Just In
- 14 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 19 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
কার্তিক মাসের তাৎপর্য
কার্তিক মাসকে হিন্দুদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় মাস হিসেবে গণ্য করা হয়|দীপাবলির পরে কার্তিক মাসের শুরু, শীতকালের ইঙ্গিত দেয়| প্রতি বছর এই অষ্টম মাসটি শুরু হয় যখন সূর্য বৃশ্চিকরাশিতে প্রবেশ করে| গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মতে, কার্তিক মাস নভেম্বর মাসে পড়ে|অনেক ধর্মানুষ্ঠান ও প্রথা আছে যা এই মাস জুড়ে অনুসরণ করার প্রয়োজন হয়|
শিবের আরাধনা
কার্তিক মাস বিষ্ণু ও শিব ভক্তদের আনুকূল্যে এবং তাই এইসময়ে বিষ্ণু ও শিবের মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয়ে থাকে|কার্তিক মাসে, কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশের অনেক মানুষ কার্তিক সোমবার ব্রত পালন করে থাকেন| এই মাসে পূর্ণিমাতে কার্তিক নক্ষত্রটি চাঁদের সহচার্য্যে থাকে তাই এই মাসের নাম কার্তিক|
শিবের আর এক নাম সোম বা সোমেস্বর| কার্তিক সোমবার ব্রত প্রভু সোমেস্বরকে তুষ্ট করার জন্য পালন করা হয়| কার্তিক মাসের প্রত্যেকটি সোমবার শিবের আরাধনা ও তার আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য অনুকূল|হিন্দু ধর্মে, এটা বিশ্বাস করা হয় যে কার্তিক মাসে শিব এবং বিষ্ণুর আরাধনার দ্বারা মানুষ তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারেন|এই নিবন্ধটিতে বিভিন্ন কারণে কেন কার্তিক মাসকে শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তা তুলে ধরে হল|
কার্তিক মাসের গুরুত্ব
কেন কার্তিক মাস হিন্দু ধর্মে এত গুরুত্বপূর্ণ জানতে নিম্নলিখিত বিশেষত্বগুলিতে আলোকপাত করুন|
বিষ্ণু ভগবান অসাদ্ধ শুদ্ধ একাদশীতে অবসর নেন এবং কার্তিক শুদ্ধ একাদশীতে জাগ্রত হন|
পুরাণ মতে শিব, কার্তিক পূর্ণিমাতে ত্রিপুরাসুরকে বধ করেন ও বিশ্বকে রক্ষা করেন আর তাই তিনি ত্রিপুরহরি নামে পরিচিত|
শুধুমাত্র কার্তিক মাসে গঙ্গা নদী প্রতিটি জলাশয়, নদী, খাল এবং বিলে, তাদের পবিত্র করতে প্রবেশ করে|
মানুষ কার্তিক মাসে আয়াপ্পা দীক্ষা নিতে শুরু করে যা মকর সংক্রান্তির (15 জানুয়ারি) দিন পর্যন্ত চলতে থাকে|
কার্তিক মাসের প্রথা
কার্তিক মাসের গুরুত্ব বুঝতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মানুষ্ঠান অনুসরণ করা প্রয়োজন|প্রথমেই আপনাকে ঊষালগ্নে অর্থাত ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে| এর পরে, পবিত্র নদীর জলে স্নান করতে হবে| বাড়ীতে নৈবিদ্যের আয়োজন করুন ও প্রতি সোমবার মন্দিরে পুজো দিন| সারা মাস জুড়ে, সশব্দে প্রতিদিন কার্তিক পুরানামের প্রতিটি অধ্যায়ে পড়ুন| রোজ সকালে এবং সন্ধ্যায় পবিত্র প্রদীপ জ্বালান| সারা মাস নিরামিষ খাবার খান এবং সমগ্র দিনের মধ্যে শুধুমাত্র একবার আহার করুন|গরিবের সেবা করুন| প্রতিদিন ইষ্টনাম জোপুন|কার্তিক পূর্ণিমায় শিব মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো শুভ হিসেবে গণ্য করা হয়| পাপের থেকে পরিত্রাণ পেতে আমলা গাছের তলায় খাবার খান|কার্তিক মাসের শেষ দিন,পলি সরগম যা অমাবস্যা দিবস হিসাবে পরিচিত, খুব আশাপ্রদ হয়|এই দিনে একতিরিশটি সলতে দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে কলার ভেলায় নদীতে ভাসিয়ে দিন|
কার্তিক মাসের তাৎপর্য
কার্তিক মাসের অসাধারণ তাৎপর্য আছে|আপনি যদি কার্তিক মাসের ধর্মানুষ্ঠান অনুসরণ করেন,পুরাতন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী আপনার জীবন সুশৃঙ্খল হবে এবং আপনি সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারবেন|নদী বা দীঘিতে ভোরের আগে স্নান কার্তিক মাসের ধর্মানুষ্ঠানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত| এই উপলক্ষ্যে মানুষের ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস রপ্ত হয়|অনেকে রীতি মেনে ঠান্ডা জলে স্নান করে থাকেন যা আপনাকে শীতের মাসগুলোতে ঠান্ডার সাথে যুঝতে সাহায্য করে| এই ধর্মানুষ্ঠান আপনাকে জলের গুনের সাথে সাথে দূষণ সম্পর্কেও অবগত করে|এছাড়াও দানধ্যান এই ধর্মানুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত, যা আপনাকে অতি দরিদ্র মানুষের প্রতি হিতৈষী হতে শেখায়|