Just In
- 1 hr ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 5 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 21 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 21 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
বৈকুন্ঠ একাদশী ২০২০ : দিন, সময় এবং তাৎপর্য
আজ, ৬ জানুয়ারি বৈকুণ্ঠ একাদশী অর্থাৎ ভগবান বিষ্ণুর পূজা বা আরাধনার দিন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর সমস্ত ভক্তরা পবিত্র মন্ত্র জপ করে এবং কঠোর উপবাস করে অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত তাঁর পূজা করে। বৈষ্ণব মতে, এই দিনটি অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। মনে করা হয়, এইদিনেই বৈকুণ্ঠের দ্বার উন্মুক্ত হয়। দক্ষিণ ভারতে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয় এবং সেখানে এটি 'মুক্কোটি একাদশী' নামে পরিচিত।
পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের (হিন্দু বর্ষপঞ্জি অনুসারে) একাদশী তিথিতে এটি পালিত হয়। হিন্দুদের মধ্যে বিশেষত যারা ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত, তাদের কাছে এই দিনটির তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে বৈকুণ্ঠ একাদশী আজ, ৬ জানুয়ারি পালিত হচ্ছে।
জেনে নিন এই একাদশীর সময় এবং তাৎপর্য -
বৈকুণ্ঠ একাদশীর সময়
বৈকুণ্ঠ একাদশী তিথি শুরু হয়েছে আজ, ৬ জানুয়ারি রাত ৩টা বেজে ০৬ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ আগামীকাল ভোর ৪টা বেজে ০২ মিনিটে। ভক্তরা এই সময়কালে উপবাস করে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করতে পারবেন। এরপরের বৈকুণ্ঠ একাদশী ব্রতটি হবে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বরে।
বৈকুণ্ঠ একাদশীর তাৎপর্য
১) এক বছরে মোট ২৪টি একাদশী রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, বৈকুণ্ঠ একাদশীতে উপবাস করার উপকারিতা বাকি ২৩টি একাদশীর উপবাসের সমান।
২) ভক্তদের বিশ্বাস, বৈকুণ্ঠ একাদশী পালন করলে পরম প্রাপ্তি সম্ভব হয় বা পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মোক্ষ লাভ অনিবার্য। এছাড়াও, জ্ঞানার্জনের পথে সহায়তা করে।
৩) ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, ভগবান বিষ্ণুর আবাস অর্থাৎ বৈকুণ্ঠের দ্বার এই দিনেই উন্মুক্ত হয়।
৪) কথিত আছে, যারা এই ব্রত পালন করেন এবং সঠিকভাবে সমস্ত নিয়ম মেনে চলেন তাদের বৈকুণ্ঠে পৌঁছনো সহজ এবং তাদের জীবনে কোনও সমস্যায় পড়তে হয় না।
৫) হিন্দুধর্মাবলম্বীরা এই দিনটিকে বিষ্ণু পূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচনা করেন। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে এটি, 'মুক্কোটি একাদশী' নামে পরিচিত। তবে, কেরালার মানুষেরা একে 'স্বর্গভাথিল একাদশী' বলে থাকেন।
৫) এই দিনে, ভক্তরা তাদের বাড়িতে বা মন্দির চত্বরে ভগবান বিষ্ণুরা স্মরণে যজ্ঞ এবং পূজা করেন।
আরও পড়ুন : বৈকুণ্ঠ একাদশী ২০২০ : পূজা বিধি এবং ব্রত কথা
৬) ভগবান বিষ্ণুকে সন্তুষ্ট করার জন্য এইদিন পবিত্র মন্ত্র জপ এবং ভজন হয়।
৭) তিরুপতির 'তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর', শ্রীরাঙ্গামের 'শ্রী রাজগোপালস্বামী মন্দির' এবং গুব্বি-র 'মহালক্ষ্মী মন্দির' প্রভৃতি মন্দিরগুলি দেবদেবী দর্শনের জন্য জনসাধারণের কাছে খুলে দেওয়া হয়।
৮) ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরগুলিতে এইদিন বিভিন্ন কীর্তন ও পূজার আয়োজন করা হয়।