Just In
- 31 min ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 2 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 20 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Don't Miss
প্রতি শনিবার পান পাতার মালা এবং মাখন দিয়ে হনুমানজির পুজো করা হয় কেন?
পান পাতা এবং মাখন সহকারে দেবের আরাধনা করলে তিনি যে বেজায় প্রসন্ন হন, সে বিষয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই। এখন প্রশ্ন হল হনুমানজিকে খুশি করতে পারলে কী কী উপকার মেলে?
হনুমানজি হলেন আমাদের উদ্ধারকর্তা। তিনি হলেন শিব ঠাকুরের সেই অবতার যিনি বিপদে সারাক্ষণ তাঁর ভক্তদের পাশে থাকেন। যেমন ছিলেন তাঁর প্রিয় মিত্র শ্রী রামের সঙ্গে। তাই তো এমন বিশ্বাস রয়েছে যে একবার যদি হনুমানজিকে প্রসন্ন করা যায়, তাহলে এই খাওয়া-খাওয়াই জীবন থেকে বেরিয়ে বাস্তবিকই শান্তির সন্ধান মেলে। শুধু তাই নয়, বায়ু পুত্রের আশীর্বাদে এমন কিছু সুফল মেলে যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনন্দে ভরে ওঠে।
সবই তো বোঝা গেল। কিন্তু যে প্রশ্নটা দিয়ে লেখাটা শুরু হয়েছিল সেই উত্তরটা তো পাওয়া গেল না। মানে প্রতি শনিবার পান পাতা এবং মাখন দিয়ে হনুমানজির পুজো করার পরামর্শ কেন দেওয়া হয়? আসলে মারুথি পান এবং মাখন খুব পছন্দ করেন। আর এমন পছন্দের পিছনে একটা কারণও আছে। কী কারণ? প্রাচীন কালে লেখা বেশ কিছু বইয়ে একটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। ঘটনাটা ছিল এই রকম...
শ্রী রামের বার্তা নিয়ে হনুমানজি যখন লঙ্কায় পৌঁছেছিলেন সীতা মার সঙ্গে দেখা করতে। তখন হনুমানজির মুখ থেকে রাম এবং তাঁর যুদ্ধির পরিকল্পনা শুনে দেবী এতটাই প্রসন্ন হয়েছিলেন যে হনুমানজিকে ফুলের মালা পরিয়ে আশীর্বাদ করতে চাইছিলেন। এদিকে হাতের কাছে কোনও ফুল গাছ ছিল না, ছিল শুধু পান গাছ। তাই তো পান পাতা দিয়ে বানানো মালাই হনুমানজিকে পরিয়ে দিয়েছিলেন মা। সেই থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। শুধু তাই নয়, এমন বিশ্বাস রয়েছে যে প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার মারুথিকে যদি পান পাতা দিয়ে বানানো মালা নিবেদন করে পুজো করা যায়, তাহলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।
আর মাখন? রাম-রাবণের যুদ্ধ চলাকালীন শ্রী রামের কাছে রাবণের মতো রথ ছিল না। তাই হনুমানজি তারঁ কাঁধে প্রিয় মিত্রকে নিয়ে যুদ্ধে ক্ষেত্রে যেতেন। এমন ভাবেই একদিন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন লঙ্কা রাজ শ্রী রামের পরীর্বর্তে হনুমানজির উপর আক্রমণ শানাতে শুরু করেন। শত আক্রমণে সারা শরীর ক্ষতে ভরে উঠলেও নিজ কাঁধ থেকে শ্রী রামকে এক মুহূর্তের জন্যও মাটিতে নামাননি হনুমানজি। তাঁর এমন সহ্য ক্ষমতা দেখে শ্রী রাম এতটাই প্রসন্ন হয়েছিলেন যে যুদ্ধ শেষে নিজ হাতে বায়ু পুত্রের ক্ষতে মাখনের প্রলেপ লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই এমন বিশ্বাস যে হনুমানজির পুজোর সময় তাঁর সামনে মাখন রাখলে দেব খুব খুশি হন।
পান পাতা এবং মাখন সহকারে দেবের আরাধনা করলে তিনি যে বেজায় প্রসন্ন হন, সে বিষয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই। এখন প্রশ্ন হল হনুমানজিকে খুশি করতে পারলে কী কী উপকার মেলে?
১.বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনিবার মারুথির পুজো করার সময় পান পাতা এবং মাখন নিবেদন করে যদি এক মনে ১০৮ বার হনুমান মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাদের মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয়।
২. ভাগ্য ফেরে চোখের পলকে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনিবার বিশেষ নিয়ম মেনে হনুমান জির পুজো করা শুরু করলে ভাগ্যের দোষ কাটতে শুরু করে। ফলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর লাক যখন একবার কারও সঙ্গ দেয়, তখন যে চরম সফলতা লাভের সম্ভাবনা বাড়ে, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৩.শনি গ্রহের কুপ্রভাব কেটে যায়:
আপনার কুষ্টিতে কি শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার যোগ রয়েছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই হনুমানজির পুজো করা শুরু করুন। দেখবেন শনি দেবের বক্র দৃষ্টি পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। সেই সঙ্গে যারা ইতিমধ্যেই সাড়ে সাতির খপ্পর পরেছেন, তাদের উপর থাকেও শনির কুপ্রভাব কমতে শুরু করবে। এবার বুঝেছেন তো শনিবার বিশেষ ফুল মালা এবং প্রসাদ নিবেদন করে বায়ু পুত্রের আরাধনা করার প্রয়োজন কতটা।
৪. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনিবার পান এবং মাখন নিবেদন করে হনুমান জি-এর পুজো করলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। এমনকি মনের মতো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও যায় বাড়ে।
৫. অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটে:
হনুমান জি তাঁর ভক্তদের বেজায় ভালবাসেন। তাই তো নিয়মিত তাঁর পুজো করলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। আর যদি পান পাতা এবং মাখন সহকারে আরাধনা করেন, তাহলে তো আরও দ্রুত ফল মেলে। বিশেষত পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির আগমণ ঘটে। শুধু তাই নয়, কু-দৃষ্টির প্রভাব কাটতেও সময় লাগে না যদি। সেই সঙ্গে জীবনের যে কোনও বাঁকে কেনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। এক কথায় বলতে বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে এবং নিরাপদে কাটাতে চান, তাহলে পান এবং মাখ নিবেদন করে বায়ু পুত্রের শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন!
৬. ভূত-প্রেত সব দূরে পালায়:
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু একথা তো মানবেন যে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ শক্তিও। আর সুযোগ পেলে সেই নেগেটিভ শক্তি আমাদের কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু, এমন খারাপ শক্তির মার থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত পান পাতা এবং মাখন নিবেদন করে হনুমানজির পুজো করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে দেবের আশীর্বাদে ভূত-প্রেত তো দূরে পালাই, সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যেতেও সময় লাগে না।
৭. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:
শাস্ত্র মতে হনুমান জি-এর পুজো করা শুরু করলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না। আর বুদ্ধির ধার বাড়তে শুরু করলে চাকরি হোক কী ব্যবসা, যে কোনও ক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৮. মনোবল বাড়ে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার দেবের পুজো করার সময় যদি পান পাতা, তুলসি পাতা এবং মাখন নিবেদন করা যায়, তাহলে দেবের আর্শীবাদে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ভয় কাটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে কোনও বাঁধা পেরতেই সময় লাগে না। ফলে চলার পথটা বেজায় সহজ হয়ে যায় বৈকি।
৯. যে কোনও কাজে সফলতা আসে:
নতুন কিছু কাজ শুরু করার কাথা ভাবছেন নাকি? তাহলে বন্ধু গুড়, পান পাতা,তুলসি মালা এবং মাখন নিবেদন করে হনুমানজির আরাধনা করে তবে সেই কাজ শুরু করুন। দেখবেন সফল হবেই হবেন! শুধু তাই নয়, এমন নিয়ম মেনে দেবের অরাধনা করলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা সব বাঁধা সরে যাবে। ফলে শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, পরিবারিক জীবনেও হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসবে।
১০. দৈহিক শক্তির বৃদ্ধি ঘটে:
শুনতে হয়তো আজব লাগছে। কিন্তু শাস্ত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার ১০৮ বার হনুমান মন্ত্র পাঠ করার পাশাপাশি যদি পান এবং মাখন নিবেদন করে সর্বশক্তিমানের অরাধনা করা যায়, তাহলে দৈহিক ক্ষমতার বিকাশ ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ছোট-বড় নানা রোগ সব দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।