Just In
Don't Miss
সিঁদুরের এই সহজ টোটকায় সুখ-শান্তি বজায় থাকবে দাম্পত্য জীবনে, উন্নত হবে আর্থিক পরিস্থিতি!
সংসারে সর্বদা সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বজায় থাকুক এটা প্রত্যেক ব্যক্তিই চান। তাই, দুঃখ-কষ্ট এবং নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই অনেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না। তবে হিন্দু ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রে সিঁদুরের এমন কিছু উপায়ের উল্লেখ রয়েছে, যা পালন করলে আপনার জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হতে পারে এবং সুখ-শান্তির আগমন ঘটতে পারে।
হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের জীবনে সিঁদুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আর এই সিঁদুরের টোটকাতেই আপনার পরিবারে আনন্দ ফিরে আসতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাড়ির পরিবেশ সর্বদা সুখকর রাখতে সিঁদুর কী ভাবে কাজে লাগাবেন -
আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাবেন
একাক্ষী নারকেলে সিঁদুর লাগিয়ে সেটা লাল কাপড়ে বাঁধুন। তারপর সেটা পুজো করুন। মা লক্ষ্মীর কাছে ধন-সম্পদের প্রার্থনা করার সময় এটি আপনার ব্যবসার জায়গায় একটি নিরাপদ স্থানে রাখুন। এতে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হতে পারে।
চাকরি ও পরীক্ষায় সাফল্য মিলবে
শুক্ল পক্ষের পুষ্য যোগে বা গুরু পুষ্য যোগে ভগবান গণেশকে সিঁদুর দান করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এটি করলে যে কোনও পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। চাকরি পেতে হলে যে কোনও শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার হলুদ কাপড়ে অনামিকা আঙুলের সাহায্যে সিঁদুর দিয়ে ৬৩ নম্বর লিখুন। তারপর এই কাপড়টি দেবী লক্ষ্মীর চরণে অর্পণ করুন। এটি তৃতীয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করুন।
ঘরের সব দোষ দূর করুন
সিঁদুর ও তেল মিশিয়ে ঘরের দরজায় লাগান। এতে ঘরের অশান্তি দূর হয় এবং ঘরের যাবতীয় দোষ-ত্রুটিও দূর হয়। ঘরে কোনও নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না এবং ঘরের অভ্যন্তরে উপস্থিত নেতিবাচক সবকিছু বেরিয়ে যায়।
শনিদেব প্রসন্ন হন
সিঁদুরে তেল মেশালে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং তিনি সমস্ত খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করেন। বিশ্বাস করা হয় যে, বাড়ির দরজায় সিঁদুর লাগালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা বাড়ে
রাতে ঘুমানোর আগে স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বালিশের নীচে সিঁদুরের একটি পুরিয়া রাখতে হবে এবং স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর বালিশের নীচে দু'টি কর্পূর রাখতে হবে। পরদিন সকালে সিঁদুর বাড়ির বাইরে ফেলে দিন এবং কর্পূর জ্বালিয়ে দিন। এটি করলে দু'জনের মধ্যে আবার প্রেম-ভালবাসা বাড়বে।