Just In
- 18 hrs ago কেন ভারতীয়দের মধ্যে ওবেসিটির হার বাড়ছে, কী তথ্য উঠে এল গবেষণা থেকে, জানুন
- 20 hrs ago কবে পড়েছে ফাল্গুন পূর্ণিমা, আর্থিক সঙ্কট কেটে সুখের মুখ দেখবেন কোন রাশির ব্যক্তিরা?
- 1 day ago চাকরি থেকে ব্যবসায় সফলতা পেতে চাইছেন, হোলিকা দহনের দিন করুন এই প্রতিকারগুলি
- 1 day ago শনিদেবের কৃপা পান কারা, অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে পটু এই রাশির ব্যক্তিরা
Don't Miss
রুদ্রাক্ষ পুজোর উপকারিতা সম্পর্কে জানা না থাকলে এই লেখাটি পড়তে দেরি করবেন না যেন!
রুদ্রাক্ষের ক্ষমতা সম্পর্কে তো আমাদের সবারই জানা আছে। কিন্তু অনেকেই যেটা জানেন না, তা হল রুদ্রাক্ষ পুজো না করে যদি কোনও রুদ্রাক্ষ ধরণ করা হয়, তাহলে কিন্তু কোনও উপকারই মেলে না।
রুদ্রাক্ষের ক্ষমতা সম্পর্কে তো আমাদের সবারই জানা আছে। কিন্তু অনেকেই যেটা জানেন না, তা হল রুদ্রাক্ষ পুজো না করে যদি কোনও রুদ্রাক্ষ ধরণ করা হয়, তাহলে কিন্তু কোনও উপকারই মেলে না। তাই তো বোল্ডস্কাই-এর পাঠ বন্ধুদের জানাতে এই প্রবন্ধে রুদ্রাক্ষ পুজোর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
শাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের পুজো করার পর তা এতটাই ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে যে সেটি ধারণ করা মাত্র নানাবিধ শারীরিক, মানসিক এবং আরও অন্যান্য একাধিক উপকার মিলতে শুরু করে। তাই এখন প্রশ্ন উঠে বাধ্য যে রুদ্রাক্ষের পুজো করার সময় কী কী নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন?
রুদ্রাক্ষের
প্রাণ
প্রতিষ্টা
পুজোর
বিধি:
এক্ষেত্রে
যে
যে
নিয়মগুলি
মেনে
চলতে
হবে,
সেগুলি
হল-
প্রথমে
ঠাকুর
ঘরে
প্রবেশ
করে
পূর্ব
বা
উত্তর-পূর্ব
দিকে
মুখে
করে
বসতে
হবে।
তারপর
কাঁচা
দুধ,
গঙ্গা
জল
এবং
চন্দনের
পেস্ট
দিয়ে
ভাল
করে
রুদ্রাক্ষটি
পরিষ্কার
করে
নিতে
হবে।
এবার
পুজো
শুরুর
পালা।
তবে
তার
আগে
রুদ্রাক্ষটি
পরিষ্কার
করার
পর
সেটি
শিব
ঠাকুরের
ছবি
বা
মূর্তির
সামনে
রাখতে
হবে।
কারণ
এমনটা
বিশ্বাস
করা
হয়
যে
দেবাদিদেবের
চোখের
জল
থেকেই
নাকি
রুদ্রাক্ষের
জন্ম
হয়েছিল।
তাই
তো
সেটির
পুজো
করতে
হবে
শিব
ঠাকুরের
সামনেই।
প্রসঙ্গত,
এক্ষেত্রে
আরেকটা
জিনিস
মাথায়
রাখা
একান্ত
প্রয়োজন।
তা
হল,
রুদ্রাক্ষটি
রাখতে
হবে
পরিষ্কার
একটি
কাপড়ের
উপরে।
তারপর
জল,
দই,
দুধ,
মধু
এবং
ঘিয়ের
সাহায্যে
শিব
ঠাকুরের
মূর্তি
এবং
রুদ্রাক্ষটি
ভাল
করে
স্নান
করাতে
হবে।
এরপর
ধুপ-ধূনো
জ্বেলে
পাঠ
করতে
হবে
"ওম
নম
শিবায়"
মন্ত্রটি।
আর
সব
শেষে
রুদ্রাক্ষের
প্রকৃতি
অনুসারে
মন্ত্র
জপ
করে
শেষ
করতে
হবে
পুজো।
রুদ্রাক্ষ
মন্ত্র:
একথা
নিশ্চয়
জানা
আছে
যে
রুদ্রাক্ষ
মূলত
১৪
ধরনের
হয়ে
থাকে।
তাই
তো
যে
ধরনের
রুদ্রাক্ষের
পুজো
করছেন
সেই
মতো
মন্ত্র
জপ
না
করলে
কিন্তু
রুদ্রাক্ষের
শরীরে
প্রাণ
সঞ্চার
হবে
না।
আর
এমনটা
না
হলে
কোনও
উপকারই
যে
মিলবে
না,
তা
আর
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না!
