Just In
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 22 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
মহালয়া ২০২০ : কেন মা দুর্গাকে 'মহিষাসুরমর্দিনী' বলা হয়?
আজ মহালয়া। দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকটাদিন। পুজোর কেনাকাটা, প্ল্যানিং বহু ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে সবার। প্রতি বছর মহান উদ্যোগ এবং উদ্দীপনা সাথে উদযাপিত হয় দুর্গোৎসব। পুজোর কিছুদিন বাকি থাকলেও, দেবীপক্ষের সূচনার দিন অর্থাৎ 'মহালয়া' প্রত্যেকের দরজায় কড়া নাড়ছে। অতএব, ইতিমধ্যেই উৎসবের প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। আসুন আমরা জেনে নিই মহালয়ার তাৎপর্য, যেখানে আছে দেবী দুর্গার অসুররাজ মহিষাসুরকে পরাস্ত করার কাহিনী।
সূত্র
:
Simplyhindu
মহিষাসুর কে ছিলেন?
'মহিষাসুর' একটি সংস্কৃত শব্দ যা 'মহিষা' শব্দ থেকে উৎপত্তি, এর অর্থ 'মহিষ' এবং 'অসুর' শব্দের অর্থ রাক্ষস বা দৈত্য। বিভিন্ন প্রাচীন হিন্দু কাহিনীতে মহিষাসুরকে অপদেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহিষাসুর ছিলেন অসুরাজ রম্ভ-র সন্তান। অসুররাজ রম্ভ ছিলেন এক ভয়ঙ্কর দৈত্য, যিনি ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত ছিলেন। অসুর ও দেবতাদের মধ্যে তিনি অজেয় ছিলেন।
মা দুর্গাকে কেন 'মহিষাসুরমর্দিনী' বলা হয়?
মহিষাসুর ভগবান ব্রহ্মের একনিষ্ঠ উপাসক ছিলেন। বহু বছর তপস্যার পর ব্রহ্মা তাঁকে একটি বর প্রদান করেছিলেন। মহিষাসুর নিজের শক্তি নিয়ে গর্বিত ছিলেন। তিনি ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে অমরত্বের বর চেয়েছিলেন, এবং তাঁর ইচ্ছা ছিল পৃথিবীর কোনও মানুষ বা প্রাণী তাঁকে যেন হত্যা করতে না পারে। ব্রহ্মা তাঁকে এই বর প্রদান করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি একজন মহিলার কাছে পরাস্ত এবং নিহত হবেন।
মহিষাসুর তাঁর শক্তির ওপর এতটাই আস্থা করতেন যে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, এই পৃথিবীতে কোনও মহিলাই তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। মহিষাসুর তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে ত্রিলোক (স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল) আক্রমণ করেন এবং ইন্দ্রলোকও (ভগবান ইন্দ্রের রাজ্য) জয় করার চেষ্টা করেন। তাঁর অত্যাচারে সারা জগৎ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। দেবতারা মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ করলেও ভগবান ব্রহ্মার আশির্বাদের ফলে কেউ তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি।
এরপর, দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্য প্রার্থী হন। মহিষাসুরকে বধ করার জন্য সমস্ত দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব তাঁদের সমস্ত শক্তি একত্রিত হয়ে সৃষ্টি করেন দেবী দুর্গার। প্রায় ১৫ দিন ধরে মহিষাসুরের সাথে দেবী দুর্গার লড়াই চলে। মহিষাসুর একের পর এক আলাদা আলাদা রুপ ধারণ করতে থাকে। অবশেষে, যখন মহিষের রূপান্তরিত হলেন, তখন দেবী দুর্গা ত্রিশুল দিয়ে তাঁর বুকের উপরে আঘাত করে হত্যা করেছিলেন।
মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মহিষাসুরকে দমনকারী। মহিষাসুর মহালয়ার দিন দেবী দুর্গার হাতে পরাস্ত ও নিহত হন। সেই থেকে দেবী দুর্গার নাম হয় 'মহিষাসুরমর্দিনী'।