Just In
বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে কত ভাল ভাল ঘটনা ঘটে জানেন?
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে অপূর্ব সুন্দর এই পালকটি গৃহস্থের সৌন্দর্যতা তো বাড়ায়, সেই সঙ্গে বাস্তু দোষ কাটানোর মধ্যে দিয়ে নেগেটিভ শক্তিকে এমন দূরে ঠেলে দেয় যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে
সবাই বলে এই পৃথিবীতে মানুষ নাকি সবথেকে শক্তিশালী প্রাণী। ধরণাটা যে বেজায় ভুল, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! কারণ প্রকৃতির শক্তিকে মানুষ এখনও বুঝেই উঠতে পারেনি। তাই তো আমরা বোকারা নিজেদের সর্বশক্তিমান ভেবে থাকি। মজাটা দেখুন যে মানুষ নিজের পায়ের তলায় সারা দুনিয়াকে রাখতে চায়, তারই জীবনে খুশির আগমণ ঘটায় ময়ূরের মতো নরম-সরম একটি পাখির পালক।
একেবারে ঠিক শুনেছেন! বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে অপূর্ব সুন্দর এই পালকটি গৃহস্থের সৌন্দর্যতা তো বাড়ায়, সেই সঙ্গে বাস্তু দোষ কাটানোর মধ্যে দিয়ে নেগেটিভ শক্তিকে এমন দূরে ঠেলে দেয় যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। তবে ভাববেন না এখানেই শেষ! বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
১. পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে:
বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা দাবী করা হয়েছে যে গৃহস্তের অন্দরে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে নেগেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে একের পর খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয় চোখে পরার মতো। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল, কারও বাড়িতে বাস্তু দোষ রয়েছে কিনা তা বুঝে ওঠার কোনও উপায় নেই। তাই তো বলি বন্ধু নানাবিধ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে আটটি ময়ূরের পালক কিনে এনে একসঙ্গে বেঁধে বাড়ির কোনও একটা জায়গায় রেখে দিন। সেই সঙ্গে "ওম সমায়া নমহঃ". এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করুন। দেখবেন বাস্তু দোষ তো কাটবেই, সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যাবে যে একের পর এক ভাল খবর আসতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটবে চোখে পরার মতো।
২. শনির দোষ কাটে:
একথা তো সাবারই জানা আছে যে শনি দেবের বক্র দৃষ্টি যদি কারও উপর পরে তাহলেই কেলো! কারণ এমনটা হলে একের পর এক খারাপ ঘঠনা ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এমন সব পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয় যে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, শনির প্রকোপ থেকে যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে বাড়িতে তিনটি ময়ূরের পালক কিনে এনে সেগুলিকে একটি কালো সুতো দিয়ে বেঁধে ঠাকুর ঘরে রাখুন। সেই সঙ্গে প্রতি শনিবার, সকাল সকাল স্নান সেরে "ওম শনিশ্বরায়া নমহঃ", এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করুন। দেখবেন আপনার কুষ্টিতে শনি দেবের আগমণ কখনও ঘটবে না।
৩. অল্প দিনে বড়লোক হতে:
সারাক্ষণ যদি অনেকে অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন, তাহলে যেখানে টাকা রাখেন, সেখানে একটি ময়ূরের পালক এনে রাখুন। দেখবেন অল্প দিনেই অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভ করার সম্ভাবনাও যাবে বেড়ে।
৪. নাচতে থাকা ময়ূর:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ড্রয়িং রুমে যদি নাচতে থাকা ময়ূরের ছবি রাখা যায়, তাহলে বাড়িতে শুভ শক্তির আগমণ ঘটে। সেই সঙ্গে কু-দৃষ্টির প্রভাবে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তিতে যদি সারা জীবনটা কাটাতে চান, তাহলে এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
৫. সদর দরজায় ময়ূরের পালক:
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়ির মূল ফটকে যদি একটি ময়ূরের পালক বেঁধে রাখা যায়, তাহলে খারাপ শক্তির প্রবেশ আটকে যায়। আর এমনটা হলে কী কী উপকার পাওয়া যায় তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
৬. কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করতে:
কর্মজীবনে চুরান্ত সফলতা লাভ করতে চান নাকি? তাহলে বন্ধু অফিস ডেস্কে একটি ময়ূরের পালক রাখতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই পালকটি প্রচুর মাত্রায় পজেটিভ শক্তিকে আকৃষ্ট করে। ফলে তার প্রভাবে কর্মজীবনে চুরান্ত সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
৭. রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখে:
শুনতে আজব লাগলেও এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে বাড়িতে ময়ূরের পালক এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রোগ-ব্যাধি সব দূরে পালায়। ফলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।