Just In
- 8 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 9 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 13 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 14 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
যে কোনও কাজে সাফল্য পেতে চান নাকি? তাহলে নিয়মিত কৃষ্ণ মন্ত্র যপ করা শুরু করুন!
মনকে আনন্দে রাখতে কৃষ্ণ মন্ত্রের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।
একবার আশে পাশে তাকিয়ে দেখুন। কেই যেন সুখে নেই। যার কাছে অনেক টাকা আছে, সে মাথায় চুল কমে যাচ্ছে বলে দুখি, আবার যার মাথায় চুল রয়েছে তার চাকরি লাগছে না বলে চিন্তায়। কেউ কেউ তো আবার শত চেষ্টার পরেও সাফল্য পাচ্ছে না বলে ডিপ্রেসড। আমি যদিও এদের থেকে একেবারে আলাদা, তা নয়! আমার হালও বেজায় বেহাল! তবু বলবো আমি বাকিদের মতো নই। তাদের সঙ্গে আমার অনেক পার্থক্য। কি পার্থক্য জানেন?
বেশিরভাগই তাদের দুঃখকে কীভাবে দূর করে সুখের সন্ধান পাবেন, সে বিষয়ে জানেন না। আর ঠিক এখানেই আমি বাকিদের থেকে একটু আলাদা। আসলে আমি কী কারণে দুখি, সেটা যেমন জানি, তেমনি দুঃখ দূর করার একটা শর্টকার্টও জানা আছে আমার। তাই তো আমি চিন্তা মুক্ত। আসুক দুঃখ। কোই ফিকার নেহি। কারণ সঙ্গে আছে তো শ্রী কৃষ্ণ!
মানে দুঃখের সঙ্গে ভগবান কৃষ্ণের সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? এই উত্তর দেওয়ার জন্যই তো এই প্রবন্ধটি লেখা। আজ এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের হাতে সুখের চাবিকাঠি তুলে দেব আমি, যাকে কাজে লাগালেই দেখবেন শত দুঃখের মাঝেও আমার মতো আপনারাও অনন্দে থাকতে পারবেন।
একাধিক প্রাচীন গ্রন্থ অনুসারে আমাদের দুঃখের আসল উৎসস্থল হল মন। তাই মনকে যদি সব সময় সুখি রাখা যায়, তাহলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই আমরা অনন্দে থাকতে পারি। আর মনকে আনন্দে রাখতে কৃষ্ণ মন্ত্রের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। হিন্দ ধর্মের উপর লেখা একাধিক বইয়েও এই বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায় যে কৃষ্ণ নামের মধ্যে এত মাত্রায় শক্তি আছে যে নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সফলতার দুয়ার খুলে যেতেও সময় লাগে না। তাই সবাই মিলে বলে উঠুন "হরে কিষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম, হরে রাম রামো রামো হরে হরে।"
আধুনিক গবেষণাতেও দেখা গেছে কৃষ্ণ নাম যপ করার সময় শরীরের অন্দরে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মন এবং শরীর পজেটিভ এনার্জিতে ভরে যাওয়ার কারণে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরও ভিতর এবং বাইরে থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, আজকের ডেটে যে যে রোগের প্রকোপ সব থেকে বেশি, সেগুলির প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে। তাই তো একবার স্ট্রেস লেভেলকে কমিয়ে ফেলতে পারলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে একেবারেই সময় লাগে না।
১. জীবনে শান্তি ফিরে আসে:
"একটু শান্তি কিভাবে পাওয়া যায়", এই উত্তরের সন্ধান পেতেই সারা দুনিয়া মরিয়া। কারণ কেই বা দুখি থাকতে চায় বলুন! আনন্দই তো জীবনের মূল মন্ত্র, তাই না! আর এই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন একমাত্র শ্রী কৃষ্ণ। তাই তো প্রতিদিন দিনের যে কোনও সময়, কয়েক মিনিট শান্ত মনে বসে কৃষ্ণ মন্ত্র যপ করা শুরু করুন। কয়েক দিন এমনটা করলেই দেখবেন সুফল পেতে শুরু করেছেন। আসলে এই মন্ত্রবলে দেখবেন ধীরে ধীরে মন শান্ত হতে শুরু করেছে। আর একবার মন শান্ত হয়ে গেলে জীবনে অনন্দ আসতে একেবারেই সময় লাগে না।
২. শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
সাফল্য পেতে গেলে কী কী জিনিসের প্রয়োজন পরে? ডাঃ এপিজে আবদুল কালাম সব সময় বলতেন জীবনে সফল হতে গেলে কঠোর পরিশ্রম এবং মনযোগের প্রয়োজন পরে। আর একথা তো ইতিমধ্যেই আলোচনা করে ফলেছি যে নিয়মিত কৃষ্ণ মন্ত্র যপ করলে মন এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময়ই লাগে না। ফলে মনযোগের ঘাটতি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আর যদি পরিশ্রমের কথা বলেন, তাহলে বলবো এক্ষেত্রেও কৃষ্ণ নাম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? নিয়মিত এই মন্ত্র পাঠ করার অভ্যাস করলে সারা শরীর এত মাত্রায় পজিটিভ এনার্জিতে ভরে যায় যে শারীরিক ক্লান্তি দূর হতে সময় লাগে না। আর দেহের অন্দরের পরিবেশ যখন এনার্জিতে ভরে ওঠে, তখন স্বাভাবিকভাবেই পরিশ্রম করার আগ্রহ যে বাড়ে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
৩. মুক্তির পথ মসৃণ হয়:
সারা জীবন ধরে আমরা নানা কর্ম করে যাই। সেই কর্মের মায়াজল থেকে মুক্তির পথ দেখায় কৃষ্ণ মন্ত্র, যে মুক্তির সন্ধান পেতে সবাই মুখিয়ে থাকলেও মুক্ত হতে পারে কতজনই বা বলুন! নিয়মিত হরে কৃষ্ণ মন্ত্র পাঠ করলে জীবন তার অর্থ খুঁজে পায়। ফলে জন্ম-মৃত্যুর বৃত্ত থেকে আত্মার মুক্তি পেতে সময়ই লাগে না। তাই তো ধর্ম গুরুরা মুক্তির সন্ধান পেতে সময় সব সময় কৃষ্ণ নাম যপ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৪. অশান্তি দূর হয়:
বর্তমান সময় সবারই জীবন নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফলে মনের শান্তি যেন আজ দূরের কোনও বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাল থাকার পথ দেখাতে পারে একমাত্র কৃষ্ণ মন্ত্র। কারণ নিয়মিত এই মন্ত্রটি যপ করলে মন শান্ত হয়, সেই সঙ্গে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে যে কোনও ধরনের সমস্যার সমাধান বার করতে একেবারেই সময় লাগে না। আর যদি একবার আমরা আমাদের আশেপাশের সব সমস্যাকে কমিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে জীবনে সুখ ছাড়া আর কিই বা থাকে বলুন!
কি বন্ধু কীভাবে সফল এবং সুখি মানুষ হওয়া যায়, সে উত্তর পেলেন তো? তাহলে অর অপেক্ষা কেন, এই প্রবন্ধটির লিঙ্ক বন্ধদের মধ্যে শেয়ার করে তাদেরও দুঃখের জাল থেকে মুক্তির পথ দেখান না!