Just In
প্রতি বুধবার ১০৮ বার গণেশ বীজ মন্ত্র পাঠ করলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানা আছে?
শাস্ত্র বলে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র বাপ্পা জাগ্রত হয়ে ওঠেন। আর যে গৃহস্থে স্বয়ং সিদ্ধিবিনায়ক নিজ আসন পাতেন, সেখানে দুঃখের যে প্রবেশ নিষেধ হয়ে যায়।
শাস্ত্র বলে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র বাপ্পা জাগ্রত হয়ে ওঠেন। আর যে গৃহস্থে স্বয়ং সিদ্ধিবিনায়ক নিজ আসন পাতেন, সেখানে দুঃখের যে প্রবেশ নিষেধ হয়ে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। শুধু তাই নয়, প্রতি বুধবার এই মন্ত্রটি পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি বাপ্পার অরাধনা করা যায়, তাহলে আরও একাধিক উপকার মেলে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
"ওম গাম গণপাতায়ে নমহ", এই মন্ত্রটিকেই গণেশ বীজ মন্ত্র বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্র নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের মতে এই মন্ত্রটির অন্দরে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তি মজুত রয়েছে যে পাঠ করা মাত্র গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কাটতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে...
১. যে কোনও সমস্যা মিটে যায়:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি বুধবার এই গণেশ মন্ত্রটি জপ করতে করতে দেবের অরাধনা করলে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধা সরে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি যে কোনও সমস্যাও মিটে যায় চোখের পলকে। ফলে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে জীবনে। তাই তো বলি বন্ধু, সুখ-শান্তিতে যদি থাকতে চান, তাহলে এই শক্তিশালী গণেশ মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
২. বৈবাহিক জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে:
এই মন্ত্রটি পাঠ করলে যে কোনও বাঁধা সরে যায়, সেই বাঁধা সম্পর্কের হতে পারে, হতে পারে অন্য কিছুরও। তাই তো বলি বন্ধু, ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে যদি আনন্দে থাকতে চান, তাহলে প্রতি বুধবার গণেশ বীজ মন্ত্রটি কম করে ১০৮ বার পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
৩. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে শ্রী গণেশ হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো তাঁকে যদি একবার প্রসন্ন করতে পারেন, তাহলে মনের যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না। তাই তো নিয়মিত এই মন্ত্রটি পাঠ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে প্রতিদিন যদি ১০৮ বার পাঠ করতে পারেন, তাহলে অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না।
৪. রোগ-ব্যাধির হাত থেকে মুক্তি মেলে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়িমিত শক্তিশালী এই গণেশ মন্ত্রটি জপ করলে শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় সব রোগ দূরে পালায়। ফলে রোগমুক্ত শরীরের অধিকারি হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়। প্রসঙ্গত, আপনি যদি নানা ধরনের রোগে ভুগে তাকেন, তাহলে আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৫. ভয় দূর হয়:
শাস্ত্র মতে সকাল এবং বিকালে ১০৮ বার যদি এই গণেশ মন্ত্রটি পাঠ করা হয়, তাহলে ভয় কমতে থাকে। আর মন একবার ভয়মুক্ত হলে আনন্দের সন্ধান পেতে দেরি লাগে না। প্রসঙ্গত, খেয়াল করে দেখবেন আমরা সবাই মোটামোটি যে বিষয়গুলি নিয়ে ভয়ে থাকি, তার অর্ধেক ঘটনাও বাস্তবে ঘটেই না। তাই তো "ভয়" কে আসলে মস্তিকের গুগলি বলা হয়ে থাকে। আর এই গুগগিল কারণ যদি আউট হতে না চান, তাহলে এই গণেশ মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
৬. গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে:
