For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতি মঙ্গলবার গুড়, পান এবং তুলসির মালা নিবেদন করে হনুমানজির অরাধনা করলে কী কী উপকার মেলে জানেন?

অঞ্জনী পুত্র গুড়, পান পাতা এবং তুলসি বেজায় পছন্দ করেন। তাই তো প্রতি মঙ্গলবার এই জিনিসগুলি দিয়ে দেবের অরাধনা করলে সর্বশক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।

|

আমি যেমন মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসি, তেমনি আমার দাদা আবার মিষ্টি নয়, ওর পছন্দের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে ঝাল-ঝাল ভাজা-ভুজি জাতীয় খাবার। আচ্ছা আমাদের মতো আপনাদেরও নিশ্চয় কিছু জিনিস, তা সে খাবার হতে পারে বা হতে পারে অন্য কিছু, বেজায় পছন্দের, তাই না!

মজার বিষয় কি জানেন আমাদের মতো ৩৩ কোটি দেব-দেবীরাও কিছু জিনিস বেজায় পছন্দ করেন। যেমন শিব ঠাকুর বেল পাতা খুব ভালোবাসেন, তাই তো দেবাদিদেবের অরাধনা বেল পাতা ছাড়া ভাবাই যায় না। একইভাবে গণেশ ঠাকুরের পছন্দ হল মোদক এবং দূর্বা ঘাস। বাদ জান না হনুমানজিও। শাস্ত্র মতে অঞ্জনী পুত্র গুড়, পান পাতা এবং তুলসি বেজায় পছন্দ করেন। তাই তো প্রতি মঙ্গলবার এই জিনিসগুলি দিয়ে দেবের অরাধনা করলে সর্বশক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে একটা কথা বলতে পারি বন্ধু, এই প্রবন্ধটি পড়ার পর আপনিও যে প্রতি মঙ্গলবার গুড়, তুলসি মালা এবং পান পাতা সহযোগে দেবের অরাধনা করা শুরু করবেন, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন তো? সে উত্তর আপনি বাকি প্রবন্ধটা পড়লেই জেনে যাবেন।

হনুমানজি পান পাতা এবং তুলসি পাতা এত কেন পছন্দ করেন জানা আছে? হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে মারুথি, শ্রী রামের বার্তা নিয়ে যখন লঙ্কায় পৌঁছেছিলেন, তখন দেবী সীতা এতটাই প্রসন্ন হয়েছিলেন যে মারুথির গলায় তুলসি এবং পান পাতার মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ মায়ের হাতের কাছে সেই সময় আর কোনও ফুল ছিল না, ছিল শুধু পান এবং তুলসি। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দুটি প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে দেবের অরাধনা করলে অঞ্জনী পুত্র বেজায় সন্তুষ্ট হন। কিন্তু প্রশ্ন হল হনুমানজি প্রসন্ন হলে কী কী উপকার মেলে? আমি যেমন মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসি, তেমনি আমার দাদা আবার মিষ্টি নয়, ওর পছন্দের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে ঝাল-ঝাল ভাজা-ভুজি জাতীয় খাবার। আচ্ছা আমাদের মতো আপনাদেরও নিশ্চয় কিছু জিনিস, তা সে খাবার হতে পারে বা হতে পারে অন্য কিছু, বেজায় পছন্দের, তাই না!

মজার বিষয় কি জানেন আমাদের মতো ৩৩ কোটি দেব-দেবীরাও কিছু জিনিস বেজায় পছন্দ করেন। যেমন শিব ঠাকুর বেল পাতা খুব ভালোবাসেন, তাই তো দেবাদিদেবের অরাধনা বেল পাতা ছাড়া ভাবাই যায় না। একইভাবে গণেশ ঠাকুরের পছন্দ হল মোদক এবং দূর্বা ঘাস। বাদ জান না হনুমানজিও। শাস্ত্র মতে অঞ্জনী পুত্র গুড়, পান পাতা এবং তুলসি বেজায় পছন্দ করেন। তাই তো প্রতি মঙ্গলবার এই জিনিসগুলি দিয়ে দেবের অরাধনা করলে সর্বশক্তিমান এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে একটা কথা বলতে পারি বন্ধু, এই প্রবন্ধটি পড়ার পর আপনিও যে প্রতি মঙ্গলবার গুড়, তুলসি মালা এবং পান পাতা সহযোগে দেবের অরাধনা করা শুরু করবেন, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন তো? সে উত্তর আপনি বাকি প্রবন্ধটা পড়লেই জেনে যাবেন।

হনুমানজি পান পাতা এবং তুলসি পাতা এত কেন পছন্দ করেন জানা আছে? হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে মারুথি, শ্রী রামের বার্তা নিয়ে যখন লঙ্কায় পৌঁছেছিলেন, তখন দেবী সীতা এতটাই প্রসন্ন হয়েছিলেন যে মারুথির গলায় তুলসি এবং পান পাতার মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ মায়ের হাতের কাছে সেই সময় আর কোনও ফুল ছিল না, ছিল শুধু পান এবং তুলসি। তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দুটি প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে দেবের অরাধনা করলে অঞ্জনী পুত্র বেজায় সন্তুষ্ট হন। কিন্তু প্রশ্ন হল হনুমানজি প্রসন্ন হলে কী কী উপকার মেলে?

১. মনোবল বাড়ে:

১. মনোবল বাড়ে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার দেবের পুজো করার সময় যদি গুড়, পান পাতা এবং তুলসি পাতা নিবেদন করা যায়, তাহলে দেবের আর্শীবাদে মনের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ভয় কাটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে কোনও বাঁধা পেরতেই সময় লাগে না। ফলে চলার পথটা বেজায় সহজ হয়ে যায় বৈকি।

২. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:

২. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:

হনুমান জি তাঁর ভক্তদের বেজায় ভালবাসেন। তাই তো নিয়মিত তাঁর পুজো করলে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। আর যদি তাঁর প্রিয় জিনিস নিবেদন করে দেবের অরাধনা করেন, তাহলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির আগমণ ঘটে। সেই সঙ্গে কুনজরের কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, জীবনের যে কোনও বাঁকে কেনও ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও আর থাকে না। তাই তো বলি বন্ধু, পকেট ভর্তি টাকার মলিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি যদি নিরাপদ জীবন পেতে চান, তাহলে প্রতি মঙ্গলবার পান, তুলসি পাতা এবং গুড় সহযোগে দেবের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!

৩. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়:

৩. মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার এই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হনুমান জি-এর পুজো করলে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের মতো চাকরি পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয় চোখের পলকে।

৪. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:

৪. বুদ্ধির বিকাশ ঘটে:

শাস্ত্র মতে হনুমান জি-এর পুজো করা শুরু করলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না। আর বুদ্ধির ধার বাড়তে শুরু করলে চাকরি হোক কী ব্যবসা, যে কোনও ক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

৫. খারাপ ভাগ্যের রেশ কেটে যায়:

৫. খারাপ ভাগ্যের রেশ কেটে যায়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান জির পুজো করা শুরু করলে খারাপ ভাগ্যের দোষ কাটতে শুরু করে। ফলে সাফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ বিগ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না।

৬. যে কোনও কাজে সফলতা আসে:

৬. যে কোনও কাজে সফলতা আসে:

নতুন কিছু কাজ শুরু করার কাথা ভাবছেন নাকি? তাহলে বন্ধু গুড়, পান পাতা এব তুলসি মালা নিবেদন করে হনুমানজির আরাধনা করে তবে সেই কাজ শুরু করুন। দেখবেন সফল হবেই হবেন! শুধু তাই নয়, এমন নিয়ম মেনে দেবের অরাধনা করলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা সব বাঁধা সরে যাবে। ফলে শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, পরিবারিক জীবনেও হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসবে।

৭. ভূত-প্রেত সব দূরে পালায়:

৭. ভূত-প্রেত সব দূরে পালায়:

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু একথা তো মানবেন যে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেগেটিভ শক্তিও। আর সুযোগ পেলে সেই নেগেটিভ শক্তি আমাদের কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু, এমন খারাপ শক্তির মার থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত বিশেষ প্রসাদ নিবেদন করে হনুমানজির পুজো করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে মাত্র ভূত-প্রেত তো দূরে পালাই, সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যেতেও সময় লাগে না।

৮. দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়:

৮. দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়:

শুনতে হয়তো আজব লাগছে। কিন্তু শাস্ত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে প্রতি মঙ্গলবার ১০৮ বার হনুমান মন্ত্র পাঠ করার পাশাপাশি যদি এই তিনটি উপাদান নিবেদন করে সর্বশক্তিমানের অরাধনা করা যায়, তাহলে দৈহিক ক্ষমতার বিকাশ ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ছোট-বড় নানা রোগ সব দূরে পালায়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।

৯. সাড়ে সাতির প্রভাব কমে:

৯. সাড়ে সাতির প্রভাব কমে:

আপনার জন্ম কুষ্টিতে কি শনির সাড়ে সাতির খপ্পরে পরার যোগ রয়েছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই হনুমানজির পুজো করা শুরু করুন। দেখবেন শনি দেবের বক্র দৃষ্টি পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। সেই সঙ্গে যারা ইতিমধ্যেই সাড়ে সাতির খপ্পর পরেছেন, তাদের উপর থাকেও শনির কুপ্রভাব কমতে শুরু করবে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে একবার শনিদেব নাকি বিষণ বিপদে পরেছিলেন। সেই সময় হনুমানজি তাঁকে সেই বিপদ থেকে বাঁচিয়েছিলেন। আর সেই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ শনিদেব, হনুমানজিকে কথা দেন যে তার কোনও ভক্তের উপর শনির প্রকোপ পরবে না। সেই থেকেই শনিদেবকে প্রসন্ন করতে শুরু হয় হনুমানজির পুজো।

১০.বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটে:

১০.বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গলবার মারুথির পুজো করার পর যদি এক মনে ১০৮ বার হনুমান মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাদের মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার স্বপ্নও পূরণ হয়।

Read more about: ধর্ম
English summary

why tulsi, betel and jaggery are offered to hanuman on tuesday

It is believed that in present time, Lord Hanuman is one God who is easy to please. However, it is also true that the devotee need be completely into him and holds no malice in their heart. Here is in the slides certain things that should be offered to Lord Hanuman to seek his blessings.
Story first published: Tuesday, September 25, 2018, 11:21 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion