Just In
- 2 hrs ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 4 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 6 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
Don't Miss
Shab-e-Barat 2022 : পবিত্র শবে বরাত আজ! ইসলামে কেন এই রাত এত পবিত্র? জেনে নিন
মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব শবে বরাত। সাধারণত এই উৎসব পবিত্র রমজান মাসের আগেই পড়ে। এদিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সারা রাত জেগে থাকে, রোজা রাখে এবং পরদিন ভোর পর্যন্ত পবিত্র কুরআন পাঠ করে। এই বছর ১৮ ও ১৯ মার্চ পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই উৎসবের অর্থ ও তাৎপর্য।
শবে বরাত শব্দের অর্থ ও তাৎপর্য
শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। শবে বরাত একটি ফার্সি শব্দ। ফার্সি ভাষায় 'শব' শব্দের অর্থ রাত, আর 'বরাত' শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে একে বলে 'লাইলাতুল বরাত', অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের অপরাধ ক্ষমা করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, শব-ই-বরাতের রাতে আল্লাহ সকলের পূর্ববর্তী ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে আগামী বছরের ভাগ্য লিখে রাখেন।
পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কোরান পাঠ করেন এবং আল্লাহর আরাধনায় মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন মুসলমানরা। অনেকে আবার এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
শবে বরাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও ভেসে আসে। শবে বরাত থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আরবি ক্যালেন্ডার অনুসারে, শাবান মাসের পরেই আসে পবিত্র রমজান মাস।
শবে বরাত উদযাপন
গোটা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে শবে বরাত উদযাপন করা হয়। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আজারবাইজান ও তুরস্ক-সহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় এবং উজবেকিস্তান, তাজাকিস্তান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কিরগিজস্তান-সহ মধ্য এশিয়ায় শবে বরাত পালিত হয়।
এই দিন নানা রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটি-সহ বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরির প্রচলন রয়েছে। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ করা হয়। এই দিনে মুসলমানরা মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। সন্ধ্যার পর অনেকে কবরস্থানে যান এবং প্রিয়জনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন তাঁরা। অনেকেই এদিন রোজা রাখেন এবং দরিদ্রদের অর্থ ও খাদ্য বিতরণ করা হয়।