Just In
- 3 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 4 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 7 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 9 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
দুর্গা পুজোর সময় যে যে কাজগুলি করা চলবে না এবং কী কী করা যাবে সে সম্পর্কে না জানলে যে বিপদ!
মা দুর্গা এবং তাঁর ছেলে-মেয়েদের আশীর্বাদে বাকি জীবনটা সুখ-শান্তিতে এবং আনন্দে কাটাতে চান, নাকি কোনও বিপদে পরতে চান?
একটু তলিয়ে ভাবুন, তাহলে বুঝতে পারবেন দুর্গা পুজো মানে কিন্তু শুধু মা দুর্গার আগমণ নয়। তাঁর সঙ্গে তাঁর পরিবার, মানে মা লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ এবং কার্তিক ঠাকুরেরও আগমণ ঘঠে। আর এরা যে বেজায় শক্তিশালী এবং এঁনাদের আশীর্বাদে যে জীবন বদলে যেতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চয় কারও মনেই কোনও সন্দেহ নেই! এই যেমন মা লক্ষ্মী এবং গণেশের কথাই ধরুন না। এই দেব-দেবীদের আশীর্বাদ লাভ করলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হয় এবং গৃহস্থে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। অন্যদিকে মা সরস্বতী এবং কার্তিক ঠাকুরের নেক দৃষ্টি পরলে পড়াশোনায় তো উন্নতি ঘটেই, সেই সঙ্গে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার সম্ভাবনা যেমন কমে, তেমনি বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতেও সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু দুর্গা পুজোর সময় আমাদের চারিপাশে দৈব শক্তির একটা বলয় তৈরি হয়। এমন একটা পরিবেশে কিছু নিয়ম মেনে না চললে কিন্তু বিপদ! কারণ এই প্রবন্ধে আলোচিত নিময়গুলি না মানলে সেক্ষেত্রে দেব-দেবীরা এতটাই রুষ্ট হন যে কোনও সুফল তো মেলেই না। উল্টে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
এত দূর পড়ার পর কী সিদ্ধান্ত নিলেন পাঠক বন্ধুরা, মা দুর্গা এবং তাঁর ছেলে-মেয়েদের আশীর্বাদে বাকি জীবনটা সুখ-শান্তিতে এবং আনন্দে কাটাতে চান, নাকি কোনও বিপদে পরতে চান?
যদি প্রথম অপশনটা চুজ করে থাকেন তাহলে এই প্রবন্ধটা পড়তে ভুলবেন না যেন! কারণ এই লেখায় সেই সব নিয়মগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা দুর্গা পুজোর সময় মেনে চললে নানাবিধ সুফল তো মেলেই, সেই সঙ্গে নানা বিপদ ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে! তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধু, পুজোর চারদিন যে যে কাজগুলি করা মাস্ট, সেগুলি হল...
১. প্রতিদিন মা দুর্গার আরধনা করতে হবে:
শাস্ত্র মতে নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে, মানে আজ থেকেই যদি নিয়মিত সকালে উঠে স্নান সেরে মা দুর্গার আরধান করতে পারেন, তাহলে দেখবেন দেবীর আশীর্বাদ লাভ করতে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। প্রসঙ্গত, মায়ের পুজোর আগে ভাল করে ঠাকুর ঘর এবং দেবীর মূর্তি বা ছবি পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না যেন! তারপর ফুল এবং মালা নিবেদন করে শুরু করতে হবে পুজো এবং অবশ্যই এই সময় দেবীর চরণে কিছু প্রসাদ চড়াতে হবে!
২. জল দান করতে হবে নিয়মিত:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নবরাত্রির নয় দিন যদি মাকে নিয়ম করে জল দান করা হয়, তাহলে নাকি গৃহস্থে মায়ের আগমণ ঘটতে সময় লাগে না। আর যে পরিবারে মা নিজ আসন পাতেন, সেখানে কোনও বিপদই যে ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই তো বলি বন্ধু মায়ের আশীর্বাদে বাকি জীবনটা যদি সুখ-শান্তিতে কাটাতে হয়, তাহলে এই নিয়মটি মানতে ভুলবেন না যেন!
৩. বাড়িতে খালি পায়ে থাকতে হবে:
জানি বন্ধু হয়তো শুনতে আজব লাগবে, কিন্তু এমনটা বিশ্বাস করা হয় পুজোর চারদিন যদি বাড়ির অন্দরে খালি পায়ে হাঁটা-চলা করা যায়, তাহলে দেবী দুর্গা বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে নানাবিধ সুফল মেলে চোখের পলকে।
৪. উপোস তো মাস্ট!
দেবী দুর্গা এবং তাঁর ছেলে-মেয়েদের আশীর্বাদ লাভ করতে চান নাকি? তাহলে দুর্গা পুজোর সময় যে কোনও একটা দিন উপোস করে দেবীর আরাধনা করতে ভুলবেন না যেন! তবে চারদিনই যদি উপোস করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!!!
৫. অষ্টমীর বিশেষ পুজো:
শাস্ত্র মতে নবরাত্রির অষ্টম দিনে, মানে অষ্টমীর দিন নয় জন বাচ্চা মেয়ের পা ধুইয়ে তাঁদের যদি ভাল-মন্দ খাওয়াতে পারেন, তাহলে মা এতটাই প্রসন্ন হবেন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে দেবীর আশীর্বাদে পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের সমস্যা বা ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও যাবে কমে।
৬. রাত্রি-দিন প্রদীপ জ্বালাতে হবে:
দুর্গা পুজোর চারদিন মায়ের ছবি বা মূর্তির সামনে দিবা-রাত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মটি মানলে মায়ের আশীর্বাদে পরিবারে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগে। শুধু তাই নয়, পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।
দুর্গা পুজোর সময় কী কী করতে হবে, সে তো না হয় জানলেন। এবার জেনে নেওয়ার পালা কী কী কাজ করা একেবারেই চলবে না। আসলে বন্ধু এবার যে যে নিয়মগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, সেগুলি না মালকে কিন্তু দেবী দুর্গা বেজায় রুষ্ট হবে। আর এমনটা হলে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না! প্রসঙ্গত এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি, সেগুলি হল...
১. চুল-দাড়ি কাটা নৈব নৈব চ:
দুর্গা পুজোর সময় যারা যেদিন উপোস করবেন, সেদিন কিন্তু ভুলেও চুল-দাড়ি কাটবেন না। শুধু তাই নয়, এই সময় নখ কাটাও চলবে না! কারণ এমনটা করলে নাকি দেবী বেজায় রুষ্ট হন। ফলে হাজারে প্রার্থনা এবং পুজো করার পরেও কিন্তু সুফল মেলার সম্ভাবনা আর তাকে না বললেই চলে।
২.দীপ যেন না নেভে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে দুর্গা পুজোর সময় দেবীর সামনে জ্বালানো দীপ যেন দিবা-রাত্র জ্বলে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এই দীপ নিভে যাওয়া নিভে যাওয়া মানে কিন্তু বেজায় অশুভ ঘটনা।
৩. আমিষ খাবার খাওয়া চলবে না:
পুজোর সময় চিকেন-মটন চলবে না, তা আবার কখনও হয় নাকি! আসলে এই কটাদিন খাদ্যরসিক বাঙালিদের পাতে মুখরচক আমিষ খাবার না পরলে যে রসনা তৃপ্ত হয় না, তা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রে নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আমিষ খাবার খেতে মানা করা হয়েছে। কারণ দেবী তখনই প্রসন্ন হন, যখন পিঁয়াজ, রসুন ত্যাগ করা হয়।
৪. লেবু কাটা চলবে না:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দুর্গা পুজোর চারদিন যারা যারা উপোস করবেন, তাদের ভুলেও লেবু কাটা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে নাকি মা দুর্গা বেজায় রুষ্ট হন। আর এমনটা হলে যে বেজায় বিপদ, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে...!
৫. ঘটকে একা রাখবেন না:
দুর্গা পুজোর সময় অনেকেই বাড়িতে ঘট প্রতিষ্টা করে দেবীর অরাধনা করেন। এমনটা করলে দুটি জিনিস মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। এক, ঘটের সামনে সারাক্ষণ প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে এবং দুই, এই সময় কাউকে না কাউতে সারাক্ষণ বাড়িতে থাকতে হবে। ঘটকে একা ফেলে ভুলেও কোথাও যাবেন না যেন!