তাই
কোন
ধরনের
রুদ্রাক্ষের
জন্য
কেমন
মন্ত্র
জপ
করা
উটিত
সে
সম্পর্কে
জেনে
নেওয়াটা
একান্ত
প্রয়োজন...
১. এক মুখি রুদ্রাক্ষের পুজো করার সময় জপ করতে হবে "ওম হ্রিম নমহ" মন্ত্রটি।
২. দু-মুখি রুদ্রাক্ষের শরীরে প্রাণ প্রতিষ্টা করতে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে সেটি হল- "ওম নমহ"।
৩. তিন মুখি রুদ্রাক্ষের পুজো করার সময় পাঠ করতে হবে "ওম ক্লিম নমহ" মন্ত্রটি।
৪. চার মুখি রুদ্রাক্ষের পুজো করার সময় জপ করতে হবে "ওম হ্রিম নমহ" মন্ত্রটি।
৫. পঞ্চমুখি রুদ্রাক্ষের শরীরে প্রাণ প্রতিষ্টার সময় যে মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি সেটি হল- "ওম হ্রিম নমহ"।
৬. ছয় মুখি রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে চান? তাহলে যে মন্ত্রটি পাঠ করে এই বিশেষ রুদ্রাক্ষটির পুজো করতে হবে সেটি হল-"ওম হ্রিম হ্রোম নমহ"।
৭. সাত মুখি রুদ্রাক্ষের পুজো করার সময় পাঠ করতে হবে "ওম হ্রোম নমহ" মন্ত্রটি।
৮. আঠ মুখি রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হলে "ওম হ্রোম নমহ", এই মন্ত্রটি জপ করে প্রথমে রুদ্রাক্ষটির পুজো করে নিতে হবে।
৯. নয় মুখি রুদ্রাক্ষের শরীরে যদি প্রাণ প্রতিষ্টা করতে হয়, তাহলে জপ করতে হবে "ওম হ্রিম হ্রোম নমহ" মন্ত্রটি।
১০. দশ মুখি রুদ্রাক্ষের শরীরে শক্তির জন্ম দিতে হলে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল- "ওম হ্রিম নমহ"।
১১. এগারো মুখি রুদ্রাক্ষের পুজো করতে হলে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেটি হল- "ওম হ্রিম হ্রোম নমহ"।
১২. বারো মুখি রুদ্রাক্ষের পুজো করতে হলে যে মন্ত্রটি জপ করতে হবে, সেটি হল- "ওম ক্রম ক্রসমরউম নমহ"।
১৩. তেরো মুখি রুদ্রাক্ষের শরীরে প্রাণ প্রতিষ্টা করতে হলে পাঠ করতে হবে "ওম হ্রিম নমহ" মন্ত্রটি।
১৪. চোদ্দ মুখি রুপদ্রাক্ষের পুজো করার সময় পাঠ করতে হবে "ওম নমহ" মন্ত্রটি।
প্রসঙ্গত, রুদ্রাক্ষের পুজো করার পর যদি এটি ধারণ করা যায়, তাহলে যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়। সেগুলি হল...
১. কালা যাদু ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:
আমাদের আশেপাশে ইর্ষান্বিত লোকজনের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। তাই তো তাদের কুদৃষ্টি হাত থেকে বাঁচতে প্রত্যেকেরই রুদ্রাক্ষের মালা পরাটা জরুরি। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি যে কোনও ধরনের নেগেটিভ এনার্জিকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কালা যাদুর প্রভাবকেও কমায়। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
২. টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রুদ্রাক্ষ পরা মাত্র দেবাদিদেব এবং হনুমানজি এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁদের আশীর্বাদে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের ঝামেলা মিটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ধর-দেনার খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসাও সম্ভব হয়।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রুদ্রাক্ষ শরীরের সংস্পর্শে এলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, পরিবারে যদি এই মারণ রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে একবার বিশ্বাস করে এই উপাদানটিকে সঙ্গে রাখুন। এমনটা করলে উপকার যে পাবেই পাবেন, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!
৪. যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমে যায়:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন শরীরে যে কোনও অংশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যন্ত্রণা কমাতে রুদ্রাক্ষের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, যে কোনও ধরনের পোকা মাকড় কামড়ানোর পর ক্ষতস্থানে পাঁচ মুখি রুদ্রাক্ষের পেস্ট বানিয়ে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান আমাদের দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন করে যে কোনও ধরনের দৈহিক কষ্ট কমতে সময় লাগে না। এবার বুঝেছেন তো মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে রুদ্রাক্ষের প্রয়োজন কতটা!
৫. কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে:
বেশ কিছু প্রাচীন গ্রন্থ ঘেঁটে জানা গেছে রুদ্রাক্ষের মালা পরলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বাড়ে যায় যে পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। শুধু তাই নয়, শরীরের অন্দরের ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগভোগের সম্ভাবনাও দূর হয়। এই কারণেই তো সাধুরা সারাক্ষণ রুদ্রাক্ষের মালা পরে থাকেন। কারণ তাদের তো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেরাতে হয়। তাই শরীর খারাপ হলে কে দেখবে বলুন!
৬. হার্টে ক্ষমতা বাড়ে:
রুদ্রাক্ষ হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই বিশেষ ধরনের রুদ্রাক্ষটি ধারণ করা মাত্র সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে হার্ট চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের যুব সমাজদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক এবং নানাবিধ হার্টের রোগের প্রকোপ এত মাত্রায় বৃদ্ধি পয়েছে যে প্রতি জনেরই যে আজ রুদ্রাক্ষ পরার প্রয়োজন রয়েছে, সে বিষয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!
৭. থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মতো কাজ করতে শুরু করে দেয়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! রুদ্রাক্ষ পরা মাত্র বাস্তবিকই থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে নানাবিধ হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে থাকে। ফলে হরমোনাল ইমব্যালেন্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৮. ত্বকের রোগের প্রকোপ কমায়:
একেবারে ঠিক শুনেছেন। একাধিক ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে রুদ্রাক্ষের কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের ক্ষত সারাতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে রুদ্রাক্ষের মালা পরতে হবে না, বরং একটা তামার গ্লাসে একটা রুদ্রাক্ষ সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। আর পরদিন সকালে উঠে খালি পেটে সেই জলটি পান করতে হবে। তাহলেই কেল্লা ফতে!
৯. অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেস লেভেল কমে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রুদ্রাক্ষ পরলে ব্রেন পাওয়ার তো বাড়েই, সেই সঙ্গে দেবাদিদেব এবং হনুমানজির আশীর্বাদে চারিপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মনের ছোট-বড় সব ইচ্ছা পূরণের পথও প্রশস্ত হয়। ফলে দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল কমতেও সময় লাগে না।
১০. মনের মতো চাকরি মেলে:
কি বন্ধু হাজারো চেষ্টা করেও কি মনের মতো চাকরি মিলছে না? তাহলে কিন্তু রুদ্রাক্ষ পরা মাস্ট! কারণ এমনটা করলে নাকি খারাপ সময় কেটে যেতে সময় লাগে না। ফলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে চরম অর্থনৈতিক উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও বাড়ে। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এমন রুদ্রাক্ষ যদি ছাত্র-ছাত্রীদের পরানো যায়, তাহলে মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে পড়াশোনায় উন্নতি লাভ করতে সময় লাগে না।