Just In
- 12 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 13 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 15 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 19 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
ফল খেলে সুফল পাবেন
ত্বককে ভাল রাখতে হলে কি কি করা উচিত? শুধুই কি ক্রিম বা প্রসাধনীর সাহায্য নিতে হবে? এরকম কিছু ভাবলে সেটা আমাদেরই ভুল। কারণ, ত্বককে ভাল রাখতে হলে সবার আগে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বদল আনতে হবে। তা না হলে, আমাদের শরীর যেমন ভালো থাকবে না, তেমনই তার প্রভাব পরবে ত্বকের ওপরেও। তাই ত্বক এবং শরীরকে ভাল রাখতে হলে সবার আগে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, ভাজাভুজি, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, স্ন্যাক্স ইত্যাদি, সেই জায়গায় খাওয়া অভ্যাস করুন বেশ কিছু ফল। যা আপনার শরীর এবং ত্বক দুয়েরই যত্ন নেবে। তো দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ফল আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
১. আপেল
ত্বকের যত্নে আপেল খুবই উপাকারি। কারণ আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এছাড়াও, আপেলের মধ্যে আলফা হাইড্রোক্সিল অ্যাসিড পাওয়া যায়। ম্যালিক অ্যাসিড অনেকটা গ্লাইকোলিক এবং স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো, যা ত্বকের সমস্যা নিবারণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ম্যালিক অ্যাসিড ত্বককে সুস্থ, উজ্জ্বল এবং তারুণ্যে ভরপুর করে রাখে। সেই সঙ্গে নতুনভাবে ত্বকের কোষ গঠনে সহায়তা করে। এমনকি, ত্বকের প্রতিটি আস্তরণকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষাও করে। প্রসঙ্গত, আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায়, কোলোন পরিষ্কার করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। যার ফলে ত্বকে কোনোরকম ব্রণ বা সমস্যা সহজে হয় না।
২.অ্যাভোকাডো
সুন্দর ত্বক পেতে হলে এই ফলটি তালিকায় রাখতেই হবে। ভারতবর্ষের এখন সব জায়গায় এই ফলটি পাওয়া যায়। একটা কথা বলে রাখা ভাল, স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরামিষ মেয়োনিজ বানাতে অ্যাভোকাডো ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত সুস্বাদু এই ফলটি শুধু যে খেতেই দারুণ, তা কিন্তু নয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণও। অ্যাভোকাডোর মধ্যে বায়োটিন বা ভিটামিন বি৭ উপস্থিত থাকে, যা কোষের উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও, চুল এবং নখের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে ভিটামিন ই, যা ত্বককে যে কোনও রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে অ্যাভোকাডো খাওয়া মানেই ঝকঝকে, চিরনতুন, সমস্যাহীন ত্বকের অধিকারী হওয়া।
৩.কলা:
ফলের মধ্যে কলার মতো সস্তা অথচ স্বাস্থ্যগুণে ভরা ফল পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ। কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা ত্বককে আদ্র এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে যে কোনোরকম ত্বকের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে। কলা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, বলিরেখা এবং ভাঁজ পরার হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি ত্বকে কোনোরকম দাগ ছোপ থাকলে তাও দূর করে।
৪.কিউই:
কিউয়ির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এমনকি, কমলালেবুর মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে,তার থেকেও অনেক বেশি থাকে এই ফলটির মধ্যে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিউয়ির মধ্যে ৯৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থেকে। যেখানে ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে থাকে ৫৪ মিলিগ্রাম। ভিটামিন সি, অর্থাৎ, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে। একইসঙ্গে বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিউই ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ দেয়।
৫. লেবু:
অনেকেই আছেন, যারা পার্লারে না গিয়ে বাড়িতেই মুখে ব্লিচ করেন। আর ব্লিচ করার প্রধান উপাদান মানেই লেবু। এর কারণ, লেবুর মধ্যে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, এছাড়াও, ত্বকে কোনোরকম দাগ ছোপ থাকলে তা দূর করতে পারে এবং রোমকূপের মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে লেবুর রস। তাই তো পরিষ্কার ত্বক পেতে হলে, এক গ্লাস গরম জলে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। এই পানীয় শরীর ভাল তো রাখবেই, একইসঙ্গে ব্রণ বা অ্যাকনের দাগ দূর করতেও সাহায্য করবে।
৬.পেঁপে:
পেঁপে ত্বকের কত রকমের সাহায্য করতে পারে, তা কি সত্যিই বলার অপেক্ষা রাখে? প্রসাধনী সামগ্রীর বিজ্ঞাপনেও পেঁপের গুণাবলী বর্ণনা করা হয়। আসলে পেঁপে দিয়ে নানারকম ওষুধ, সাবান, ক্লিঞ্জার, ক্রিম তৈরি করা হয়। এছাড়াও, কাঁচা পেঁপে রান্না করে খেতে এবং পাকা পেঁপে খেতে কে না ভালবাসেন। দামে কম, অথচ এত গুণে ভরা পেঁপে তাই খাদ্য তালিকায় রাখা খুবই জরুরি। প্রসঙ্গত, পেঁপে ত্বককে উজ্জ্বল এবং সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। আসলে পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ অথবা বেটা ক্যারোটিন থাকে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি।
৭.আনারস:
ব্রোমেলেইনের নাম শুনেছেন? এই ব্রোমেলেইন হল একধরণের প্রদাহ বিরোধী উৎসেচক, যা মানবশরীরকে নানাভাবে উপকার করে। এই উৎসেচক ত্বকেরও দারুণভাবে উপকার করে। অনেকেই আনারসের রস মুখে ব্যবহার করে থাকেন, যার ফলে মরা কোষ পরিষ্কার হয়ে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বলতা লাভ করে। আনারসের মধ্যে এছাড়াও আছে নানা রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিকালের দ্বারা ত্বকের ক্ষতি হওয়াকে আটকাতে পারে। এছাড়াও, আনারস ত্বককে নরম করতে পারে এবং ত্বকের থেকে যে কোনোরকম দাগ দূর করতে পারে।