Just In
চটজলদি চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে চান নাকি? তাহলে চুলের পরিচর্যায় লেবুকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
লেবুর অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান চুলের অন্দরে যাওয়ার পর এমন খেল দেখায় যে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে আজকের ডেটে বেশিরভাগ জনেরই চুলের অবস্থা বেজায় খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই নামি-দামি কোম্পানির কসমেটিক্স ব্যবহার করে থাকেন। তাতে যে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, এমন নয়। বরং কেমিকাল মিশ্রিত কসমেটিক্স বেশি মাত্রায় ব্যবহার করার কারণে চুল পড়ার হার তো বাড়েই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও কমে চোখে পরার মতো।
এখন প্রশ্ন হল, এমন পরিস্থিতিতে চুলকে সুন্দর করে তোলার কি আর কোনও উপায় নেই? আলবাৎ আছে! তবে তার জন্য এই প্রবন্ধটিতে একবার চোখ রাখতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! আসলে লেখায় এমন একটি প্রকৃতিক উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যাকে কাজে লাগিয়ে যদি নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করা যায়, তাহলে হেয়ার ফলের হার তো কমেই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতেও সময় লাগে না।
কী বন্ধু এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে কোন প্রকৃতিক উপাদানের সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে? আরে সে এমন কেউ নয়, এই প্রবন্ধে লেবুকে কাজে কাজে লাগিয়ে কীভাবে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব, সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লেবুর অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান চুলের অন্দরে যাওয়ার পর এমন খেল দেখায় যে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
১. হেয়ার গ্রোথ সুন্দরভাবে হতে থাকে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লেবুকে কাজে লাগিয়ে চুলের পরিচর্যা করলে স্কাল্পের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় প্রদাহের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে হেয়ার ফলের মাত্রা তো কমেই, তার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি ঘটে বেশ সুন্দর ভাবে। এখন প্রশ্ন হল, এমন সুফল পেতে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে লেবু। এক্ষেত্রে একটি বাটিতে পরিমাণ মতো লেবুর রস নিয়ে তা চুলের গোড়ায় ধীরে ধীরে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে মাত্র একবার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবেন দারুন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
২. সাদা চুলকে নিমেষে কালো করতে:
অসময়েই কি চুল পেকে যাচ্ছে বন্ধু! তাহলে লেবু এবং হেনাকে কাজে লাগিয়ে বানানো হেয়ার মাস্ক চুলে লাগাতে ভুলবেন না যেন। আসলে হেনা হল প্রকৃতিক ডাই, যা সাদা চুলকে নিমেষে কালো করে, অন্যদিকে স্কাল্পের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে লেবু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ৫ চামচ হেনা পাউডারের সঙ্গে ১ টা ডিমের কুসুম এবং ১ কাপ গরম জল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে মেশাতে হবে একটা লেবু থেকে সংগ্রহ করা রস। তারপর এই মিশ্রনটি চলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে কম করে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা।
৩. লেবুর রস এবং ডাবের জল:
এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ ডাবের জল মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি স্কাল্পে লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে সালফার ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুলটা। এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় ভাবছেন এই মিশ্রনটি চুলে লাগালে কেমন উপকার পাওয়া যায়, কি তাই তো? গবেষণা বলছে এই ঘরোয়া টোটকাটিকে সপ্তাহে একবার কাজে লাগালে চুলের গোড়া এত মাত্রায় শক্তপোক্ত হয় যে চুল পড়ার হার কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৪. লেবুর রস, রেড়ীর তেল এবং অলিভ অয়েল:
এই প্রকৃতিক উপাদানগুলিকে নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে চুলে লাগাতে শুরু করলে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে থাকে। সেই সঙ্গে হেয়ার ড্যামেজ এবং চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, সার্বিকভাবে চুলের সৌন্দর্যও পায় চোখে পরার মতো। এক্ষেত্রে ২ চামচ অলিভ অয়েলর সঙ্গে ১ চামচ রেড়ীর তেল এবং ৫ ড্রপ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রনটিকে অল্প করে গরম করে নিন। তারপর তেলটি ১৫ মিনিট চুলের গোড়ায় মাসাজ করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন চুলটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ২-৩ বার এই তেলটি মাথায় লাগাতে হবে। তাহলেই কিন্তু উপকার মিলবে।
৫. লেবুর রস এবং অ্যালো ভেরা জেল:
২ চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি স্কাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। এইভাবে সপ্তাহে ১-২ বার চুলের পরিচর্যা করলে স্কাল্পের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় কোনও ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কমে।