For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

চকোলেট খেলে কি সত্যিই ত্বকের ক্ষতি হয়?

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাধারণ চকোলেট হোক কি ডার্ক চকোলেট, যেটাই খান না কেন, ত্বকের কোনও ক্ষতিই হয় না, উল্টে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।

|

একটা গুজব বেশ কয়েকদিন ধরেই এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করছে। তাই ভাবলাম সত্যের খোঁজ না লাগালে বেজায় বিপদ! কারণ ৮-৮০ সবাই প্রায় কম-বেশি চকোলেট খেলে থাকেন। আর বাস্তবিকই যদি চকোলেট খেলে ত্বকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, তাহলে তো বেজায় চিন্তার বিষয়।

চিন্তার কোনও কারণ নেই! কারণ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাধারণ চকোলেট হোক কি ডার্ক চকোলেট, যেটাই খান না কেন, ত্বকের কোনও ক্ষতিই হয় না, উল্টে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করলে ত্বকের আরও বেশ কিছু উপকার হয়। যেমন ধরুন...

১. টক্সিক উপাদানেরা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে না:

১. টক্সিক উপাদানেরা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে না:

স্বাদে সামান্য তেঁতো হলেও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডার্ক চকোলেটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা ত্বকের গভীরে লুকিয়ে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে ত্বক তুলতুলে হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্কিন টোনেরও উন্নতি ঘটে। তাই অল্প দিনেই যদি ফর্সা ত্বকের অধিকারি হয়ে উঠতে চান, তাহলে রোজের ডায়েটে ডার্ক চকোলেটকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!

২. আলট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি কম হয়:

২. আলট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি কম হয়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে চকোলেটে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ত্বকের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন করে, যার প্রভাবে অতি বেগুণি রশ্মির কারণে ত্বকের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে সূর্য রশ্মির কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই এই গরমে যদি ত্বককে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে হয়, তাহলে ডার্ক চকোলেট খেতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে চকোলেটকে গলিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মুখে লাগাতে হবে। এমনটা প্রতিদিন করতে পারলে দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এই মারণ রোগের থেকে যদি দূরে থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত চকোলেট খেতে ভুলবেন না যেন!

৩. ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

৩. ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

শরীর এবং ত্বকের সৌন্দর্য তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। তাই ত্বকের সৌন্দর্য যদি বাড়াতে হয়, তাহলে স্কিনের অন্দরে যাতে কোনও সময় পুষ্টির ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডার্ক চকোলেট। আসলে এতে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেল এবং উপকারি খনিজ, যা নানাভাবে ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই চাকরি এবং পারিবারিক জীবনের হাজারো স্ট্রেসের মাঝেও যদি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হয়, তাহলে ত্বকের পরিচর্যায় চকোলেটকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!

৪.ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়:

৪.ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়:

পরিমাণ মতো ডার্ক চকোলেট নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর তা ত্বকে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে স্কিন উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেও সময় লাগবে না। আসলে ডার্ক চকোলেটের সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করলে স্কিনের উপরিংশে জমতে থাকা মৃত কোষের আবরণ সরে যায়। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে চোখে পরার মতো।

৫. হেয়ার ফলের মাত্রা কমায়:

৫. হেয়ার ফলের মাত্রা কমায়:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্তি স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে প্রায় সবারই চুল পড়ার হার মাত্রাতিরিক্তি হারে বৃদ্ধি পয়েছে। যে কারণে অসময়ে মাথা ফাঁকা হওয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটছে আকছাড়। এমন পরিস্থিতিতে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে কাজে লাগাতে পারেন চকোলেটকে। এক্ষেত্রে করল চকোলেট স্কালে লাগাতে হবে, নয়তো নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। এমনটা করলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। সেই সঙ্গে স্কাল্পের অন্দরে রক্ত চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে চুল এত শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে যে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে সময় লাগবে না।

৬. স্কাল্পে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে:

৬. স্কাল্পে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে:

স্কাল্পে ক্ষতিকর জীবাণুর মাত্রা বাড়তে থাকলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতেও সময় লাগে না। এক্ষেত্রেও যদি চকোলেটকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে ডার্ক চকোলেটের অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সংক্রমণের প্রকোপ তো কমায়ই, সেই সঙ্গে স্কিল্পের অন্দরে প্রদাহের মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের স্কাল্প সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাধারণ চকোলেট হোক কি ডার্ক চকোলেট, যেটাই খান না কেন, ত্বকের কোনও ক্ষতিই হয় না, উল্টে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

Dark chocolate is a skin-friendly ingredient that helps to keep your skin healthy, glowing and just flawless. Check out few outstanding benefits of dark chocolate for skin here...
Story first published: Wednesday, March 21, 2018, 15:15 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion