Just In
Don't Miss
নবরাত্রি ২০২০ : বিবাহের বাধা দূর করতে দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা করুন, দেখুন পূজা বিধি ও তাৎপর্য
দেবী দুর্গার একটি বিশেষ রূপ হল কাত্যায়নী। তিনি নবদুর্গার নয়টি বিশিষ্ট রূপের মধ্যে ষষ্ঠ। নবরাত্রি উৎসবের সময় তার পূজা প্রচলিত। নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে মা কাত্যায়নীর পূজা করা হয়। এই বছর ২২ অক্টোবর দেবী কাত্যায়নীর পূজা পড়েছে। কথিত আছে যে এই রূপে তিনি মহিষাসুর বধ করে মহাবিশ্বকে রক্ষা করেছিলেন। আজ আমরা আপনাদের দেবী কাত্যায়নী সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য জানাব।

দেবী কাত্যায়নী কে ছিলেন
একসময় ঋষি কাত্যায়ন নামে এক সাধু ছিলেন। তিনি ছিলেন দেবী দুর্গার একনিষ্ঠ ভক্ত। দেবীকে সন্তুষ্ট করতে তিনি কঠোর তপস্যা করেন। মা দুর্গা সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে বর চাইতে বলেন। ঋষি তাঁর কাছে দেবীর মতোই একটি কন্যা চান। তাই, দেবী দুর্গা স্বয়ং ঋষি কাত্যায়ন এবং তাঁর পত্নীর কন্যাসন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তখন সেই শিশুকন্যার নাম হয় কাত্যায়নী।

কাত্যায়নী দেবীর পূজা বিধি
১) নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে ভক্তদের ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার বা নতুন পোশাক পরতে হবে।
২) দেবীর পছন্দের রঙ লাল, তাই এই দিনে লাল বা হলুদ রঙের পোশাক পরতে পারেন।
৩) এবার দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গার জল দিয়ে পঞ্চমৃত বানিয়ে প্রতিমাকে স্নান করান। মায়ের মূর্তি লাল কাপড়ের ওপর স্থাপন করুন।
৪) দেবী দুর্গার প্রতিমার সামনে প্রদীপ জ্বালান।
৫) এবার কাঁচা হলুদ, মধু, লাল-হলুদ ফুল এবং ফল অর্পণ করুন।
৬) ধূপ জ্বালিয়ে দেবীর আরতি করুন।

তাৎপর্য
১) হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, দেবী দুর্গা কাত্যায়নী রূপ নিয়েই মহিষাসুরকে হত্যা করেছিলেন।
২) মাতা কাত্যায়নীর চারটি হাত।
৩) ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, মাতা কাত্যায়নী লাল রঙ এবং মধু খুব পছন্দ করেন।
৪) বিশ্বাস করা হয় যে, যারা নিষ্ঠার সহিত মায়ের উপাসনা করেন তারা বিশেষ আশীর্বাদ পান।
৫) তিনি তাঁর ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত সমস্যা, রোগ, যন্ত্রণা এবং দুঃখ দূর করেন।
মহাতীর্থ কালীঘাট সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে আপনি অবাক হবেন!

এই মন্ত্র জপ করুন
‘ওম হ্রিং কাত্যায়নী সোয়াহা।
‘কাত্যায়নী মহামায়ে মহায়োগনিনাথেশ্বরী। নন্দোপুস্তম দেবীপাতিম মে কুরু তে নমহ।'