Just In
- 9 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 10 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 12 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 15 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
ভগবান গণেশকে প্রতিদিন সিঁদুর পড়ানো উচিত কেন জানেন?
প্রতিদিন সকাল সকাল স্নান সেরে দেবকে সিঁদুর নিবেদন করে যদি পুজো করা যায়, তাহলে মেলে আরও অনেক ফল, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
যুগ যুগ ধরে গণেশ ঠাকুর অনেকেই খুব প্রিয় দেবতা। কেন হবে নাই বা বলুন শাস্ত্র মতে এই দেবের নিয়মিত আরাধনা করলে যে কোনও ধরনের বাঁধা সরে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হয়। এখানেই শেষ নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সকাল সকাল স্নান সেরে দেবকে সিঁদুর নিবেদন করে যদি পুজো করা যায়, তাহলে মেলে আরও অনেক ফল, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
খেয়াল করে পুজো হোক বিবাহ, যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে সব সময় শ্রী গণেশের পুজো করা হয় থাকে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গণেশ ঠাকুর তার ভক্তদের কখনও নিরাশ করেন না। কারণ তিনি সদা তৈরি থাকেন ভক্তদের সাহায্য করার জন্য। শুধু তাই নয়, যে কোনও ভাল কাজ শুরু করার আগে যদি গণেশ ঠাকুরের পুজো করা হয়, তাহলে সেই কাজ নির্বিগ্নে সম্পন্ন হয়।
দাঁড়ান দাঁড়ান এখানেই শেষ নয়, প্রাচীন কালে লেখা বেশ কিছু পুঁথি ঘেঁটে এক আজব তথ্য সামনে এসেছে। কী তথ্য়? আদি কালে এমনটা বিশ্বাস করা হত যে গণেশ ঠাকুরের পুজো করার সময় যদি তাঁর কপালে সিঁদুর ছোয়ানো হয়, তাহলে মেলে আরও অনেক উপকার। কেমন উপকার? যেমন ধরুন...
১. রোগ-ব্যাধি দূরে পালায়:
শাস্ত্র মতে হোলির পরের দিন গণেশ ঠাকুরের কপালে যদি সিঁদুর লাগান, তাহলে দেবের আশীর্বাদে গৃহস্থের অন্দরে এত মাত্রায় পজেটিভ শক্তির বিকাশ ঘটে যে শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় নানা রোগ ব্যাধি দূরে পালায়। সেই সঙ্গে পরিবারের হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তিও ফিরে আসে।
২. অর্থনৈতির সমৃদ্ধির আসে চোখের পলকে:
অনেকের মতো আপনিও নিশ্চয় বড়লোক হতে চান? কিন্তু কীভাবে হবেন, তা জানেন কি? কোনও উত্তর নেই তো! তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই স্বপ্ন যদি পূরণ করতে হয় সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে হলুদ রঙের জামা পরে গণেশ ঠাকুরের সামনে একটা প্রাদীপ জ্বালাতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর কপালে সিঁদুর লাগিয়ে "সিন্ধুরন শ্বভূম রক্তবিন্দু শুভদন কামদন চাউ সি সিন্ধুরন প্রতিঘরেয়তম ...", এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন "আচ্ছে দিন" আসতে সময় লাগবে না।
৩. কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি হবে:
শাস্ত্র মতে প্রতিদিন দিন দেবের পুজো করার পর সিঁদুরের সঙ্গে তেল মিশিয়ে তা রুপো বা সোনার কয়েনের উপর লাগিয়ে যদি গণেশ ঠাকুরের সামনে রাখতে পারেন, তাহলে কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি মিলতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, জীবনে চলার পথে সামনে আসা যে কোনও বাঁধার পাহাড় সরে যাবে নিমেষে। প্রসঙ্গত, যারা মনের মতো চাকরির সন্ধান করছেন তারাও যদি এই নিয়ম মেনে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগবে না।
৪. মানসিক শান্তি ফিরে আসে:
খেয়াল করে দেখবেন প্রতিদিন কখনও অফিসের কারণে তো কখনও পারিবারিক কোনও ঘটনার জেরে মন এতটাই খারাপ থাকে যে জীবন দুর্বিসহ মনে হয়। এমনটা প্রায় সবার সঙ্গেই ঘটে থাকে। কিন্তু আপনি যদি চান, তাহলে কিন্তু অপার শান্তির খোঁজ পেতে পারেন। কীভাবে? পূরাণ অনুসারে নিয়মিত দেবেকে সিঁদুর নিবেদন করে যদি শঙ্খ বাজিয়ে পুজো করা যায়, তাহলে ভগবান গণেশ এতটাই প্রসন্ন হন যে বাড়িতে শুভ শক্তির আগমণ ঘটে। ফলে সুখ-শান্তির ছোঁয়া লাগে গৃহস্থে। ফলে হারিয়ে যাওয়া মানসিক শান্তি ফিরে আসে।
প্রসঙ্গত, দেবের আরাধনা করার সময়ও আরও কিছু জিনিস রয়েছে, যা নিবেদন করলে গণেশ ঠাকুরের নেক দৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা কমে। যেমন ধরুন...
১. কলা:
এই ফলটি গণেশ ঠাকুরের খুব পছন্দের। তাই তো দেবের পুজো করার সময় এই ফলটি যদি নেবেদন করতে পারেন। তাহলে শ্রী গণেশ এতটাই প্রসন্ন হন যে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, কলা পাতা দিয়ে বানানো মালাও বাপ্পাকে নিবেদন করতে পারেন, এমনটা করলেও নানাবিধ সুফল মেলে।
২. সাদা ফুল:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত যে কোনও সাদা ফুল দিয়ে দেবের আরাধনা করলে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সম্মান বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, জবা ফুলও গণেশ ঠাকুরকে নিবেদন করতে পারেন। কারণ রক্তিম এই ফলটিও বাপ্পার বেজায় পছন্দের।
৩. সাদা গণেশ ঠাকুরের মূর্তি:
শাস্ত্র মতে সাদা গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি বাড়িতে এনে রাখলে প্রচুর পরিমাণ টাকার মালিক হয়ে ওঠা স্বপ্ন পূরণ হয়। সেই সঙ্গে অফুরন্ত সুখ এবং সমৃদ্ধির সন্ধান মেলে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয়? গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি ঘরের এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে দেব পিছন করে থাকে বাড়ি সদর দরজার দিকে। আসলে এমনটা করলে শুভ শক্তির প্রস্থান ঘটার আশঙ্কা কমে।