For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সুখে-শান্তিতে থাকতে চাইলে ভুলেও এই ঠাকুরের মূর্তি বা ছবিগুলি বাড়িতে রাখবেন না যেন!

এই প্রবন্ধে আলোচিত দেব-দেবীদের মূর্তি যদি বাড়িতে রাখেন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে সুখ-শান্তির সন্ধান তো পাওয়া যাবেই না, উল্টে নানা ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যাবে বেড়ে।

|

বাড়িতে দেবতাদের আসন পাতা হয় সব ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। কিন্তু একথা জানা আছে কি এই প্রবন্ধে আলোচিত দেব-দেবীদের মূর্তি যদি বাড়িতে রাখেন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে সুখ-শান্তির সন্ধান তো পাওয়া যাবেই না, উল্টে নানা ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যাবে বেড়ে।

শুধু বিশেষ কিছু ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি নয়, শাস্ত্র মতে বেশ কিছু ধরনের পুজো সামগ্রিও বাড়িতে রাখা উচিত নয়। তাই তো এই প্রবন্ধে সেই সব বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল, যা শুভ শক্তির নয়, অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটায় বাড়িতে। সেই সঙ্গে ব্যাড লাককেকেও ডেকে আনে। তাই সুখে-শান্তিতে যদি থাকতে চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন!

প্রসঙ্গত, যে যে ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে রাখলে বা যে যে নিয়মগুলি না মানলে গৃহস্থে নেগেটিভ এনার্জির দাপাদাপি বেড়ে যেতে পারে, সেগুলি হল...

১. একটার বেশি নয়:

১. একটার বেশি নয়:

হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে বাড়িতে বা ঠাকুর ঘরে ভুলেও তিনটে গণেশের মূর্তি রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে ব্যাড লাক তো পিছু নেয়ই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথও আটকে যায়। ফলে টাকা-পয়সা সম্পর্কিত নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তা যদি না চান, তাহলে ভুলেও বাড়িতে তিনটে গণেশের মূর্তি বা ছবি রাখবেন না যেন!

২. ভুলেও শিব লিঙ্গ নয়:

২. ভুলেও শিব লিঙ্গ নয়:

শাস্ত্র মতে বাড়িতে শিব লিঙ্গ রাখা একেবারেই উচিত নয়। এমনটা করলে ভাল কিছু তো হয়ই না, উল্টে মারাত্মক খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আসলে শিব লিঙ্গ হল অপার শক্তির আধার। এমন শক্তির উৎসকে পুজো করতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন ধরুন- দিনে এবং রাত্রে পুজো করতে হবে, শিব লিঙ্গের উপর জলের আধার তৈরি করতে হবে, শুদ্ধ মতে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে পুজোর ব্যবস্থা করতে এবং আরও কত কি! আজকের দিনে সবাই এত ব্যস্ত যে এত নিয়ম মেনে পুজো করার সময় কার হাতে আছে বলুন! তাই তো শিব লিঙ্গ বাড়িতে রাখতে মানা করেন সিদ্ধ পুরুষেরা।

৩. মূতি রাখার আরও নিয়ম:

৩. মূতি রাখার আরও নিয়ম:

এমনটা বিশ্বাস করা হয়, একই দেব-দেবীর তিনটে মূর্তি বা ছবি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে মনোমালিন্য এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে পারিবারিক শান্তি দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, দূর্গা মায়েরও তিনটি ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ ওমনটা করলেও একই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

৪. শ্রী কৃষ্ণ এবং গণেশ ঠাকুর:

৪. শ্রী কৃষ্ণ এবং গণেশ ঠাকুর:

এদের মূর্তিও কি রাখা চলবে না? না না তেমন নয়। তবে এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন ধরুন, কোনও ছবিতে শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে যদি রাধা বা রুক্মিনী থাকেন, তাহলে সেই ছবি যেমন ভুলেও বাড়িতে রাখা চলবে না, তেমনি ভগবান গণেশ, তার দুই স্ত্রীর সঙ্গে বসে রয়েছেন, এমন ছবিও বাড়িতে আনা চলবে না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের ছবি বাড়িতে রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ডিভোর্সের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

৫. শুকিয়ে যাওয়া ফুল নৈব নৈব চ:

৫. শুকিয়ে যাওয়া ফুল নৈব নৈব চ:

ঠাকুরকে নিবেদন করা ফুল অনেকই দিনের পর দিন সরাতে ভুলে যান। ফলে সেগুলি শুকিয়ে ঠাকুরের সামনেই পরে থাকে। এমনটা হওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ সর্বশক্তিমানকে সব সময় তাজা ফুল দিয়ে পুজো করা উচিত। তার সামনে এইভাবে শুকনো ফুল থাকলে পরিবারে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নানাবিধ অর্থনৈতিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও যায় বেড়ে। তাই সুখ-শান্তিতে যদি থাকতে চান, তাহলে এবার থেকে ভুলেও শুকনো ফুল ঠাকুরের সামনে রেখে দেবেন না যেন!

৬. ভাঙা প্রদীপ:

৬. ভাঙা প্রদীপ:

খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই ভেঙে যাওয়া প্রদীপ ফেলে না দিয়ে সেগুলিকে জ্বালিয়েই পুজো করে থাকেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ ভাঙা প্রদীপ বাড়িতে রাখলে মারাত্মক টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। এমনকি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ফাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তা যদি না চান, তাহলে ভুলেও ভাঙা প্রদীপ বা ভাঙা ঠাকুরের মূর্তি বাড়িতে রাখবেন না।

৭. মরা তুলসি গাছ:

৭. মরা তুলসি গাছ:

ঠিক মতো জল-বাতাস না পেলে অনেক সময়ই তুলসি গাছ মারা যায়। এমনটা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা জলে ভাসিয়ে দেবেন। কারণ মরা তুলসি গাছ বাড়িতে রাখা একেবারেই শুভ নয়। শুধু তাই নয়, এই নিয়মটি যদি না মানেন, তাহলে পরিবারে অশান্তি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ এমন মাত্রায় গিয়ে পৌঁছায় যে ডিভোর্স হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

৮. ভাঙা ঠাকুরের ছবি বা মূর্তিকে পুজো করবেন না:

৮. ভাঙা ঠাকুরের ছবি বা মূর্তিকে পুজো করবেন না:

এমনটা মেনে চলা হয় যে ভেঙে যাওয়া মূর্তি বা ছবি পুজো করলে এক মনে ভগবানের আরধনা করা সম্ভব হয় না। ফলে শুভ কিছু ঘটার সম্ভাবনা তো কমেই, উল্টে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই কোনও কারণে যদি ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি ভেঙে গিয়ে থাকে, তাহলে এক দিনও সেটি বাড়িতে রাখবেন না উচিত নয়।

Read more about: ধর্ম
English summary

এই প্রবন্ধে আলোচিত দেব-দেবীদের মূর্তি যদি বাড়িতে রাখেন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে সুখ-শান্তির সন্ধান তো পাওয়া যাবেই না, উল্টে নানা ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যাবে বেড়ে।

People are often unaware of the details explained in shastras, and build or buy puja items which are considered inauspicious out of ignorance. for example Keeping three idols or portraits or Lord Ganesha in a puja room invites inauspicious happenings inside home. So careful about the number of Ganeshas you buy!
Story first published: Friday, March 9, 2018, 11:14 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion