Just In
Don't Miss
ফর্সা ত্বক পেতে চান? কাজে লাগান মধুকে!
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি মধুকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার।
ইতিহাসের দিকে নজর ফেরালে জানতে পারবেন ভারতীয়দের মধ্যে ফর্সা হওয়ার হিরিক আজকের ঘটনা নয়। সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এদেশের মানুষ নানাভাবে ফর্সা হওয়া যায় কীভাবে, তার খোঁজে লাগিয়ে চলেছে। আর আজকের ডেটে তো ফেয়ারনেস ক্রিমের মার্কেট শেয়ার এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০-৭০ শতাংশে। আর এই সুযোগে একাধিক বহুজাতিক কোম্পানিও লেগে পরেছে কোটি কোটি টাকার ব্য়াঙ্ক ব্য়ালেন্স বানাতে। কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রশ্নটা থেকে গেছে যে এই সব বাজার চলতি ক্রিম ব্যবহার করে কি সত্যিই ফর্সা হওয়া যায়?
গবেষণা বলছে এইসব ক্রিম কোনও ভাবেই ফর্সা হতে সাহায্য করে না। উল্টে হাজারো কেমিকাল ত্বকের অন্দরে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে স্কিনের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে শুরু করে। তবে তাই বলে ভাববেন না স্কিন টোনের পরিবর্তন আদৌ সম্ভব নয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি মধুকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। তাই অল্প দিনেই যদি উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারি হয়ে উঠতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলতে দেরি করবেন না যেন!
প্রায় ৫০০০ বছর আগে থেকে শুরু হওয়া মধুর ব্যবহার আজ এক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। এখন তো নানা পদ বানানো থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, সবেতেই এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগানো হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও কাজে লাগানো হচ্ছে এই সুস্বাদু খাবারটিকে। তাহলে আর আপেক্ষা কেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজে লাগানো যেতে পারে মধুকে।
১. ব্রণর প্রকোপ কমায়:
অল্প পরিমাণ মধু নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করার পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে মুখটা ধুয়ে নিন। এইভাবে প্রতিদিন ত্বকের পরিচর্যা করলে ব্রণর প্রকোপ তো কমবেই, সেই সঙ্গে ডার্ক সার্কেল এবং কালো ছোপ ছোপ দাগ মিলিয়ে যেতেও সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, ড্রাই স্কিনের সমস্যা মেটাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে মধুর অন্দরে থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান ত্বকের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর এলিমেন্টদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিন সেলের ক্ষতও দূর করে। এই কারণেই তো ত্বক সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
২. স্কিন ইনফেকশনের প্রকোপ কমায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মধুর অন্দরে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে ফলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো নিয়মিত মধুর সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করলে সংক্রমণের ফাঁদে পরার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৩. বলিরেখার প্রকোপ কমায়:
স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা আজকের দিনে খুব সাধারণ ঘটনা। এমন পরস্থিতিতে ত্বককে সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে কেমিকেল মেশানো কসমেটিক্স ব্যবহার না করে মধুর সাহায্য নেওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপাকার পাবেন। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে দেয়। ফলে বলিরেখা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে এক চামচ মধু, সম পরিমাণ পেঁপে, দুধ অথবা দইয়ের একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রনটি মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মুখটা ধুয়ে নিতে হবে।
৪.মুখের দাগ মিলিয়ে যায়:
নানা ধরনের ত্বকের রোগের কারণে হওয়া দাগ মিলিয়ে দিতে মধুর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত অল্প পরিমাণ মধু মুখে লাগিয়ে যদি মাসাজ করা যায়, তাহলে অল্প দিনেই যে কোনও দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না।
৫. ঠোঁটের যত্নে কাজে আসে:
প্রতিদিন রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে অল্প পরিমাণ মধু নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ঠোঁট ফাটার সমস্যা আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে না।
৬. ত্বক পরিষ্কার করতে কাজে লাগে:
হাফ চামচ মধু হাতে নিয়ে ভাল করে ঘষে নিয়ে মুখে লাগিয়ে মাসাজ করুন। কিছু সময় অপেক্ষা করে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। এমনটা প্রতিদিন করতে থাকলে দেখবেন ত্বকের অন্দরে জমতে থাকা ক্ষতিকর উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করবে। ফলে যে কোনও ধরনের ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে।
৭. ত্বক ফর্সা হয়ে উঠবে:
স্কিন টোনের উন্নতি ঘটাতে বাস্তবিকই মধুর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক চামত দইয়ের সঙ্গে দেড় চামচ মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এমনভাবে যদি নিয়মিত মুখের পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলে অল্প দিনেই ত্বকের সৌন্দর্য তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগবে না।