For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতি বুধবার বাক্রাতুন্ডা গণেশ মন্ত্র পাঠ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?

গণেশ দেবকে প্রসন্ন করতে হিন্দু শাস্ত্রে যে যে মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র হল এই মন্ত্রটি।

|

গণেশ দেবকে প্রসন্ন করতে হিন্দু শাস্ত্রে যে যে মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়, তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্র হল এই মন্ত্রটি। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বুধবার দেবের পুজো করার পাশাপাশি যদি এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা যায়, তাহলে বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু তার আগে একটা প্রশ্নের উত্তর না দিলে কিন্তু বৃত্তটি সম্পন্ন হবে না।

কী সেই প্রশ্ন? "বক্রতুন্ডা মহা-কায়া সুরিয়া কোটি সমপ্রভা, নির্ভিগনাম কুরু মে দেভা সর্ব কারিয়া সমপ্রভা!", এই মন্ত্রটি, অর্থাৎ বক্রতুন্ডা গণেশ মন্ত্র পাঠ করলে এত উপকার পাওয়া যায় কেন? হিন্দু শাস্ত্রে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে ভগবান গণেশের আরাধনা করলে নিমেষে সব বাঁধা দূর হয়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতার একের পর দরজা খুলে যেতেও সময় লাগে না। তাই তো দেবকে "গণেশ" নামে ডাকা হয়ে থাকে। আসলে গণেশ হল একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ হল বাঁধা দূর করে এমন শক্তি। আর এই মন্ত্রটি পাঠ করলে সেই শক্তিরই ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে সব ধরনের বাঁধা তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে আরও সব সুফল মিলতেও সময় লাগে না। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন বন্ধু, জীবনকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে এই মন্ত্রটি পাঠ করা কতটা জরুরি।

প্রসঙ্গত, প্রতি বুধবার ১০৮ বার বাক্রাতুন্ডা গণেশ মন্ত্রটি পাঠ করলে আরও যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...

১. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:

১. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:

"লাক", মাত্র দুটো অক্ষর। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এর প্রভাব কতটা, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে বোঝাতে হবে না। তাই তো বলি বন্ধু, গুডলাককে যদি নিজের সঙ্গী বানাতে হয়, তাহলে প্রতি বুধবার এই শক্তিশালী মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্তের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে গুড লাক সঙ্গ নিতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন জীবনের ছবিটা যে নিমেষে বদলে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!

২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে:

২. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে যে কোনও বাঁধা সরে যায়, সেই বাঁধা সম্পর্কের হতে পারে, হতে পারে অন্য কিছুরও। তাই তো বলি বন্ধু, ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে যদি আনন্দে থাকতে চান, তাহলে প্রতি বুধবার বাক্রাতুন্ডা গণেশ মন্ত্রটি কম করে ১০৮ বার পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!

৩. খারাপ শক্তি দূরে পালাবে:

৩. খারাপ শক্তি দূরে পালাবে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করলে আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি পরিবারের অন্দরে কোনও ধরনের বিবাদ বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

৪. রোগ-ব্যাধি দূরে ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না:

৪. রোগ-ব্যাধি দূরে ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না:

শাস্ত্র মতে গণেশ ঠাকুরের কপালে সিঁদুর লাগিয়ে এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে দেবের আশীর্বাদে গৃহস্থের অন্দরে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটে যে শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় নানা রোগ ব্যাধি দূরে পালায়। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তিও ফিরে আসে।

৫. কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো:

৫. কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো:

শাস্ত্র মতে প্রতিদিন দিন দেবের পুজো করার পর সিঁদুরের সঙ্গে তেল মিশিয়ে তা রুপো বা সোনার কয়েনের উপর লাগিয়ে গণেশ ঠাকুরের সামনে রাখতে পারেন, তাহলে কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি মিলতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, জীবনে চলার পথে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যায় চোখের নিমেষে। প্রসঙ্গত, যারা মনের মতো চাকরির সন্ধান করছেন তারাও যদি এই নিয়ম মেনে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে কিন্তু মনের ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না।

৬. নতুন কাজে সফলতা আসবে:

৬. নতুন কাজে সফলতা আসবে:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও নতুন কাজ শুরু করার আগে বাক্রাতুন্ডা গণেশ মন্ত্র পাঠ করার পাশাপাশি যদি "ওম গাম গনপাতায়ে নমহঃ", এই মন্ত্রটিও পাঠ করা যায়, তাহলে সেই কাজে সফলতা চোখের নিমেষে।

৭. হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি ফিরে আসবে:

৭. হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি ফিরে আসবে:

খেয়াল করে দেখবেন প্রতিদিন কখনও অফিসের কারণে তো কখনও পারিবারিক কোনও ঘটনার জেরে মন এতটাই খারাপ থাকে যে কিছুই ভাল লাগে না। এমনটা প্রায় সবার সঙ্গেই ঘটে থাকে। কিন্তু আপনি যদি চান, তাহলে কিন্তু অপার শান্তির খোঁজ পেতে পারেন। কীভাবে এমনটা সম্ভভ? পুরান অনুসারে নিয়মিত দেবেকে সিঁদুর নিবেদন করে শঙ্খ বাজিয়ে পুজো করুন, সঙ্গে এই শক্তিশালী মন্ত্রটি পাঠ করলে ভগবান গণেশ এতটাই প্রসন্ন হবেন যে বাড়িতে শুভ শক্তির আগমণ ঘটবে। আর এমনটা হলে গৃহস্থে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগবে না। ফলে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তিও ফিরে আসবে। কমবে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদও।

৮. চরম অর্থনৈতির সমৃদ্ধির স্বাদ মিলবে :

৮. চরম অর্থনৈতির সমৃদ্ধির স্বাদ মিলবে :

অনেকের মতো আপনিও নিশ্চয় বড়লোক হতে চান? তাহলে প্রতি বুধবার সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে হলুদ রঙের জামা পরে গণেশ ঠাকুরের সামনে একটা প্রাদীপ জ্বালান। সঙ্গে তাঁর কপালে সিঁদুর লাগিয়ে "সিন্ধুরন শ্বভূম রক্তবিন্দু শুভদন কামদন চাউ সি সিন্ধুরন প্রতিঘরেয়তম ...", এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। এর পর বাক্রাতুন্ডা গণেশ মন্ত্র পাঠ করে শেষ করতে হবে পুজো। এইভাবে প্রতি বুধবার দেবের আরাধনা করলে দেখবেন "আচ্ছে দিন" আসতে সময় লাগবে না।

Read more about: ধর্ম
English summary

VAKRATUNDA MAHAKAYA SLOKA – POWERFUL GANESHA MANTRA: MEANING & BENEFITS

Lord Ganesha has been acknowledged as the Remover of Obstacles and Lord of Success. The Sanskrit word ”Ganesh” comes from the word ”vighna”, which translates as obstacles, hurdles, hindrances, or impediments. There are 2 kinds of vighnas: external and internal. When we learn to remove the internal ”vighnas”, the external ones are consequently removed.
Story first published: Wednesday, August 8, 2018, 11:19 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion