Just In
নির্জলা একাদশী ২০২০ : এই একটা ব্রত করলেই সব একাদশী ব্রতর সমান পুণ্য অর্জন হবে, জানুন দিন-ক্ষণ
হিন্দুধর্মে, একাদশীর গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, একাদশী মাসে দুই বার পালন করা হয় - শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ। সুতরাং, বছরে মোট ২৪টি একাদশী হয়। এর মধ্যে 'নির্জলা একাদশী' বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশতম দিন নির্জলা একাদশী পালন করা হয়। এই বছর অর্থাৎ ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২০ সালের ২ জুন 'নির্জলা একাদশী' পালন করা হবে। এই দিনটি 'ভীমসেনী একাদশী' নামেও পরিচিত। এই দিনে যারা ব্রত রাখেন তারা এক ফোঁটা জল পর্যন্ত পান করেন না এবং ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন।
সূর্য পূজা করার ঐতিহ্য
জ্যেষ্ঠ মাসে সূর্যের প্রভাব সবথেকে বেশি থাকে, ফলে প্রচন্ড গরম থাকে এবং নদী-নালা, খাল-বিলের জল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও বেশ নীচে নেমে যায়। তাই নির্জলা একাদশী উপলক্ষ্যে আপনি আপনার বাড়ির বাইরের বা ছাদের উপর পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থা করুন। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সূর্যদেবের উপাসনা করুন।
নির্জলা একাদশীর উপকারিতা
নির্জলা একাদশীর ব্রত ফলদায়ক বলে বিশ্বাস করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি হৃদয় দিয়ে ভক্তির সহিত এই ব্রত পালন করে, সে সমস্ত একাদশী ব্রতের পুণ্য লাভ করে। সমস্ত দুঃখ থেকে সে মুক্তি পায় ও তাঁর জীবনে সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে যিনি দান করেন, তিনি দীর্ঘায়ু হওয়ার আশীর্বাদ পান এবং পুণ্য অর্জন করেন।
নির্জলা একাদশীর তারিখ ও শুভ মুহুর্ত
একাদশী তিথি শুরু হবে - দুপুর ২টা বেজে ৫৭ মিনিটে (১ জুন ২০২০)
একাদশীর তিথি শেষ হবে - বেলা ১২টা বেজে ০৪ মিনিটে (২ জুন ২০২০)
পরানা মুহুর্ত - ভোর ০৪টা ৫১ মিনিট থেকে সকাল ৭টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত (৩ জুন ২০২০)
গঙ্গা দশহরা ২০২০ : বাড়িতেই করুন মা গঙ্গার পূজা, দেখে নিন দিন-ক্ষণ ও তাৎপর্য
নির্জলা একাদশীর ব্রত কথা
নির্জলা একাদশী ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করে পালন করা হয়। নির্জলা একাদশীর ব্রত কথা অনুসারে, একবার পান্ডু পুত্র ভীম মহর্ষি বেদব্যাস-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে পরম শ্রদ্ধেয় মুনিবর! আমার পরিবারের সকলেই একাদশী ব্রত পালন করে এবং আমাকেও ব্রত পালন করতে বলে। কিন্তু, আমি ক্ষুধার্ত থাকতে পারি না, তাই আপনি আমাকে দয়া করে বলুন যে বিনা উপবাসে কীভাবে একাদশীর ফল পাওয়া যাবে।
ভীমের এমন অনুরোধে জি বললেন- পুত্র! তুমি জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের একাদশীর দিন নির্জলা ব্রত করো। এই দিনে খাদ্য এবং জল উভয়ই ত্যাগ করতে হয়। যে ব্যক্তি একাদশী তিথির সূর্যোদয় থেকে দ্বাদশী তিথির সূর্যোদয় পর্যন্ত জল পান না করে থাকে এবং সত্যই নিষ্ঠার সহিত নির্জলা ব্রত পালন করে, তিনি বছরে যতগুলি একাদশী আসে সেই সকল একাদশীর ফল এই একটি ব্রত করে পেয়ে যান। তখন ভীম বেদব্যাস-এর এই আদেশ পালন করে নির্জলা একাদশীর উপবাস করেছিলেন। সেই দিন থেকেই প্রতি বছর এই একাদশী পালিত হয়।