Just In
- 36 min ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 2 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 2 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 16 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
Don't Miss
হ্যাপি উইমেন্স ডে: অল্প দিনেই চুলকে সুন্দর করে তুলতে কাজে লাগাতে পারেন এই প্রকৃতিক উপাদনগুলিকে!
এই প্রবন্ধে চোখ রেখে জেনে নিতে পারেন সেই সব প্রকৃতিক উপাদনগুলি সম্পর্কে যেগুলি কাজে লাগিয়ে অল্প দিনেই চুলের সৌন্দর্যকে বাড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে কমিয়ে ফেলা সম্ভব চুল পড়ার হারও।
বায়ু দূষণের কারণে চুলের বারোটা বেজে যাওয়াটা আজ রোজের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত হারে হেয়ার ফল যেমন বেড়েছে। তেমন আরও নানাবিধ রোগের প্রকোপও বেড়েছে চোখে পরার মতো। এমন পরিস্থিতিতে দুটো কাজ করা যেতে পারে। এক, চুলের স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটিয়ে সার্বিক সৌন্দর্যের বলিদান ঘটাতে পারেন। আর দুই, এই প্রবন্ধে চোখ রেখে জেনে নিতে পারেন সেই সব প্রকৃতিক উপাদনগুলি সম্পর্কে যেগুলি কাজে লাগিয়ে অল্প দিনেই চুলের সৌন্দর্যকে বাড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে কমিয়ে ফেলা সম্ভব চুল পড়ার হারও।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে এই প্রবন্ধে আলোচিত প্রকৃতিক উপাদানগুলিকে যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে কাজে লাগানো যায়, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে চুলের সৌন্দর্য তো বাড়েই। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকার পাওয়া যায়। তাহলে আর অপেক্ষা কেন সময় নষ্ট না করে চোখ রাখুন বাকি প্রবন্ধে।
১. ভৃঙ্গরাজ:
৫-৬ চামচ ভৃঙ্গরাজ পাতার পাউডার নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রনটি ধীরে ধীরে স্কাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এমনভাবে সপ্তাহে তিনবার যদি চুলের পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলে চুল পড়ার হার একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে চুলের গ্রোথ এমন মাত্রায় বেড়ে যায় যে মাথা ভর্তি চুলের স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।
২. আমলকি:
এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও সব উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানেরা বেরিয়ে য়েতে শুরু করে। ফলে একদিকে রোগের প্রকোপ যেমন কমে। তেমনি স্কাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। ফলে খুশকির প্রকোপ কমে চোখে পরার মতো। আর যদি আমলকির সঙ্গে অল্প করে শিকাকাই মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! এক্ষেত্রে ৫-৬ চামচ আমলকির পাউডারের সঙ্গে সম পরিমাণে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রনটা স্কাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাটির সাহায্যে স্কাল্পের পরিচর্যা করতে হবে সপ্তাহে তিনবার। তবেই পাবেন উপকার। প্রসঙ্গত, শিকাকাই পাউডাক যদি মেশাতে চান, তাহলে আমলকির পাউডারের সঙ্গে মেশাতে হবে। তারপর তাতে অল্প করে গরম জল মিশিয়ে বানিয়ে নিতে হবে পেস্ট।
৩. নিম:
চুল এবং স্কাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নিমের ব্যবহার বহুকাল আগে থেকেই হয়ে আসছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন! এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান স্কাল্পের অন্দরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়াকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে চুল পড়ার হার তো কমেই। সেই সঙ্গে চুলের গ্রোথও ভালভাবে হতে থাকে। প্রসঙ্গত, খুশকির প্রকোপ কমাতে, স্কাল্পের অন্দরে আদ্রতা বজায় রাখতে এবং একজিমার প্রকোপ কমাতেও নিমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এখন প্রশ্ন হল এক্ষেত্রে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে নিম পাতাকে? ২ চামচ নিম পাতার সঙ্গে ২ কাপ জল মিশিয়ে জলটা ফুটিয়ে নিন। ১৫ মিনিট ফোটানোর পর জলটা ছেঁকে নিয়ে সেই জলটা দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে প্রতি সপ্তাহে যদি চুলের দেখভাল করতে পারেন, তাহলেই কেল্লাফতে!
৪. অশ্বোগন্ধা:
হেয়ার ফল কমানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে স্কাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই একই সমস্যা শিকার যদি আপনিও হয়ে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই অশ্বোগন্ধাকে চুলের পরিচর্যায় লাগাতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে ৩ চামচ অশ্বোগন্ধা পাউডারের সঙ্গে ৩ চামচ আমলকির পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে ৬ চামচ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানাতে হবে। তারপর পেস্টটি স্কাল্প এবং চুলে লাগিয়ে কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ভাল করে ধুয়ে নিতে মাথাটা। এমনটা করলে স্কাল্পে কর্টিজলের হার কমতে শুরু করে। ফলে হেয়ার ফল কমতেও সময় লাগে না।
৫. মেথি:
খুশকির প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি চুল পড়া কমাতে এবং স্কাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই চুলের সৌন্দর্য যদি বাড়াতে চান, তাহলে ২ চামচ মেথি পাউডারের সঙ্গে ৩ চামচ জল মিশিয়ে থকথকে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্টটা স্কাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মাথাটা ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ৩ বার চুলের পরিচর্যা করলে দেখবেন চুলের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগবে না।