Just In
মুখের সঙ্গে নিন শরীরেরও যত্ন
আমরা অনেকেই, বিশেষ করে মহিলারা মুখের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে খুব বেশীভাবেই সচেতন। তাই মুখে মাখার ক্রিম থেকে প্রসাধনী- সব কিছুই ড্রেসিং টেবিলে বিরাজমান থাকে। তবে, এই ক্ষেত্রে আমরা যত্ন করতে ভুলে যাই বা গুরুত্ব দিই না শরীরের অন্যান্য অংশগুলোকে। আর মুখ মণ্ডলের পরিচর্যা এবং শরীরের বাকি অংশের পরিচর্যার মধ্যে যেহেতু পার্থক্য আছে, তাই বাজারে ত্বকের যত্নের জন্য যেমন প্রসাধনী দ্রব্য আছে, তেমনই শরীরের অন্যান্য অংশগুলোর জন্যও রয়েছে পৃথক ধরনের ক্রিম বা লোশন।
ইতিমধ্যেই বোল্ডস্কাই আপনাদের মুখের যত্নের জন্য বহু উপায়ের খোঁজ দিয়েছে। তবে, আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে ভালো রাখবেন আপনার শরীরের অন্যান্য অংশকেও। একই সঙ্গে জানাবো, ঘরে বা পার্লারে বসে কিভাবে নিজেকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করবেন বডি পলিশিং-এর মাধ্যমে।
বডি পলিশিং করার ফলে আমাদের ত্বকের বহুদিক থেকে উপকার হয়, যেমন-
১.
ত্বকের
সার্বিক
অবস্থার
উন্নতি
ঘটায়।
২.
নানারকম
সমস্যা
যেমন
ছোপ,
ত্বক
ফেটে
যাওয়া,
অবাঞ্ছিত
লোম
গজানো
রোধ
করে
এবং
ত্বকে
জেল্লা
বাড়াতে
সাহায্য
করে।
৩.
ত্বকের
উপরিভাগের
মরা
কোষ
দূর
করতে
সাহায্য
করে।
৪.
ত্বককে
প্রয়োজনমত
আর্দ্র
রাখে।
৫.
দূষণ
এবং
ময়লার
কারণে
ক্ষতিগ্রস্থ
ত্বক
থেকে
বাড়তি
কোষ
দূর
করতে
সাহায্য
করে।
৬.
আমাদের
শরীরের
অসংখ্য
রোমকূপগুলোর
ভেতর
থেকে
ময়লা
বের
করতে
সাহায্য
করে।
৭.
ত্বক
নরম
এবং
মসৃণ
হতে
সাহায্য
করে
৮.
ত্বকে
জেল্লা
বাড়াতে
সাহায্য
করে
৯.বডি
পলিশিং
করার
ফলে
আমাদের
শরীর
থেকে
ক্লান্তি
দূর
হয়
এবং
ত্বকে
নতুন
জীবন
দান
করে।
সুতরাং জানা গেল, বডি পলিশিং এর মাধ্যমে কিভাবে ত্বককে সুন্দর এবং সুস্থ রাখা যায়। তবে, যদি বাড়িতেই বডি পলিশিং করতে চান, তাহলে মাত্র দুটি উপায়েই তা করতে পারেন-
১।
প্রথমে
গরম
জলে
সারা
শরীর
ধুয়ে
নিতে
হবে,
যাতে
রোমকূপগুলির
মুখ
আলগা
হয়ে
যেতে
পারে।
২।
চেষ্টা
করতে
হবে
সঠিক
বডি
মাস্ক
বা
প্যাক
ব্যবহার
করা,
যাতে
শরীর
থেকে
ময়লা,
মরা
কোষ
ইত্যাদি
দূর
হয়ে
যেতে
পারে।
এবার দেখে নেওয়া যাক, কি কি উপাদান দিয়ে সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায় বডি স্ক্রাব।
পদ্ধতি
১
বডি
পলিশিং-এর
প্রথম
শর্তই
হল
সঠিক
বডি
স্ক্রাব
বেছে
নেওয়া।
আমাদের
দৈনন্দিন
ব্যবহারযোগ্য
উপাদান
দিয়েই
খুব
সহজে
তৈরি
করে
নেওয়া
যায়
বডি
স্ক্রাবার।
যেমন,
বেসন,
মুসুর
ডাল
গুড়ো,
চন্দন
গুড়ো,
হলুদ
গুড়ো
এবং
দুধ।
মূলত,
বডি
স্ক্রাবারের
প্রধান
কাজই
হল
ত্বকের
ময়লা
ও
মরা
কোষ
দূর
করা
এবং
জেল্লা
বৃদ্ধি
করা।
এবার জেনে নিন, আমাদের খুব পরিচিত কিছু উপাদান কিভাবে আমাদের ত্বকের যত্নে সাহায্য করে।
বেসন:
আমরা
সাধারণত
চপ
এবং
বড়া
জাতীয়
খাবারগুলি
তৈরি
করতে
বেসন
ব্যবহার
করে
থাকি।
অতি
পরিচিত
এই
উপাদান
কিন্তু
ত্বক
চর্চাতেও
দারুণ
কার্যকরী।
বেসন
ব্যবহারের
ফলে
শরীর
থেকে
মরা
কোষ
দূর
হয়।
এমনকি,
পা
এবং
ঘাড়,
যেখানে
সবথেকে
বেশী
ময়লা
হয়,
সেক্ষেত্রেও
দারুণ
কাজ
দেয়
বেসন।
মুসুর
ডাল
গুড়ো:
মুসুর
ডালের
সবথেকে
বড়
গুণ
হল
এটি
ত্বক
থেকে
অবাঞ্ছিত
লোম
দূর
করতে
সাহায্য
করে।
একই
সঙ্গে
ময়লা
এবং
অতিরিক্ত
তেল
ত্বক
থেকে
বের
করে
দেয়।
চন্দন
গুঁড়ো:
চন্দন
বাটা
বা
চন্দন
গুঁড়ো
বহু
প্রাচীনকাল
থেকেই
ভারতীয়রা
তাদের
ত্বক
পরিচর্যায়
ব্যবহার
হয়ে
আসছে।
চন্দন
গুঁড়ো
সবরকম
ত্বকের
জন্যই
ভীষণ
কার্যকরী।
এটি
ব্যবহারের
ফলে
ত্বক
থেকে
কালো
দাগ,
ছোপ,
ব্রণ,
অ্যাকনির
মতো
বিভিন্ন
সমস্যা
থেকে
সহজেই
মুক্তি
মেলে।
হলুদ
গুঁড়ো:
আমাদের
সকলেরই
জানা
আছে
যে
হলুদে
প্রচুর
পরিমাণে
রোগ
প্রতিরোধ
ক্ষমতা
এবং
জিবানুনাশক
গুণাবলী
রয়েছে।
হলুদ,
ত্বকের
জ্বালা
করা,
চুলকানি
এইসব
সমস্যা
থকে
মুক্তি
দেয়।
একইসঙ্গে
ত্বকের
জেল্লাও
বৃদ্ধি
করে।
মধু
অথবা
গোলাপ
জল:
মধু
এবং
গোলাপজল
ত্বকের
ধরনের
ওপর
নির্ভর
করে
ব্যবহার
করা
যায়।
মধু
মূলত
তৈলাক্ত
ত্বকের
জন্য
ভীষণভাবে
উপকারী।
আবার
গোলাপ
জল
ব্যবহার
করা
উচিৎ
অপেক্ষাকৃত
শুষ্ক
ত্বকে।
এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে স্ক্রাব বানানো যাবেঃ
উপাদান-
১.
১
চামচ
চন্দন
গুঁড়ো
২.
১
টা
চা
চামচের
চার
ভাগের
এক
ভাগ
হলুদ
গুড়ো
৩.
২
টেবিল
চামচ
বেসন
৪.
১
টেবিল
মুসুর
ডালের
গুঁড়ো
৫.
১/২
কাপ
মধু
বা
গোলাপ
জল
৬.
একটি
কাঁচের
পাত্র
পদ্ধতি
১
১.
কাঁচের
পাত্রে
বেসন,
মুসুর
ডালের
গুঁড়ো,
চন্দন
গুঁড়ো,
হলুদ
গুঁড়ো
নিতে
হবে।
২.
সবগুলিকে
একসঙ্গে
ভালো
করে
মেশাতে
হবে।
৩.
এবার
মধু
বা
গোলাপ
জল
মেশাতে
হবে।
খেয়াল
রাখবেন
মিশ্রণটি
যেন
বেশ
ঘন
হয়।
ব্যবহার
বিধি:
১.বডি
স্ক্রাবটি
তৈরি
হয়ে
গেলে
একটি
ব্রাশের
দ্বারা
সারা
শরীরে
লাগাতে
হবে।
২.মনে
রাখতে
হবে,
এই
স্ক্রাবটি
যেন
খুব
পাতলা
না
হয়,
তাহলে
এটি
ব্যবহার
যোগ্য
হবে
না।
৩.
বডি
স্ক্রাবটি
লাগিয়ে
২০
মিনিট
অপেক্ষা
করতে
হবে।
যদি
মনে
হয়
যে,
মিশ্রণটি
শরীরে
ভালো
করে
শুকিয়ে
যায়নি,
তাহলে
আরও
কিছুক্ষণ
গায়ে
রেখে
দিতে
হবে।
বডি
স্ক্রাবটি
পুরোপুরি
শুকিয়ে
গেলে
ঠাণ্ডা
জল
দিয়ে
ধুয়ে
ফেলতে
হবে
পদ্ধতি
২
বডি
মাস্ক
তৈরি
করার
সময়
মনে
রাখতে
হবে
যে
কোনও
উপাদানের
পরিমাণ
কম
বা
বেশী
হলে
তা
কোনওভাবেই
ত্বকে
আশানুরূপ
কাজ
করতে
পারবে
না।
বডি
মাস্ক
তৈরি
করে
প্রায়
২-৩
মাস
রেখে
দেওয়া
যায়।
তবে,
খেয়াল
রাখতে
হবে,
হাওয়া
বা
জলে
তা
যেন
ক্ষতিগ্রস্থ
না
হয়।
বডি
মাস্ক
সারা
শরীরের
সঙ্গে
মুখেও
ব্যবহার
করা
যায়।
মুসুর
ডালঃ
মুসুর
ডালের
ব্যবহার
ত্বকের
যত্নে
প্রাচীন
কাল
থেকেই
হয়ে
আসছে।
মুসুর
ডাল
ত্বকে
সরাসরি
ব্যবহার
করার
নিয়ম
হল,
মুসুর
ডাল
ভালো
করে
গুড়ো
করে
নিতে
হবে।
মুগ
ডাল:
মুগ
ডাল
শুধু
ত্বকের
যত্নেই
নয়,
চুলের
যত্নেও
ভীষণভাবে
উপকারী।
প্রচুর
পরিমাণে
ভিটামিন
এ
এবং
সি
থাকায়
মুগ
ডাল
ত্বকে
পুষ্টি
জোগায়
এবং
ত্বককে
নরম
করে
তোলে।
বেসনঃ
বেসনের
গুণাগুণ
তো
আগেই
বলা
হয়েছে।
ত্বককে
পরিষ্কার
করতে
এবং
জেল্লা
বাড়াতে
বেসন
দারুণ
এক
উপাদান।
চালের
গুড়ো:
চালের
গুড়ো
ত্বকের
যত্নে
অতি
প্রয়োজনীয়
একটি
উপাদান।
ব্লেন্ডারে
অতি
সহজেই
চালের
গুড়ো
বানিয়ে
নেওয়া
যায়।
চালের
মধ্যে
প্রচুর
পরিমাণে
ফেরুলিক
অ্যাসিড
এবং
অ্যালানটয়েন
থাকার
ফলে
এটি
প্রাকৃতিক
সানস্ক্রিনেরও
কাজ
করে
থাকে।
অ্যামন্ড
বা
কাঠ
বাদাম:
কাঠ
বাদাম
ত্বকের
জন্য
খুবই
ভালো।
প্রতিদিন
ডায়েটে
একটি
করে
কাঠবাদাম
থাকা
খুবই
জরুরি।
এছাড়াও
ত্বকের
যত্নে
এর
জুড়ি
মেলা
ভার।
চিরঞ্জি:
চিরঞ্জি প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকে আর্দ্রতা এবং প্রয়োজনীয় তৈলাক্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ
গুড়ো:
মেকআপ
ছাড়া
ত্বকে
লাবন্য
ফেরাতে
চান?
আর
বেশ
ফর্সা
রঙ?
তাহলে
আজ
থেকেই
হলুদ
ব্যবহার
করা
শুরু
করুন।
এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বানাবেন ফেস মাস্ক।
উপাদান:
১.
একটি
কাপের
তিন
ভাগের
এক
ভাগ
মুসুর
ডাল
২.
একটি
কাপের
তিন
ভাগের
এক
ভাগ
সবুজ
মুগ
ডাল
৩.
১
টেবিল
চামচ
বেসন
৪.
১
টেবিল
চামচ
চালের
গুড়ো
৫.
৫-৮
টি
অ্যামন্ড
বা
কাঠ
বাদাম
৬.
১/২
টেবিল
চামচ
চিরঞ্জি
৭.
চার
ভাগের
এক
ভাগ
হলুদ
গুড়ো
৮.
দুধ
পদ্ধতি:
১.
একটি
ব্লেন্ডারে
পরিমাণ
মতো
মুসুর
ডাল,
মুগ
ডাল,
বেসন,
চালের
গুড়ো,
কাঠ
বাদাম
এবং
চিরঞ্জি
নিতে
হবে।
এবার
ভালো
করে
গুড়ো
করে
নিতে
হবে।
তারপর
একটি
পাত্রে
২-৩
মাসের
জন্য
তুলে
রেখে
দিতে
হবে।
২.
প্রয়োজন
অনুযায়ী,
তৈরি
করে
রাখা
বডি
মাস্কের
গুঁড়ো
থেকে
এক
বড়
চামচ
পরিমাণ
বাটিতে
নিতে
হবে।
গুঁড়োটির
মধ্যে
এবার
চারভাগের
এক
ভাগ
হলুদ
গুড়ো
মেশাতে
হবে।
এরপর
পরিমাণ
মতো
দুধ
দিতে
হবে।
খেয়াল
রাখতে
হবে,
মিশ্রণটি
যেন
ঘন
হয়।
৪.
তৈরি
করা
মিশ্রণটি
সারা
শরীরে
ব্রাশ
দিয়ে
লাগাতে
হবে।
৫.
মিশ্রণটি
লাগিয়ে
৩০
মিনিট
অপেক্ষা
করতে
হবে।
৬.
এবার
হালকা
ঈষদুষ্ণ
জল
দিয়ে
সারা
গা
ধুয়ে
নিতে
হবে।
ভালো
কোনও
বডিলোশন
মেখে
নিতে
হবে।