!
অফিস মিটিং-এ তুমুল প্রেজেন্টেশনের মাঝে হঠাৎ কেলো! হেঁচকির চোটে আশিষের প্রায় দম বন্ধের অবস্থা। এদিকে মিটিং রুমে উপস্থিত সবাই তাকিয়ে ওর দিকে। এবার...
আশিষের মতো অবস্থা আকছার সবার সঙ্গেই হয়ে থাকে। আর এই সময় বেশিরভাগই জলের উপর ভরসা রেখে সমস্যা দূরের চেষ্টা করেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে হেঁচকি বন্ধে আরও কিছু সহজ পদ্ধতি আছে, যা মেনে চললে নিমিষে এই ধরনের সমস্যাকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব। শুধু তাই নয়, হেঁচকির প্রকোপকে একেবারে কমিয়ে ফেলতেও এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুন উপকারে লাগে। তাই আপনিও যদি হেঁচকির চোটে চিন্তায় থাকেন, তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
আমাদের গলায় স্বচ্ছ একটি পর্দা রয়েছে যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ডায়াফরগাম বলে। এটি প্রতি মিনিটে খোলে এবং বন্ধ হয়। যখন ডায়াফরগাম বন্ধ হয়ে, তখন ভোকাল কর্ডও বন্ধ হয়ে যায়। তাই তো এই সময় ডোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন পরে। এই সময়ই হেঁচকি ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, বেশিভাগরেই হেঁচকি ওটে কয়েক মিনিট জন্য। কিন্তু এমনও অনেকে আছেন যাদের এমন সমস্যা প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে চলতে থাকে।
কেন ওঠে হেঁচকি? নানা কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালকোহল সেবন করলে, বেশি ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে, স্ট্রেস এমনকী তাড়াতাড়ি খাবার খেলেও হেঁচকি ওঠার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সময় থাকতে থাকতে যদি হেঁচকির উপর নিয়ন্ত্রণ আনা না যায়, তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে অনিয়ন্ত্রিত হেঁচকির কারণে নার্ভ ড্যামেজ, রেসপিরেটারি প্রবলেম, পেটের সমস্যা প্রভৃতি নানা ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তবে সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে হেঁচকিকে একেবারে বাগে আনা সম্ভব। কী সেইসব নিয়ম? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. চকোলেট:
সবার বাড়িতেই কম-বেশি চকোলেট পাইডার থাকে, কি তাই তো? সেই কারণেই তো এবার থেকে হেঁচকি ওঠা শুরু হলে অল্প করে চকোলেট পাউডার খেয়ে নেবেন, দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগবে না।
২. এলাচ:
এটি পেশির প্রদাহ কমায়। তাই তো এই ধরনের সমস্যা কমাতে এলাচকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এক চামচ এলাচ পাউডার নিয়ে এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতো করে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন আরাম পাবেন।
৩. বাদামের মাখন:
এক চামচ বাদাম পেস্ট নিয়ে মুখে রেখে দিন কয়েক সেকেন্ড। তারপর গিলে ফেলুন। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। ফলে কমবে হেঁচকির প্রকোপ।
৪. গার্গেল:
খেতে খেত হেঁচকি উঠছে? সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস ঠান্ডা জল নিয়ে গার্গেল করতে থাকুন। এই পদ্ধতিটি হেঁচকির প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে।
৫. ঠান্ডা জল:
যখনই হেঁচকি উঠবে, যত শীঘ্র সম্ভব এক গ্লাস ঠান্ডা জল খাবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে।
৬. ঝাল সস:
বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে হেঁচকি ওঠার সময় যদি অল্প করে ঝাল কিছু খেয়ে নেওয়া যায়, তাহলে সমস্যা কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এমনটা করলে ব্রেনের ফোকাস সরে যায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়।
৭. লেবু:
এই ফলটি এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। কেন জানেন? কারণ লেবুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মুহূর্তে নার্ভকে স্টিমুলেট করে। ফলে নিমেষে হেঁচকি বন্ধে যায়। তাই তো এবার থেকে হেঁচকি উঠলেই একটা লেবু কেটে তার রস, এক গ্লাস জলে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন সেকেন্ডে সমস্যা কমে যাবে।
৮. চিনি:
এই খাবারটি সেভাবে শরীরের কোনও কাজে না এলেও এই ধরনের সমস্যায় কিন্তু বেশ কাজে লাগে। কীভাবে এক্ষেত্রে চিনিকে কাজে লাগানো যেতে পারে? এক চামচ চিনি মুখে নিয়ে না চিবিয়ে কয়েক সেকেন্ড রেখে দিন। এমনটা করলে ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়।
৯. গরম জল আর মধু:
এক চামচ মধু, এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রন খাওয়ার সময় কিছুক্ষণ জিভের তলায় রেখে তারপর গিলে ফেলুন। এমনটা করলে হেঁচকির সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
১০. বরফ:
এবার থেকে হেঁচকি উঠলেই এক টুকরো বরফ নিয়ে চুষতে থাকবেন। এমনটা করলে দেখবেন বেশ উপকার পাবেন।