"লাক", মাত্র দুটো অক্ষর। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এর প্রভাব কতটা, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে বোঝাতে হবে না। তাই তো বলি বন্ধু, গুডলাককে যদি নিজের সঙ্গী বানাতে হয়, তাহলে প্রতি বুধবার এই শক্তিশালী মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে গৃহস্তের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে গুড লাক সঙ্গ নিতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন জীবনের ছবিটা যে নিমেষে বদলে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৭. মনের মতো চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়:
মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও মনের মতো চাকরি পাচ্ছেন না? কোনও চিন্তা নেই! আজ থেকেই নিয়মিত এই গণেশ মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুবন। দেখবেন আগামী কেয়েক দিনের মধ্যেই মনের মতো চাকরি পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, মনের মতো চাকরির পাশপাশি মোটা মাইনেও হবে। কারণ গণেশ দেব হলেন সমৃদ্ধির দেবতা। তাই তো তিনি একবার খুশি হয়ে গেলে যে কোনও বাঁধা সরে যেতেই সময় লাগে না।
৮. খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না:
শাস্ত্রে এই গণেশ মন্ত্রকে "সিদ্ধি মন্ত্র" হলা হয়ে থাকে। কারণ এক মনে যদি এই মন্ত্র জপ করা যায়, তাহলে আশেপাশে এত মাত্রায় শুভ শক্তির প্রভাব বাড়ে যে যে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে কালো যাদুর খপ্পর থেকেও নিস্তার পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা আমাদের উন্নতিতে খুশি হন না। তাই সারাক্ষণ নানা ধরনের ক্ষতি করার চেষ্টায় লেগে থাকেন। এমন খারাপ লোকেদের কু-দৃষ্টির থেকে বাঁচাতে পারে এই মন্ত্রটি।
৯. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলার স্বাদ মেলে:
হাজারো চেষ্টা করেও বসের মন জয় করতে পারছেন না? তাই কম পরিশ্রম করেও অনেকে আপনাকে লেঙ্গি মেরে এগিয়ে যাচ্ছে? ফিকার নট! আজকের দিনে স্নান সরে এই মন্ত্রটি জপ করা শুরু করুন। দেখবেন অফিসে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা কোনও সমস্যাই আপনার বিজয় রথকে আটকাতে পারবে না। ফলে পদন্নতি তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে প্রতিটি পদে সফলতার স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
১০. যে কোনও কাজে সফলতা মেলে:
শাস্ত্র মতে যে কোনও নতুন কিছু শুরু করার আগে, এই যেমন ধরুন নতুন কাজ, নতুন চাকরি বা পরীক্ষার আগে যদি এই মন্ত্রটি এক মনে পাঠ করা যায়, তাহলে সেই কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আসলে এই মন্ত্রটি যে কোনও বাঁধাকে সরিয়ে ফেলে। ফলে জীবনের পথ খুব সহজ হয়ে যায়।
১১. হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি ফিরে আসে:
খেয়াল করে দেখবেন প্রতিদিন কখনও অফিসের কারণে তো কখনও পারিবারিক কোনও ঘটনার জেরে মন এতটাই খারাপ থাকে যে কিছুই ভাল লাগে না। এমনটা প্রায় সবার সঙ্গেই ঘটে থাকে। কিন্তু আপনি যদি চান, তাহলে কিন্তু অপার শান্তির খোঁজ পেতে পারেন। কীভাবে এমনটা সম্ভভ? পুরান অনুসারে নিয়মিত দেবেকে সিঁদুর নিবেদন করে শঙ্খ বাজিয়ে পুজো করুন, সঙ্গে এই শক্তিশালী মন্ত্রটি পাঠ করলেই দেখবেন ভগবান গণেশ এতটাই প্রসন্ন হবেন যে বাড়িতে শুভ শক্তির আগমণ ঘটবে। আর এমনটা হলে গৃহস্থে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগবে না। ফলে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তিও ফিরে আসবে। শুধু তাই নয়, কমবে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদও।
মন্ত্র পাঠের নিয়ম:
গণেশ বীজ মন্ত্রটি কম করে ১০৮ বার পাঠ করতে হবে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, যে কোনও পুজো শুরুর আগে যদি এই মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে নাকি বেশি মাত্রায় উপকার মেলে। তবে সেই সুযোগ যদি না পান, তাহলে প্রতি বুধবার বাপ্পার ছবি বা মূর্তির সামনে বসে পাঠ করবেন, তাহলেও দেখবেন সুফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে। প্রসঙ্গত, গমেশ মন্ত্রটি পাঠ করার আগে স্নান সেরে নিতে ভুলবেন না! তারপর পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে দেবের সামনে বসে এক মনে জপ করতে হবে এই মন্ত্রটি। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!