Just In
- 29 min ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 16 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 17 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
- 17 hrs ago ওজন কমাতে চান? ট্রাই করুন গ্রীষ্মকালীন এই শাকসবজি
শারদ পূর্ণিমা সম্পর্কে কিছু তথ্য ও গুরুত্ব
কথায়
আছে
বাঁঙালির'বারো
মাসে
তেরো
পার্বণ।
দুর্গাপুজো
শেষ
হলেও
উৎসবের
আবহ
কিন্তু
এখনও
কাটেনি
বাঙালির
ঘরেঘরে।
তাই
বিজয়া
দশমি
পার
হতে
না
হতেই
এবার
মেতেছেন
শারদ
পূর্ণিমাতে।
অর্থাৎ
বাঙালির
কোজাগরী
লক্ষ্মীপুজোয়।
শারদ
পূর্ণিমা
তিথি
শাস্ত্র
মতে
কয়,
কোজাগরী
লক্ষ্মীপূজা
বিধিমতে
হয়।
শাস্ত্র
মতে
শারদ
পূর্ণিমা
তিথি
হলেও
আজ
বিধিমতে
কিন্তু
কোজাগরী
লক্ষ্মীপূজো।
ঘরে
ঘরে
আজ
পূজিত
হবেন
মা
লক্ষ্মী।
সকাল
থেকেই
দেশ
জুড়ে
লক্ষ্মীপুজোর
সাজ
সাজ
রব।ধন-সম্পত্তি,
সমৃদ্ধিকে
নিজের
হাতের
মুঠোয়
করতে
লক্ষ্মীর
আরাধনায়
ব্রত
হবেন
আপামর
দেশবাসী।
কিন্তু
কী
এই
শারদ
পূর্ণিমা?
কেন
এই
তিথিকে
শারদ
পূর্ণিমা
বলে
একবার
জেনে
নেওয়া
যাক।
বিজয়া দশমীর ঠিক পাঁচ দিন বাদে আসে শারদ পূর্ণিমা। জ্যোতিষশাস্ত্রবিদদের মতে, এই সময়ে চাঁদ নিজের তেজে উত্থিত হয়। পুরাণ অনুযায়ী, এই শারদ পূর্ণিমাতে রাধা ও তার গোপিনীদের সঙ্গে লীলাখেলায় মত্ত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ৷ আর চন্দ্রদেবতা আপ্লুত হয়েছিলেন এই লীলাখেলা দেখে এবং ছড়িয়ে দেন নিজের পুরো আলো৷ এই আলোতেই ঝকঝকে হয়ে ওঠে শ্রীকৃষ্ণের মুখমণ্ডল৷ শারদ পূর্ণিমাএতটাই ফলপ্রদ যে সাধারণ ক্ষীরও হয়ে ওঠে অমৃত সমান ৷ তাই এই পূর্ণিমাকে অমৃত পূর্ণিমাও বলা হয়।
বহু শাস্ত্রজ্ঞদের দাবি,এই সময়ে চন্দ্রের আরাধনায় একাধিক ব্যর্থতা কাটিয়ে তোলা যায়।অবিবাহিতদের বিয়ে থেকে অর্থকষ্ট সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে তোলার জন্য উপযুক্ত সময় এই তিথি। শাস্ত্রমতে, এই পূর্ণিমা খুবই শুভাশুভ ফলদায়ক। নবদম্পতিদের জন্য এই শারদ পূর্ণিমাকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে দেবীর জন্য ভোগ রান্না করা অত্যন্ত শুভফলদায়ী বলে মনে করেন অনেকে। খাওয়ার সময় পাতে যদি দুধ ও ভাত থাকে, তাহলে কোনও পিত্ত দোষ থাকলে তা কেটে যায়। জীবনে সমৃদ্ধি,ধনসম্পদ ও প্রেম ফিরে পেতে লক্ষ্মীর আরাধনার সাথে এই সময় শ্রীকৃষ্ণের পূজাও প্রয়োজনীয়।
শুভ সময়
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের শারদ পূর্ণিমা-কে কোজাগরী পূর্ণিমা বলা হয়। এবছর এই কোজাগরী পূর্ণিমার তারিখ ১৩ই অক্টোবর এবং শুভ সময় ১৩ই অক্টোবর অপরাহ্ন ১২টা ৩৬ থেকে ১৪ই অক্টোবর রাত ০২টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত।চন্দ্রোদয়ের সময় ১৩ ই অক্টোবর সন্ধে ০৫ টা ২৬ মিনিট।
তাৎপর্য
হিন্দু ধর্মে কোজাগরী পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।অনেকে বিশ্বাস করেন,মা লক্ষ্মী শারদ পূর্ণিমার দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই এই দিনে লক্ষ্মী রাতের আকাশে ঘোরাঘুরি করে বলেছিলেন- 'কো জাগ্রতি'। সংস্কৃত এই ভাষার বাংলা অর্থ 'কে জাগ্রত?'। কথিত আছে, অজকের এই দিনে যারা রাত জাগে, মা লক্ষ্মী তাদের উপহার দেন। এ কারণে, এই দিনে দেশের অনেক জায়গায় মা লক্ষ্মীর পূজা হয়, যা 'কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা' নামে পরিচিত। আজকের দিনে উপবাস করে মা-এর পূজো করলে সমস্ত দুঃখ দূর হয় এবং প্রতিটি বাড়িতে ফিরে আসে সুখ।
পুজোর পদ্ধতি
স্নান সেরে পরিষ্কার জামাকাপড় পরুন। তার পর মন্দির বা বাড়ির উপাসনাস্থল জল দিয়ে ভালো করে পরিস্কার করে নিন। তার পর শুদ্ধ মনে লক্ষ্মী পাঁচালি পাঠ করে, পিতল, রুপো, তামা বা সোনার তৈরি লক্ষ্মীর প্রতিমাটিকে পূজা করুন।প্রতিমার সামনে ঘি প্রদীপ জ্বালান।সন্ধ্যায় দুধ দিয়ে খির তৈরি করুন।এর পরে রাতে চাঁদ উঠলে ঘরে ১১ টি প্রদীপের ঘি জ্বালান। এবার খিরকে আকাশের নীচে চাঁদের আলোর রাখুন। মা লক্ষ্মীর আরতি করুন।রাত বারোটা বাজলে চাঁদের আলোতে রাখা খিরকে লক্ষ্মীর কাছে অর্পণ করে বাড়ির সমস্ত লোককে প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করুন।
শাস্ত্র মতে, যারা অর্থনৈতিক সমস্যায ভুগছেন ও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন, এই পূর্ণিমা তাঁদের জন্য অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক৷