Just In
- 1 hr ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 3 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 4 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 21 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
Pitru Paksha: পিতৃপক্ষের সময় এই সহজ বিধি মেনে বাড়িতেই করুন শ্রাদ্ধ কর্ম!
হিন্দু শাস্ত্রে যতগুলি পক্ষ রয়েছে তার মধ্যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হল পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। হিন্দুধর্ম মতে, পিতৃপক্ষ হল পূর্বপূরুষের তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। পিতৃপক্ষের সময় স্বর্গত পূর্বপুরুষদের সন্তুষ্ট করার জন্য তর্পণ এবং পিন্ড দান বা শ্রাদ্ধের মতো আচার অনুষ্ঠান করা হয়। তাদেরকে তৃপ্ত করার জন্য তিল, জল দান করা হয় এবং তাহাদের যাত্রাপথকে আলোকিত করার জন্য উল্কাদান করা হয়। এইসময় পূর্বপুরুষদের কাছে তাদের আশীর্বাদ প্রার্থনাও করা হয়।
প্রতি বছর পিতৃপক্ষের সময় হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন, গঙ্গায় গিয়ে তর্পণ করেন, তবে এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে হয়তো তীর্থস্থান, গঙ্গায় দিয়ে তর্পণ ও পূজা করা সম্ভব নয়। তাই, আপনি এই বিধি মেনে বাড়িতেই শ্রাদ্ধ কর্ম করতে পারেন।
শ্রাদ্ধ পূজা বিধি
১) ব্যক্তিকে ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শুদ্ধ হতে হবে। এরপরে, দেব স্থান এবং পৈতৃক স্থানে গোবর লেপন করুন এবং গঙ্গার জল ছিটিয়ে পুরো বাড়ি পবিত্র করুন।
২) শ্রাদ্ধ ও তর্পণ, এই সমস্ত কাজ সূর্যোদয় থেকে দুপুর বারোটার মধ্যে করে নেওয়া উচিত।
৩) বাড়ির মহিলাদের শুদ্ধ হয়ে পূর্বপুরুষদের জন্য খুশি মনে খাবার প্রস্তুত করা উচিত।
৪) ব্রাহ্মণরা ঘরে এলে তাঁদের পা ধুয়ে দিন। তারপর পূর্বপুরুষদের জন্য পূজা এবং তর্পণ করুন।
৫) তবে, পিণ্ডদান বা তর্পণের জন্য একজন যোগ্য পুরোহিতকেই আমন্ত্রণ করুন। তাঁর নির্দেশিকা এবং মন্ত্র দিয়েই শ্রদ্ধার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করুন।
৬) একটি তামার পাত্রে কালো তিল, কাঁচা গরুর দুধ, গঙ্গাজল এবং জল ঢালুন। এরপর সেই জলটি দু'হাতে নিয়ে সোজা হাতের অঙ্গুষ্ঠ দিয়ে সরাসরি সেই পাত্রেই ফেলে দিন। এইভাবে ১১ বার করার সময় পূর্বপুরুষদের ধ্যান করুন।
৭) পূর্বপুরুষদের জন্য আগুনে গরুর দুধ, দই, ঘি এবং ক্ষীর অর্পণ করুন।
৮) ব্রাহ্মণ ভোজনের আগে পঞ্চবলি অর্থাৎ গরু, কুকুর, কাক, দেবতা এবং পিঁপড়ের জন্য ভোজন সামগ্রী পাতায় দিয়ে দিন।
৯) দক্ষিণ দিকে মুখ করে তিল এবং জল নিয়ে অঙ্গীকার করুন। এরপরে, এক বা তিনজন ব্রাহ্মণকে ভোজন করান।
১০) ভোজনের পর দক্ষিণা ওবং অন্যান্য সামগ্রী দান করুন। এই দিনে ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রদের দান দেওয়া উচিত।
১১) গাভী, জমি, তিল, স্বর্ণ, ঘি, বস্ত্র, শস্য, গুড়, রৌপ্য এবং লবণ দান করা উচিত।
শ্রাদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলি
জীবিত ব্যক্তির পিতা বা পিতামহ যে তিথিতে মারা যান, পিতৃপক্ষের সেই তিথিতে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। পূর্ববর্তী বছরে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ হয় চতুর্থী (চৌথা ভরণী) বা পঞ্চমী (ভরণী পঞ্চমী) তিথিতে। সধবা নারীর মৃত্যু হলে, তাঁর শ্রাদ্ধ হয় নবমী তিথিতে। শিশু বা সন্ন্যাসীর শ্রাদ্ধ হয় চতুর্দশী (ঘট চতুর্দশী) তিথিতে। অস্ত্রাঘাতে বা অপঘাতে মৃত ব্যক্তিদেরও শ্রাদ্ধ হয় এই তিথিতেই।
সর্ব পিতৃ অমাবস্যা দিবসে তিথির নিয়মের বাইরে সকল পূর্বপুরুষেরই শ্রাদ্ধ করা হয়। যাঁরা নির্দিষ্ট দিনে শ্রাদ্ধ করতে ভুলে যান, তারা এই দিন শ্রাদ্ধ করতে পারেন। এই দিন গয়ায় শ্রাদ্ধ করলে তা বিশেষ ফলপ্রসূ হয়।