For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

মানসিক শান্তি এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার সন্ধান পেতে যদি চান তাহলে এই মন্ত্রগুলি জপ করুন!

এই প্রবন্ধে বেশ কিছু শক্তিশালী মন্ত্রের উল্লেখ করা হয়েছে, যা নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে মন-মেজাজ এতটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে যে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসবে চোখের পলকে।

|

পঙ্কজ ত্রিপাঠির নাম শুনেছেন নিশ্চয়? সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইমের অরিজিনাল সিরিজ "মিরাজাপুর" রিলিজ হওয়ার পর তো এই অভিনেতার জনপ্রিয়তার আকাশ ছুঁয়েছে। সেই পঙ্কজ একটা কথা প্রায়ই হলে থাকেন। তিনি বলেন জীবনে "ঠেহেরাও" এর প্রয়োজন রয়েছে। দৌড়াতে দৌড়াতে মাঝে মাঝে দাঁড়ানো উচিত। শ্বাস নেওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকের দিনে এমন সুযোগ করা কাছেই বা আছে বলুন!

কেরিয়ারে পিছিয়ে পরার অনিশ্চিয়তা বা স্বপ্ন পূরণের তাড়ায় আমরা এতটাই মশগুল যে জীবনের মূল চাহিদাগুলির থেকে আমাদের চোখ সরে গেছে। আজ আমরা ধনী হতে চাই, কিন্তু সুখি হতে চাই না। গাড়ি কিনতে চাই, বড় বাড়ি বানাতে চাই, কিন্তু শান্তির ঘুম আসবে কীভাবে সে চেষ্টা করি না। তাই তো আজ ভারতীয় যুবসমাজের গড় আয় তো বেড়ছে, কিন্তু সেই সঙ্গে লেজুড় হয়েছে এমন কিছু মারণ রোগ, যা কষ্টকর মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের। তাই তো বলি বন্ধু, খোলা এবং বন্ধ চোখে দেখা স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠুক, সেই সঙ্গে অফুরন্ত আনন্দের যদি সন্ধান পেতে চান, তাহলে এই লেখাটি পড়তে ভুলবেন না যেন!

আসলে এই প্রবন্ধে বেশ কিছু শক্তিশালী মন্ত্রের উল্লেখ করা হয়েছে, যা নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে মন-মেজাজ এতটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে যে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তি ফিরে আসবে চোখের পলকে। সেই সঙ্গে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেড়ে যাোয়ার কারণে মনের সব ইচ্ছা পূরণের পথ প্রশস্ত হতেও সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলাও যেমন মিটে যাবে, তেমনি অনেক অনেক টাকার মলির হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হবে। তাই তো বলছি বন্ধু, ৩০ পরনোর আগেই যদি বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করতে চান, সেই সঙ্গে চান সুখি জীবনের পথকে প্রশস্ত করতে, তাহলে যে যে মনন্ত্রগুলি আপনাকে প্রতিদিন পাঠ করতে হবে, সেগুলি হল...

১. শ্রী গণেশ মন্ত্র:

১. শ্রী গণেশ মন্ত্র:

"বক্রতুন্ডা মহা-কায়া সূর্যকোটি সমপ্রাভা নির্বিগনম কুরু মে দেভা সর্ব কার্য সর্বদা", এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে গণেশ দেবের আশীর্বাদে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। শুধু তাই নয়, হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তিও ফিরে আসে। ফলে স্ট্রেস লেভেল কমতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্র বলে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে থাকার কারণে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পরার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কালো যাদুর প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকে না।

২. গায়েত্রী মন্ত্র:

২. গায়েত্রী মন্ত্র:

"ওম ভুর ভুবহ সোয়াহা তাৎ সাভিতুর ভারেনিয়াম ভার্গো দেবাসিয়া ধিমাহি দিয়ো ইয়ো নাহ প্রাচোদায়াত।" হিন্দু শাস্ত্র উল্লেখিত শক্তিশালী মন্ত্রগুলির অন্যতম এই মন্ত্রটি নিয়মিত ১০৮ বার পাঠ করতে হবে। এমনটা করলে আমাদের শরীর, মন এবং আত্মার উপর এমন প্রভাব পরবে যে খারাপ চিন্তা দূরে পালাতে সময় লাগবে না। ফলে মন-মেজাজ নিমেষে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে "ব্রিদিং প্যাটার্ন" এ উন্নতি ঘটবে, স্ট্রেস এবং দুশ্চিন্তার মাত্রা কমবে, খারাপ শক্তির প্রভাব যাবে কমে এবং পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগবে না। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি সুখে -শান্তিতে কাটাতে চান, সেই সঙ্গে হয়ে উঠতে চান অনেক অনেক টাকার মালিক, তাহলে নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!

৩. ওম নম শিবায়:

৩. ওম নম শিবায়:

এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত ১০৮ বার "ওম নম শিবায়" মন্ত্রটি পাঠ করলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরও একাধিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন- স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে, পরিবারে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগে, খারাপ শক্তির প্রভাব একেবারে কমে যায়, বাস্তু দোষ মিটে যায়, অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে, জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি মেলে এবং দেবাদিদেবের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়।

৪. মহা লক্ষ্মী মন্ত্র:

৪. মহা লক্ষ্মী মন্ত্র:

মনের মণিকোঠায় সাজানো সব স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পাশাপাশি অল্প সময়েই যদি অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান, তাহলে নিয়মিত মহালক্ষ্মী মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে মা লক্ষ্মী এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে একাধিক উপকার মেলে। যেমন ধরুন- মনের মতো চাকরির সন্ধান মেলে, ব্যবসায় উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়, হারিয়ে যাওযা মানসিক শান্তি ফিরে আসে, পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে এবং টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝামেলা মিটে যেতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-"অঙ্গম হারে পুলকা-ভূষনাম আশ্রায়াতি ভ্রিঙ্গ-অঙ্গনেভ মুকুল অভহারানাম চামালাম আঙ্গি কার্তা আখিলা বিভূতির অপঙ্গ লিলা মঙ্গলিয় দা আতসু মামা মঙ্গলিয় দেবাতায়াহা"।

৫. সরস্বতী মন্ত্র:

৫. সরস্বতী মন্ত্র:

মাতৃশক্তির আরেক রূপ হলেন মা সরস্বতী। তাঁর নামাঙ্কিত এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে দেবীর আশীর্বাদে মনোযোগ ক্ষমতার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি মন শান্ত হয়, ভয় দূর হয় এবং পড়াশোনায় উন্নতি ঘটে। সেই জন্যই তো প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর এই মন্ত্রটি পাঠ করার প্রয়োজন রয়েছে। মন্ত্রটি হল-"ইয়া কুন্দেন্দু তুষার হার ধোওয়ালা ইয়া শুভ্র বস্ত্রবৃতা ইয়া বিুনা-বার-ডান্ডা-মন্ডিত করা ইয়া শ্বয়েত পদ্ম আসন ইয়া ব্রহ্মাআচায়ুতা শঙ্করা প্রবৃত ভিরদেবীহে সদা পুজিত সা মাম বাটু সরস্বতী ভাগ্যবতী নিশেষ জয়াদিয়া অপহ...।"

Read more about: ধর্ম
English summary

the importance and benefits of some of the most powerful hindu mantras

The word ‘mantra’ is Sanskrit and it means sacred syllable(s) or sacred word(s). Across the literature, mantras are described as vibrational formulas that are recited silently within, spoken, or sung outwardly. They make a precise sound, a frequency that conveys a directive into our sub-consciousness. Mantras are invoked towards the delivery of very specific results and are repeated a certain number of times. Some mantras may be prayer while others can be powerful and invoke commands or demands.
Story first published: Thursday, November 22, 2018, 11:18 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion