Just In
Don't Miss
Yogini Ekadashi 2022 : যোগিনী একাদশী ব্রত পালনে মুক্তি মেলে সমস্ত পাপ থেকে! জেনে নিন তিথি ও শুভক্ষণ
প্রতি বছর আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে যোগিনী একাদশী পালন করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, পূর্ণ বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সাথে যোগিনী একাদশী ব্রত পালন করলে ৮৮ হাজার ব্রাহ্মণকে ভোজন করানোর সমান পুণ্য ফল লাভ হয়। একাদশীর দিন শ্রীবিষ্ণুর পূজা করা হয়। ভক্তিভরে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, চলতি বছর কবে পড়েছে যোগিনী একাদশী এবং এই একাদশীর পূজা বিধি ও ব্রত কথা সম্পর্কে -
যোগিনী একাদশীর তিথি ও শুভক্ষণ
২০২২ সালের যোগিনী একাদশী পড়েছে ২৪ জুন, শুক্রবার।
একাদশী তিথি শুরু - ২৩ জুন, রাত ০৯টা ৪১ মিনিটে
একাদশী তিথি শেষ - ২৪ জুন, রাত ১১টা ১২ মিনিটে
পূজা বিধি
শাস্ত্র অনুসারে, একাদশীর একদিন আগে থেকে সাত্ত্বিক ভোজন করুন। মাছ, মাংস, মদ্যপান, ধূমপান ত্যাগ করা উচিত। যোগিনী একাদশীর দিন ভোরে স্নান করে হলুদ বস্ত্র পরিধান করুন। ব্রত করার সংকল্প করুন। গৃহের মন্দির পরিষ্কার করুন। গঙ্গা জল ছিটিয়ে পূজার স্থানটি শুদ্ধ করুন। শ্রীবিষ্ণুর মূর্তি বা ছবি পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান। তারপর বিষ্ণু মূর্তি সুন্দর করে সাজিয়ে পূজার স্থানে বসান। ফুল, ফল, মিষ্টি, মালা, চন্দন, অক্ষত, হলুদ, তুলসী পাতা নিবেদন করুন। ধূপ, প্রদীপ জ্বালিয়ে সঠিক নিয়ম মেনে বিষ্ণু পূজা করুন। এই সময়ে, "ওঁ ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ" মন্ত্র জপ করতে থাকুন। বিষ্ণু চালিসা, বিষ্ণু সহস্রনাম অবশ্যই পাঠ করুন। যোগিনী একাদশী ব্রত কথা শুনুন বা পড়ুন। আরতি করে পূজা সম্পন্ন করুন। একাদশীর দিন সন্ধ্যায়ও বিষ্ণুর সামনে ধূপ, প্রদীপ জ্বালান এবং আরতি করুন।
পরের দিন অর্থাৎ ২৫ জুন, সূর্যোদয়ের পর শুভ সময়ে একাদশীর ব্রত ভঙ্গ করুন। বিশ্বাস করা হয়, একাদশীর সমস্ত নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চললে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ মেলে।
যোগিনী একাদশীর ব্রত কথা
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, স্বর্গধামের অলকাপুরী নগরীতে কুবের নামে এক রাজা বাস করতেন। তিনি শিবভক্ত ছিলেন এবং প্রতিদিন শিবের পূজা করতেন। হেম নামের এক মালী প্রতিদিন শিব পূজার জন্য মানসরোবর থেকে ফুল তুলে রাজা কুবেরকে দিতেন। একদিন হেম মালী তাঁর পরমা রূপবতী পত্নীর প্রতি কামাসক্ত হয়ে পড়লেন, আর ফুল নিয়ে রাজভবনে যাওয়ার কথাও ভুলে গেলেন। এদিকে পূজার সময় চলে যাচ্ছে দেখে রাজা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। দূত পাঠিয়ে রাজা জানতে পারলেন মালীর দেরি হওয়ার আসল কারণ। শুনে রাজা আরও ক্রুদ্ধ হলেন এবং হেম মালীকে দেখা মাত্র রাজা ক্ষুব্ধ হয়ে মালীকে কুষ্ঠরোগী হওয়ার অভিশাপ দেন। ফলে হেম মালী দীর্ঘকাল যাবৎ কুষ্ঠরোগ ভোগ করতে লাগলেন।
অভিশাপের প্রভাবে সে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে থাকে এবং একদিন তিনি ঋষি মার্কণ্ডেয়-এর আশ্রমে পৌঁছে যান। ঋষি মালীর অসুখের কারণ জানতে পেরে তাঁকে যোগিনী একাদশীর ব্রত পালন করতে বলেন। হেম মালী ঋষির কথামতো ভক্তিভরে যোগিনী একাদশী পালন করেন এবং তিনি মোক্ষ লাভ করেন।
Disclaimer
:
এই
আর্টিকেলে
যে
তথ্য
দেওয়া
হয়েছে
তা
যে
সম্পূর্ণ
মিলে
যাবে,
এমনটা
দাবি
করছে
না
বোল্ডস্কাই
বাংলা।
এই
তথ্য
ধর্মীয়
আস্থা
ও
লৌকিক
মান্যতার
উপর
আধারিত।