Just In
- 1 hr ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 1 hr ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 15 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 20 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
৫০-এও ২৫-এর মতো ফর্সা-সুন্দর স্কিন টোন পেতে চান কি?
দেখুন বস্ একটা কথা মানতেই হবে যে প্রতিটা দিন পেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা একটু একটু করে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে স্কিন যাচ্ছে আলগা হয়ে। ফলে কমছে সৌন্দর্যও।
দেখুন বস্ একটা কথা মানতেই হবে যে প্রতিটা দিন পেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা একটু একটু করে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে স্কিন যাচ্ছে আলগা হয়ে। ফলে কমছে সৌন্দর্যও। এদিকে চিকিৎসকেদের মতে বাজার চলতি অ্যান্টি-এজিং ক্রিম লাগালে নাকি হতে পারে নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা। তাহলে উপায় কী একটু বলতে পারেন?
এত চিন্তা করছেন কেন বন্ধু। আমরা, মানে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড বোল্ডস্কাই বাংলা আছে তো। তাই ফিকার নট! বরং কয়েক মিনিট ম্যানেজ করে এই প্রবন্ধটি একবার পড়ে ফেলুন। দেখবেন চিন্তা নিমেষে দূরে পালাবে।
আসলে এই লেখায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যেগুলি প্রতিদিন খেলে শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। সেই সঙ্গে শরীরেরও অনেক উপকার হয়। তাই তো ত্বককে চির সুন্দর রাখতে চাইলে প্রতিদিনের ডায়েটে এই খাবারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!
১. ডালিম:
ত্বকের পরিচর্যায় এই ফলটির কানও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ ডালিমের অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান সারা শরীরে রক্তের প্রবাহে উন্নতি ঘটিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে থাকা অ্যালেজিক অ্যাসিড নামক একটি উপাদান ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে স্কিনকে উজ্জ্বল, সুন্দর এবং টানটান করে তোলে। ফলে বলিরেখা গায়েব হতে সময় লাগে না।
২. অ্যাভোকাডো:
ত্বককে সুন্দর এবং তরতাজা রাখতে লাইনোলেইক অ্যাসিড এবং অ্যালফা লাইনোলিক অ্যাসিড নামক দুটি অ্যামাইনো অ্যাসিড বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই দুটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় রয়েছে অ্যাভোকাডোতে। তাই তো এই ফলটি নিয়মিত খেলে ত্বকের সৌন্দর্য কমার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, অ্যাভোকাডোতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও ত্বককে সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন থাকে।
৩. ডিম:
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও ডিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই কাজটি ডিম কিভাবে করে থাকে জানেন? আসলে আমাদের চুল এবং ত্বকের সিংহভাগই দখল করে রয়েছে প্রোটিন। তাই তো ডিমের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেলে ত্বকের বয়স তো কমেই, সেই সঙ্গে স্কিনের সৌন্দর্যও বাড়ে।
৪. সবুজ শাক-সবজি:
পালং শাক, সরষে শাক এবং মেথির মতো সবুজ শাক-সবজি প্রতিদিন খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল এবং ক্লোরোফাইলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই উপাদানগুলি সেল মেমব্রেনের গঠনে যেমন বিশেষ ভূমিকা নেয়, তেমনি স্কিনের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে।
৫. জাম:
এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর যেমনটা আপনাদের সকলেই জানা আছে যে স্কিনের নানাবিধ ক্ষতি আটকাতে এবং ত্বকের বয়স ধরে রাখতে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, স্কন সেল ড্য়ামেজ এবং সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাজাতেও জামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৬. তরমুজ:
শরীরে জলের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ভিটামিন সি এবং লাইকোপেনের ঘাটতি দূর করার মধ্যে দিয়ে এই ফলটি ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, তরমুজে উপস্থিত পটাশিয়াম ত্বকের কোষেদের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতেও সাহায্য করে। তাই ত্বককে যদি দীর্ঘসময় সুন্দর রাখতে চান, তাহলে ভুলেও তরমুজকে ডায়েট চার্ট থেকে বাদ দেবেন না যেন!
৭. দই:
ত্বকের অন্দরে থাকা কোষেদের শরীর যত চাঙ্গা থাকবে, তত স্কিনের সৌন্দর্য বাড়বে। তাই তো স্কিন সেলেদের পরিচর্যা করা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে নানাভাবে সাহায্য করতে পারে দই। কারণ এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, কোষেদের তরতাজা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো স্কিন বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন মুখে দই মাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর যদি দই মাখার সময় না থাকে, তাহলে এক বাটি করে খেতেও পারেন। এমনটা করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান থাকে। এটিও ত্বককে সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৮. বাদাম:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খেলে শরীরে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি মিটতে শুরু করে। ফলে ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে। আসলে ভিটামিন ই অনেকটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর মতো কাজ করে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর বলিরেখা দূর তো হয়ই, সেই সঙ্গে ত্বকে লাগে যৌবনের ছোঁয়া।