Just In
গোলাপ জলের উপকারিতা
ত্বককে সুন্দর করতে গোলাপ জলের কোনও বিকল্প নেই। এই প্রবন্ধটি পড়ে জেনে নিন গোলাপ জল ব্য়বহারের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে।
আমরা প্রায় সকলেই জানি গোলাপ জল ত্বকের জন্য় খুব ভালো। কিন্তু কীভাবে ব্য়বহার করলে এটি থেকে সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যেতে পারে তা কিন্তু আমাদের অনেকের জানা নেই। তাই তো এই প্রবন্ধে গোলাপ জল ব্য়বহারের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
সৌন্দর্য বাড়াতে গোলাপ জলের কোনও বিকল্প নেই। ড্রাই স্কিন হোক, কী ব্রণর সমস্য়া, সব ধরনের ত্বকের রোগেই গোলাপ জল দারুন কাজে আসে। তাই তো এর এত জনপ্রিয়তা। প্রসঙ্গত, গোলাপ জল ত্বককে প্রয়োজনীয় আদ্রতা প্রদান করে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য আপনা থেকেই বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন গোলাপ জল ত্বকে লাগান। দেখবেন ফল পাবেন হাতেনাতে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, গোলাপ জল যখনই কিনবেন, দেখে নেবেন তা নকল নয়তো।
এবার গোলাপ জল ব্য়বহারের নানা কার্যকরী উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হল...
১. চোখের ফোলাভাব কমায়:
গোলাপ জলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা চোখের চারপাশের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য় করে। ফ্রিজে পরিমাণ মতো গেলাপ জল কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর একটা তুলো সেই ঠান্ডা গোলাপ জলে চুবিয়ে চোখের চারিপাশে লাগান। চোকের পলকেই দেখবেন কমে যাবে চোকের চারপাশের ফোলাভাব।
২. শরাীরকে চাঙ্গা করে:
দিনের শেষে ক্লান্তি দূর করতে গোলাপ জলের কোনও বিকল্প নেই। স্নানের জলে কয়েক ড্রপ গোলাপ জল ফেলে স্নান করুন। ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে শরীরও তরতাজা হয়ে উঠবে। আসলে গোলাপ জলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বকের প্রদাহ তো কমাই, তার পাশাপাশি এর সুগন্ধের কারণে সার্বিকভাবে একটা ফ্রেশ ফিলিং হয়।
৩. মেকআপ তুলতে কাজে আসে:
একটা তুলোয় অল্প করে গোলাপ জলে নিয়ে মুখে লাগান। দেখবেন কেমন সুন্দরভাবে মেকআপ উঠে যায়। এখানেই শেষ নয়, মেক আপ তুলতে আরও একটি পদ্ধতি বেশ কাজে আসে। তুলোতে গেলাপ জল নিয়ে তার উপর অল্প করে নারকেল তেল নিন, তারপর সেই তুলো দিয়ে মুখটা ঘষুন। দেখবেন মেকআপ তো উঠবেই, সেই সঙ্গে ত্বকও সুন্দর হয়ে উঠবে। যাদের বাজার চলতি মেক আপ রিমুভার বা লোশন ব্য়বহার করলে অ্যালার্জি হয়, তারা নিশ্চিন্তে গোলাপ জল ব্য়বহার করতে পারেন।
৪. টোনার হিসাবে কাজে দেয়:
টোনার হিসাবে গোলাপ জল ব্য়বহার করলে ত্বকের ছিদ্রগুলি খুলে যায়, ফলে নোংড়া জমার সুযোগ পায় না। আর একথা তো সকলেরই জানা যে ত্বক পরিষ্কার থাকবে তো আপনা তেকেই সৌন্দর্য বাড়বে। এখানেই শেষ নয় প্রতিদিন যদি টোনার হিসাবে গোলাপ জল মুখে লাগানো যায় তাহলে ত্বক টানটান এবং উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ফলে বয়সের ছাপ পড়ার সুযোগই পায় না।
৫. আফটার শেভ থেরাপি:
ওয়েক্সিং-এর পর চুলকানি, প্রদাহ এবং ফুলে য়াওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই ধরনের অসুবিধা কমাতে গোলাপ জল দারুন কাজে আসে। তাছাড়া গোলাপ জলে এমন কিছু উপাদান আছে যা ত্বককে আদ্র রাখে। ফলে শেভিং-এর পর ত্বক যখন রুক্ষ হয়ে যায়, তখন গোলাপ জল লাগালে ত্বক তার হারানো আদ্রতা ফিরে পায়।
৬. শুষ্ক ত্বকের অসুবিধায়:
ত্বক মাঝে মাঝেই খুব ড্রাই হয়ে যায়? চিন্তা নেই আজ থেকেই গোলাপ জল মুখে লাগানো শুরু করুন। দেখবেন ত্বক কেমন প্রাণচ্ছল হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, ত্বককে মসৃণ বানানোর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের ব্য়াকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকেও ত্বককে বাঁচায় গোলাপ জল। তাই আজ থেকেই মুখে লাগাতে শুরু করুন এই তরলটি। ফল পাবেন অল্প দিনেই।
৭. নিমেষে ত্বককে উজ্জ্বল করে:
পরিষ্কার ত্বক পেতে চাইলে গোলাপ জল আপনার একমাত্র বন্ধু হতে পারে। পরিমাণ মতো ঠান্ডা গোলাপ জল নিয়ে মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক পরিষ্কার তো হবেই, সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতাও ফিরে পাবেন।