Just In
- 6 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 7 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 11 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 12 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
দীপাবলিতে লক্ষ্মী পূজার তাৎপর্য
প্রভু রামের ১৪ বছরের বনবাস থেকে প্রত্যাবর্তন ও রাবনের নিধন এর স্মৃতিচারন করতেই, "আলোর উৎসব" দীপাবলিকে উদযাপন করা হয়। কিন্তু, দীপাবলি উদযাপন করার এটিই শুধুমাত্র একটি কারণ নয়। এছাড়াও দীপাবলি উদযাপিত করা হয় কারণ কার্তিক মাসের এই নির্দিষ্ট দিনে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী আবির্ভূতা হন।
প্রভু
রামের
১৪
বছরের
বনবাস
থেকে
প্রত্যাবর্তন
ও
রাবনের
নিধন
এর
স্মৃতিচারন
করতেই,
"আলোর
উৎসব"
দীপাবলিকে
উদযাপন
করা
হয়।
কিন্তু,
দীপাবলি
উদযাপন
করার
এটিই
শুধুমাত্র
একটি
কারণ
নয়।
এছাড়াও
দীপাবলি
উদযাপিত
করা
হয়
কারণ
কার্তিক
মাসের
এই
নির্দিষ্ট
দিনে
দেবতা
ও
অসুরদের
দ্বারা
সমুদ্র
মন্থনের
ফলে,
ধন-সম্পদ
ও
সমৃদ্ধির
দেবী
মা
লক্ষ্মী
আবির্ভূতা
হন।
তাই,
তাৎপর্যগত
ভাবে
দেখতে
গেলে,
দীপাবলিতে
লক্ষ্মী
পূজার
গুরুত্ব
অপরিসীম।
দেবী
লক্ষ্মী,
ভগবান
বিষ্ণুর
স্ত্রী
এবং
তাঁকে
একহাতে
পদ্ম
ফুল
ধারনরত
ও
অপরহাত
দিয়ে
সম্পদ
বর্ষণরত
অবস্থায়,
পদ্ম
ফুলের
ওপর
উপবিষ্ট
দেখানো
হয়।
সুন্দর
স্বর্ণালংকারে
ভূষিত
দেবী
লক্ষ্মীকে,
হিন্দু
দ্বারা
সমৃদ্ধি
ও
অগ্রগতির
জন্য
পূজা
করা
হয়ে
থাকে।
দীপাবলিতে লক্ষ্মী পূজার গুরত্ব কেমলমাত্র বস্তুগত লাভে সীমাবদ্ধ থাকে না বরং এটি শারীরিক ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দেবী লক্ষ্মী যিনি সকল পার্থীব ও বস্তুগত বিলাসিতার প্রতীক, তিনি ধৈর্য ও বাসনার প্রতি অনাসক্তিরও প্রতীক। এখানে আসল উদ্দেশ্য হল, অনাদি ঈশ্বরের সাথে বিলীন হওয়ার অভিলাষা রাখা। নিম্নলিখিত আরো কিছু বিষয় দেওয়া হল যা দীপাবলিতে লক্ষ্মী পূজার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে।
১. আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, দেবী লক্ষ্মী সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। ধন-সম্পদ এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধন-সম্পদ কেবলমাত্র আর্থিক সুবিধাই প্রদান করে তা নয় বরং এটিকে দক্ষতার সাথে পরিচালনাও করতে হয়। মা লক্ষ্মীই একমাত্র দেবী যিনি আপনাকে এহেন আশীর্বাদ প্রদান করতে পারেন।
২. মহান দেবী লক্ষ্মীর নাম, "লক্ষ্মে" শব্দ থেকে প্রাপ্ত, সংস্কৃতে যার অর্থ লক্ষ্য। কাঙ্খিত লক্ষ্য এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা এর সফল লব্ধি জন্য লক্ষ্মী পূজা সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
৩. মা আদি লক্ষ্মী আমাদের মানসিক শক্তি এবং শান্ত মন প্রদান করেন যার ফলে আমরা যেকোন খারাপ পরিস্থিতি সামলে নিতে পারি। তিনি ধীরেধীরে এক বৃহত্তর সত্তার অংশ হতে শেখান এবং আমাদের সব ভীতি এবং নিরাপত্তাহীনতার থেকে পরিত্রাণ পেতে শেখান।
৪. ধান লক্ষ্মী আমাদের বস্তুগত সম্পদ প্রদান করেন এবং ধন্য লক্ষ্মী আমাদের খাদ্য প্রদান করেন, যা ছাড়া আমরা অস্তিত্ব শেষ হয়ে যেতো। মহালক্ষী এই দুই দিক নিয়ে, একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করার জন্য আমাদের কাছে আসেন।
৫. বিদ্যা লক্ষ্মী দক্ষতা, প্রতিভা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা নিয়ে আমদের কাছে আসেন যা আমাদের আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত ভাবে অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৬. ধৈর্য লক্ষী আমাদের লক্ষ্যের প্রতি অধ্যাবসায় ধরে রাখার জন্য ধৈর্য্য ও জ্ঞান প্রদান করেন। আমাদের চেষ্টার মধ্য দিয়ে পথনির্দেশ করেন। এবং তিনি বিজয়া লক্ষ্মী, যিনি আমাদের চূড়ান্ত বিজয়ের পথে নিয়ে যান।
৭. সনাতন লক্ষ্মী সৃজনশীলতা এবং কুল রূপেই আবির্ভূত হন। যারা তাঁর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে থাকেন, তারা কল্পনা, সৃজনশীলতা, দর্শিতা এবং অনুপ্রেরণায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকেন।
৮. সবশেষে ভাগ্য লক্ষ্মী তিনি আমাদের সৌভাগ্য এবং ভবিতব্য রূপে আমাদের এবং আমাদের পরিবারের জন্য জীবনের সব প্রয়োজনীয়তা অনুমোদন করতে আসেন। জীবনে সর্বার্থে উন্নতি সাধন করতে, দীপাবলিতে লক্ষ্মী পূজা করার পরম গুরুত্ব রয়েছে।