For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতিটা দিন অনন্দে এবং নির্বিগ্নে কাটুক এমনটা যদি চান তাহলে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!

এই লেখায় বিশেষ কিছু পদ্ধতির সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যে পদ্ধতিগুলিকে মেনে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে এবং বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যায়।

|

প্রতিদিন সকালে উঠে আমাদের মধ্যে অনেকেই ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা করি, "দিনটা যেন ভাল যায় ভগবান"। এমনটা করি আমরা অনেকটা বিশ্বাসকে সঙ্গী করে। আমাদের মনে হয় সকাল সকাল এমন প্রার্থনা করলে বাস্তবিকই দিনটা ভাল যাবে। কিন্তু সত্যিই কি যায়?

না। বেশিরভাগ দিনটাই ভাল যায় না। কোনও কোনও দিন হাজারো দুশ্চিন্তা ঘাড়ে চেপে বসে তো কোনও দিন অফিসে এমন সব ঘটনা ঘটে যে মন-মেজাজ খিটকিটে হয়ে যায়। শুধু তাই পারিবারিক সমস্যাও মাঝেমধ্যে আমাদের মনকে বিষিয়ে তোলে। ফলে দিনটা এতটাই খারাপ যায় যে মনে হয় কখন ঘুমতে যাব! কারণ একবার ঘুমিয়ে পরলে যে আরেকটা নতুন দিনে চোখ খুলবে। আর সেই দিনটা ভলো যেতে পারে, কি তাই না! এই আশাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু আর নয়! অনেক হল আশায় আশায় বাঁচা। এবার প্রতিটি দিন ভালো যাবে, আনন্দে কাটবে। তবে এমনটা যাতে হয়, তা সুনিশ্চিত করতে এই লেখাটা একবার পড়ে ফেলতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

আসলে এই লেখায় বিশেষ কিছু পদ্ধতির সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যে পদ্ধতিগুলিকে মেনে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে এবং বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যায়। ফলে দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে মন-মেজাজ এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে প্রতি দিনই অফুরন্ত আনন্দের সন্ধান মেলে। তাই তো বলি বন্ধু, আর অপেক্ষা নয়, চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই সব প্রাচীন নিয়মগুলি সম্পর্কে যা দুঃখের অন্ধকারে আমাদের খুশির মতো আলোর সন্ধান দিতে পারে!

প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মানতে হবে সেগুলি হল...

১. মাটির প্রদীপ এবং হনুমানজি:

১. মাটির প্রদীপ এবং হনুমানজি:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার মাটির প্রাদীপ জ্বালীয়ে হনুমানজির সামনে বসে এক মনে তাঁর নাম নিলে বা হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, দেবের আশীর্বাদে দুশ্চিন্তা যেমন দূর হয়, তেমনি স্ট্রেল লেভেলও কমে চোখে পরার মতো। মধ্যা কথা এক অফুরন্ত আনন্দের সন্ধান মেলে। তাই তো বলি বন্ধু, একবার মনে বিশ্বাস নিয়ে এই নিয়মটি মেনে অঞ্জনি পুত্রের অরাধনা করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন!

২. প্রদীপ এবং লবঙ্গ:

২. প্রদীপ এবং লবঙ্গ:

হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন বই অনুসারে প্রতিদিন সকালে পুজো করার পর মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে তাতে দুটো লবঙ্গ ফেলে দিয়ে আরতি করলে সারা দিনটা নাকি ভাল যায়। এমনকি একই উপকার পাওয়া যায় কপপুরে লবঙ্গ ফেলে জ্বালালেও।

৩. ডাল এবং সরষের তেল:

৩. ডাল এবং সরষের তেল:

অনেক সময় শনি গ্রহের কুপ্রভাবের কারণেও কিন্তু নানাবিধ ঝামেলা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই তো প্রতি শনিবার উরাদ ডাল এবং সরষের তেল দান করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা করলে শনি দেব বেজায় প্রসন্ন হন। ফলে শনি গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শনিবার করে তিল তেল নিবেদন করে শনি দেবের অরাধনা করলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।

৪. মাটির প্রদীপে সরষের তেল:

৪. মাটির প্রদীপে সরষের তেল:

কাজ হতে হতেও কি হচ্ছে না? এমনকি যে কাজই শুরু করুন না কেন তাতে অসফল হচ্ছেন? তাহলে বন্ধু একটা ফাঁকা জায়গায়, যেখানে লোকজনের যাতায়াত তেমন ভাবে নেই, সেখানে একটা মাটির প্রদীপে সরষের তেল নিয়ে জ্বালিয়ে এক মনে ভগবানের কছে নিজের মনের কথা জানান। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন! শুধু তাই নয়, সফলতা এবং অফুরন্ত অনন্দ দেখবেন আপনার রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে।

৫. তুলসি গাছে জল প্রদান:

৫. তুলসি গাছে জল প্রদান:

শাস্ত্র মতে প্রতিদিন অফিস বেরনোর আগে যদি তুলসি গাছে জল ঢেলে বেরতে পারেন, তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। কারণ এমনটা করলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে দিনটা তো আনন্দে কাটেই, সেই সঙ্গে খুশির খবর পাওয়ার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে।

৬. গাড় রঙের জামা-কাপড়:

৬. গাড় রঙের জামা-কাপড়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নতুন কোনও কাজ শুরু হওয়ার দিনে অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজে বেরনোর সময় যদি নীল বা লালের মতো গাড় রঙের জামা-কাপড় পরা যায়, তাহলে সে কাজে সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। আসলে নানাবিধ রংও কিন্তু নানাভাবে আমাদের ভাগ্যকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই রং এবং আমাদের জীবনের মধ্যকার সম্পর্ককে যদি হালকা ভাবে নেন, তাহলে কিন্তু ভুল করবেন।

৭. গোল মরিচ:

৭. গোল মরিচ:

প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরনোর আগে সদর দরজার সামনে অল্প করে গোল মরিচ ফেলে তার উপর দিয়ে হেঁটে বেরিয়ে যান। তবে ভুলেও পিছনের দিকে ফিরে তাকাবেন না যেন! আসলে এই নিয়মটি মেনে চললে খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যায়। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি দিনটা বেজায় আনন্দে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে।

৮. গণেশ দেবের অরাধনা করা মাস্ট:

৮. গণেশ দেবের অরাধনা করা মাস্ট:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে টানা ২১ টা বুধবার গণেশ দেবের অরাধনা করার পাশপাশি "ওম গান গাণপাতায়ে নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের মণিকোঠায় সাজানো ছোট থেকে বড় সব ইচ্ছা পূরণ হতেও সময় লাগে না।

Read more about: ধর্ম বিশ্ব
English summary

Tips And Remedies For success on everywhere

If you are suffering from financial woes, then lighting a lamp in front of Lord Kuber in the North direction of your house everyday will solve all your problems. Keep doing so till your finances improve.
Story first published: Tuesday, November 27, 2018, 11:34 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion