Just In
- 9 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 10 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 14 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 15 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ঠাকুর ঘরের কোন স্থানে কোন দেবতার মূর্তি রাখা উচিত জানা আছে?
বাঙালি বাড়িতে ঠাকুর ঘরে থাকবে না, এ আবার হতে পারে নাকি! তাই তো সবারই এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট!
বাঙালি বাড়িতে ঠাকুর ঘরে থাকবে না, এ আবার হতে পারে নাকি! তাই তো সবারই এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট! কারণ বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির সব জায়গায় যেমন ঠাকুর ঘর তৈরি করা যায় না, তেমনি ঠাকুর ঘরের যে কোনও স্থানে দেবতাদের মূর্তি রাখাও চলে না। তাই তো এই প্রবন্ধে দেবালয়ের কোন স্থানে কোন দেবতার মূর্তি রাখা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
এখন প্রশ্ন হল, এই প্রবন্ধে আলোচিত বাস্তু নিয়মগুলি মেনে যদি ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি রাখা না হয়, তাহলে কী হতে পারে? সেক্ষেত্রে বাড়ির অন্দরে আশুভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বেড়ে যাবে, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে। তাই তো বলি বন্ধু সুখে-শান্তিতে এবং আনন্দে যদি থাকতে হয়, তাহলে ভুলেও এই লেখাটি পড়তে ভুলবেন না যেন!
প্রসঙ্গত, ঠাকুরের মূর্তি সাজানোর সময় যে যে নিয়মগুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল...
১. ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ঠাকুর ঘরে এই তিন দেবতার মূর্তি এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে তারা পশ্চিম দিকে মুখ করে থাকে। কারণ এমনটা করলে নাকি দেবতাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বাস্তু দোষ যেমন কেটে যায়, তেমনি পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল- এই তিন দেবতার পাশাপাশি সূর্য এবং চন্দ্র দেবতার মূর্তি রাখার সময়ও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
২.শ্রী হনুমানের মূর্তি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে হনুমানজির মূর্তি রাখলে খারাপ সময় কেটে যেতে যেমন সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের জোর যেমন বাড়ে, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেও চোখে পরার মতো। এক কথায় দেবের আশীর্বাদে জীবন সুন্দর এবং অনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। কিন্তু এইসব সুফল তখনই পাওয়া যায়, যখন হনুমানজির মূর্তি বা ছবি ঠিক জায়গায় রাখা হয়। এখন প্রশ্ন হল ঠাকুর ঘরের কোন স্থানে হনুমানজির মূর্তি রাখা উচিত? দেবের মূর্তি সব সময় দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মুখ করে রাখতে হবে। কারণ এমনটা করলেই সর্বাধিক সুফল পাওযার সম্ভাবনা থাকে।
৩. গণেশ দেবের ছবি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে শ্রী গণেশ এবং মা দূর্গার ছবি সব সময় দক্ষিণ দিকে মুখ রাখা উচিত। কারণ এমনটা না করলে কোনও সুফলই পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্র মতে শ্রী গণেশ এবং মা দূর্গার ছবি ঠাকুর ঘরের ঠিক স্থানে রাখলে গৃহস্থে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতা লাভ করার সম্ভবনাও যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। তবে এখানেই শেষ নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় গৃহস্থের অন্দরে শ্রী গণেশের আর্বিভাব ঘটলে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন যদি পূরণ করতে হয়, তাহলে এই বাস্তু নিয়মটি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
৪. অনেক অনেক টাকার মালির হতে চাইলে:
কম সময়ে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হতে চান নাকি? তাহলে গণেশ দেবের আরাধনা করার পাশাপাশি ঠাকুর ঘরে লর্ড কুবেরকেও জায়গা করে দিন, দেখবেন সুফল মিলবে একেবারে হাতে নাতে। তবে এক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তা হল ভগবান কুবেরের মূর্তি ঠাকুর ঘরের এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে দেবের মুখ দক্ষিণ দিকে থাকে। কারণ এমনটা করলে তবেই কিন্তু নানাবিধ সুফল লাভ করা সম্ভব হবে।
৫. মন্দিরের ছবি:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির ঠাকুর ঘরে ভুলেও প্রাচীন মন্দিরের ছবি রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নাকি ভাল হওয়ার থেকে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এই নিয়মটি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৬. একে অপরের মুখোমুখি যেন না থাকে:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে দেবতাদের ছবি একে অপরের মুখোমুখি রাখা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নাকি গৃহস্থের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটে। আর এমন ঘটনা ঘটলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
৭. দেওয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা চলবে না:
খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই ঠাকুরের ছবি দেওয়ালে ঠেসান দিয়ে রাখেন। এমনটা করা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। যদিও কেন এমন উপদেশ দেওয়া হয়ে থাকে, তা যদিও জানা নেই!
৮. ঠাকুর ঘরের অবস্থান:
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিকে দেবালয় প্রতিষ্ঠিত করলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।