Just In
- 8 hrs ago পেটের মেদ কমাতে চান? দ্রুত চর্বি পোড়াতে এই বসার ভঙ্গি ব্যবহার করে দেখুন, ওজন কমবে
- 10 hrs ago মাছির উপদ্রবে নাজেহাল? জ্বালাতন থেকে বাঁচতে ঘরোয়া টোটকা
- 11 hrs ago দোল পূর্ণিমার পরই ভাগ্যবান ৩ রাশি, হুহু করে আসবে টাকা, ভাগ্য ফিরছে কাদের?
- 14 hrs ago পোস্ট হোলি চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে? এক নজরে রইল বিশেষ টিপস
প্রতি বুধবার গনেশ গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে জানা আছে?
শাস্ত্র বলে বুধবার হল বাপ্পার দিন। এদিন ফুল-মোদক দিয়ে দেবের পুজো করলে নানা উপকার পাওয়া যায়। আর যদি সর্বশক্তিমানের আরাধনা করার সময় গনেশ গয়েত্রী মন্ত্র জপ করকে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!
শাস্ত্র বলে বুধবার হল বাপ্পার দিন। এদিন ফুল-মোদক দিয়ে দেবের পুজো করলে নানা উপকার পাওয়া যায়। আর যদি সর্বশক্তিমানের আরাধনা করার সময় গনেশ গয়েত্রী মন্ত্র জপ করকে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে প্রতি বুধবার সাকাল সকাল স্নান সেরে গনেশ ঠাকুরের সামনে বসে যদি এই মন্ত্রটি জপ করা যায়, তাহলে দারুন সব উপকার মিলতে শুরু করে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
"আম একাদান্তিয়াভিদমাহে, বাক্রাতুন্ডা ধিমাহি, তানো দান্তিপ্রাচোদায়াৎ", হিন্দু শাস্ত্রে এই মন্ত্রটিকেই গনেশ গায়েত্রী মন্ত্র বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এই মন্ত্রটি পাঠ করার আগে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। কারণ যথাযথ নিয়ম না মেনে যদি এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করা হয়, তাহলে কিন্তু কোনও ফলই মেলে না। উল্টে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এক্ষেত্রে সাধারণত যে যে বিষযগুলি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, সেগুলি হল- গনেশ দেবের পুজো শুরু করার আগে ভাল করে ঠাকুর ঘর পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর চারিদিকে গঙ্গা জল ছড়িয়ে, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে বসতে হবে পুজোয়। তারপর দেবের সামনে মোদক, তাঁর প্রিয় যে কোনও লাল ফুল এবং ধুপ-ধুনো রেখে এক মনে শুরু করতে হবে মন্ত্রচ্চারণ। আর সবশেষে গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তিতে সিঁদুর লাগিয়ে শেষ করতে হবে আরাধনা।
এখন প্রশ্ন হল এই নিয়মগুলি মেনে প্রতি বুধবার এই মন্ত্রটি পাঠ করলে কী কী উপকার মিলতে পারে?
১. পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে:
সুখে-শান্তিতে থাকতে কে না চায় বলুন! তাই তো বলি বন্ধু এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন পরিবারে কোনও দিন কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র গৃহস্তের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র একদিকে যেমন কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমে, তেমনি পরিবারে অফুরন্ত সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। তাই তো বলি বন্ধু পরিবারের সকলকে নিয়ে যদি সুখে-শান্তিতে থাকতে হয়, তাহলে এই মন্ত্রটির শক্তিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
২. কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথ প্রশশ্ত হয়:
শুনতে আজব লাগলেও এই কথা সত্যি যে গনেশ দেব একবার প্রসন্ন হলে কর্মক্ষেত্রে তার প্রভাব পরতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন চোখের নিমেষ একের পর এক সফলতার দরজা খুলতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। শুধু কী তাই, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিপক্ষদের নিকেশ করতেও এই মন্ত্রটি দারুন কাজে আসে। ফলে পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি কর্মজীবনেও অফুরন্ত মানসিক শান্তির সন্ধান মেলে। আর যে মানুষের পরিবারিক এবং কর্মজীবন সুখে কাটে, তার আর কী চাই বলুন!
৩. বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! শাস্ত্র মতে গণেশ দেব হলেন সমৃদ্ধির দেবতা, তাই তো তাঁকে একবার প্রসন্ন করতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। শুধু কী তাই, জীবনে কখনও কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, অল্প সময়ে যদি অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরিয়ে তুলতে চান, তাহলে প্রতি বুধবার দেবের সামনে বসে গনেশ গয়েত্রী মন্ত্র পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!
৪. যে কোনও কাজে সফলতা আসে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নতুন কোনও কাজ শুরু করার আগে যদি এক মনে গনেশ গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করা হয়, তাহলে সেই কাজে সফলতা আসার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। বিশেষত যাদের নিজের ব্যবসা রয়েছে, তারা যদি এই নিয়মটি মেনে চলতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবনে কখনও পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন পরবে না।
৫. রোগ-ব্যাধি দূরে পালাবে:
গনেশ গয়েত্রী মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে নিয়মিত যদি এই মন্ত্রটি পাঠ করা যায়, তাহলে দেহের অন্দরে পজেটিভ শক্তির বিকাশ এত মাত্রায় ঘটতে থাকে যে শরীর এবং মনের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে জায়গা করে নেওয়া ছোট-বড় নানা রোগও দূরে পালাতে শুরু করে। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।
৬. যে কোনও সমস্যা মিটে যেতে শুরু করে:
কথায় বলে জীবন থাকলে সমস্যা তো থাকবেই! ঠিক, একেবারে ঠিক বলেছেন! কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা সেই সব সমস্যাকে চটজলদি হিমঘরে পাঠানোরও যে উপায় রয়েছে, সে বিষয়ে কি জানা আছে? কী সেই উপায়? হিন্দু শাস্ত্র মতে নিয়মিত গনেশ গেয়েত্রী মন্ত্র পাঠ করতে করতে যদি দেবের অরাধনা করা যায়, তাহলে যে কোনও ধরনের সমস্যা কমতে সময় লাগে না।