Just In
শীতে খুশকির সমস্যা বেড়েছে? ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে মিলবে চটপট মুক্তি!
অত্যধিক দূষণ, ধুলো-ময়লা ও সঠিক যত্নের অভাবে অনেকেই সারাবছর খুশকির সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে, শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে খুশকি আরও বেড়ে যায়। অত্যধিক খুশকি হওয়ার কারণে চুল ভাঙতে শুরু করে, পাশাপাশি চুল রুক্ষ-শুষ্ক ও ফ্রিজী হয়ে যায়। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে আমরা কত কিছুই না করি, কিন্তু তারপরেও এই সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। তবে খুশকি থেকে মুক্তি পেতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্যাস্টর বিনস থেকে তৈরি হয় ক্যাস্টর অয়েল। এই তেল চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, পাশাপাশি মাথার ত্বকের চিকিৎসায়ও কাজে আসে। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে ক্যাস্টর অয়েল। ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই তেল চুলে পুষ্টি সরবরাহ করে, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চুল পড়া কমায়। সঠিক পদ্ধতিতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে খুশকি থেকে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের সঠিক উপায়।
ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতা
ক্যাস্টর অয়েলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা চুলের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। এই তেল ব্যবহারে স্ক্যাল্পের ইনফেকশন কম হয়, চুলে পুষ্টি জোগায় এবং খুশকি কমায়। ক্যাস্টর অয়েল লাগালে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে, মাথার ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থেকে অনেকটাই স্বস্তি মেলে। ক্যাস্টর অয়েল একটি প্রাকৃতিক তেল, যা চুলের কোনও ক্ষতি করে না। মাথার ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে।
আরও পড়ুন : লম্বা-ঘন চুল চান? আজ থেকেই ব্যবহার করুন ক্যাস্টর অয়েল!
কীভাবে চুলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন
ক্যাস্টর অয়েল খুবই চটচটে প্রকৃতির হয়। এটি সরাসরি চুলে না লাগিয়ে, অলিভ অয়েল এবং নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগান। চুলে ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর জন্য, দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে দুই চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। তারপর মাথার ত্বক ও চুলে ভালভাবে লাগান। তেল লাগানোর সময় চুলে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। রাতে চুলে তেল লাগিয়ে পরের দিন অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন। হালকা হলুদ রঙের এই তেল ব্যবহারে খুশকি যেমন কমবে, তেমনই চুল হবে সফ্ট ও স্মুথ। এছাড়াও, এটি চুলের গোড়া মজবুত করে ও নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।