Just In
Don't Miss
ত্বকের হাজারো সমস্যা থেকে নিমেষে মুক্তি দেবে এই মশলা ও ভেষজগুলি!
সফ্ট, উজ্জ্বল ত্বক প্রত্যেকেই চায়। ত্বককে নিখুঁত, কোমল করে তুলতে আমরা অজস্র বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কিন্তু সবসময় আশানুরূপ ফলাফল মেলে না। তাই, ত্বকের যত্নে আপনি ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বিভিন্ন ভেষজ এবং দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত বিভিন্ন মশলা ত্বকের যত্নে দারুণ উপকারি। হাজার হাজার বছর ধরে ত্বকের যত্নে ভেষজ এবং মশলার ব্যবহার হয়ে আসছে। এমনকি আয়ুর্বেদেও এর স্পষ্ট বর্ণনা আছে।
মশলা যে শুধুমাত্র খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। কিছু কিছু মশলা আমাদের ত্বকের জন্যও খুবই উপকারি। এছাড়াও, বিভিন্ন ভেষজ আমাদের ত্বকের সমস্যাগুলি দূর করে এবং ত্বককে সুন্দর করে তোলে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন মশলা এবং ভেষজ আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে।
১) হলুদ
প্রাচীনকাল থেকেই হলুদ ঔষধি রূপে ব্যবহার হয়ে আসছে। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি এটি ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারি। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন থাকে, যা রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং প্রদাহ কমায়। এমনকি, ত্বককে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি থেকেও রক্ষা করে।
হলুদের সাথে ময়দা, মধু এবং দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে পাতলা ভাবে লাগান এবং শুকিয়ে নিন। তারপর হালকা ভাবে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন।
২) ক্যামোমাইল
ক্যামোমাইলে alpha-bisabolol নামক যৌগ রয়েছে, যা রিঙ্কেল কমাতে খুবই কার্যকরি। এছাড়াও, ব্রণ, ত্বকে পোড়া এবং একজিমার মতো ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সক্ষম।
আপনি এর চা বানিয়ে পান করতে পারেন। ক্যামোমাইল ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সহায়ক। তবে এই ফুলটি সবার ত্বকের সাথে খাপ নাও খেতে পারে। তাই ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন।
৩) অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা সূর্যের রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে, ডেড সেল পরিষ্কার করতে এবং ব্রণ কমাতে খুবই কার্যকরি। অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের ত্বক নিরাময়ে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা "Plant of immortality" অর্থাৎ অমরত্বের গাছ নামেও পরিচিত, যা ব্যাপকভাবে বার্ধক্য বিরোধী হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বকের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
৪) দারুচিনি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর দারুচিনি, ত্বককে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, এতে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য এটি ব্রণ সারাতে খুবই কার্যকরি।
এক চা চামচ দারুচিনি এবং দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে, হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ক্ষত এবং চুলকানি সারাতে বিশেষভাবে কার্যকরি।
ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা নিমেষেই দূর করে কর্পূর! জানুন এর উপকারিতা
৫) ধনেপাতা (সিলান্ট্রো)
ধনেপাতা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে পারে। এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে, যা ত্বক পরিষ্কার করে। এছাড়াও, এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে স্মুথ রাখে। ধনেপাতায় আয়রন, বিটা ক্যারোটিনও বর্তমান। এগুলি ত্বককে সুন্দর ও সফ্ট রাখে। ধনেপাতার রস ব্রণর সমস্যা দূর করে, ত্বককে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে।
৬) গ্রিন টি
জাপানিদের সুন্দর ত্বকের গোপন অস্ত্র হল এই গ্রিন টি। গ্রিন টি-তে আন্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি এজিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। গ্রিন টি দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে এবং সানস্পট কমাতেও সক্ষম।
গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি যুক্ত কোনও সিরাম বা লোশন রোদে বেরোনোর ৩০ মিনিট আগে ব্যবহার করলে, ডিএনএ ড্যামেজ এবং সানবার্ন থেকে রক্ষা করতে খুব ভালো কাজ করে। গ্রিন টি ত্বকের ভারসাম্যতা বজায় রাখতেও দুর্দান্ত কাজ করে।